পাহাড়ের সাংগ্রাই
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১
মহামারি করোনা এইবারের পাহাড়ের বৈসাবি উৎসবের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে তবে পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপ কমে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের ।সাংগ্রাই (মারমা-রাখাইন)
সাংগ্রাই মারমা জনগোষ্ঠীর একটি উৎসবের নাম। যা প্রতিবছর এপ্রিলের ১৩ থেকে ১৫ তারিখে পালিত হয়। মারমাদের বর্ষপঞ্জিকা বর্মী বর্ষপঞ্জিকাকে অনুসরণ করেই করা হয়। মারমাদের বর্ষপঞ্জিকাকে “ম্রাইমা সাক্রঃয়” বলা হয়। “ম্রাইমা সাক্রঃয়” এর পুরনো বছরের শেষের দুই দিন আর নতুন বছরের প্রথম দিনসহ মোট ৩দিন কে মারমারা সাংগ্রাই হিসেবে পালন করে থাকে। আগে “ম্রাইমা সাক্রঃয়” অনুযায়ী এই ৩ দিন ইংরেজি ক্যালেন্ডারের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে পড়লেও এখন ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সাথে মিল রেখে এপ্রিলের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করা হয়। ১৩ তারিখের সকালে পাঃংছোয়াই (ফুল সাংগ্রাই), ১৪ তারিখে প্রধান সাংগ্রাই আর ১৫ তারিখে পানি খেলার সাথে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোও অনুষ্ঠিত হয়।
পানি খেলা
সাংগ্রাই এর প্রধান আকর্ষন হল পানি খেলা যেটিকে মারমারা বলে “ড়ি লং পোয়ে” । সাংগ্রাইয়ের পানি খেলা শুধুমাত্র মারমাদের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া আর চীনের দাই জাতিগোষ্ঠীরাও এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে থাকে। মায়নামারে এই ধরনের অনুষ্ঠানকে “থিনগন” আর থাইল্যান্ড ও লাওসে এই অনুষ্ঠানকে “সংক্রান” বলে
থাই ভাষায় “সংক্রান” এর অর্থ হল পরিবর্তন। সাংগ্রাই আসলেই পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়াকেই বোঝায়। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে নতুন জুম চাষের মৌসুমের শুরুও সাংগ্রাই-এর পরেই হয়ে থাকে।শুধু জুম চাষই নয় মারমারা মাঘী পূর্ণিমার পর থেকে সাংগ্রাই এর আগ পর্যন্ত নতুন বিয়েই করে না অর্থাৎ সাংগ্রাইকে মারমারা নতুন বছরের শুরুসহ পুরনো সব জিনিসকে ঝেড়ে ফেলে নতুন করে শুরু করাকেই বোঝায়। আর তাই মারমারা এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আর্শীবাদ আর শুভাকাঙ্ক্ষার আশায় নতুন বছর উদযাপন করে থাকে।
পূর্ব প্রস্তুতি
সাংগ্রাই এপ্রিলের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হলেও মারমাদের মাঝে সাংগ্রাই নিয়ে উদ্দীপনা জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়। মারমা গ্রামের গিন্নীরা সাংগ্রাই নিয়ে নানা পরিকল্পনা করতে থাকে। তারা নতুন করে তাদের ঘরগুলো সাজাতে থাকে। মাটির ঘরগুলোকে আবার নতুন করে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়, মাচাং আর ছনের ঘরগুলোতে পুরনো ছন বাদ দিয়ে পাহাড় থেকে নতুন ছন এনে বাড়িতে লাগানো হয়। এছাড়া জুম থেকে পাওয়া চাউল নানা রকমের পিঠার জন্য রেখে দেওয়া হয়।।
মারমা শুকর ব্যবসায়ীরা ৩ মাস আগে থেকেই নতুন নতুন শুকরের ছানা পালতে থাকে যেন সাংগ্রাই-এর বাজারে বিক্রি করতে পারে। মারমা শিকারীরা সাংগ্রাইয়ের আগে তাদের অস্ত্র গুলো গুছাতে থাকে যেন সাংগ্রাই-এর আগেই বড় রকমের হরিণ,গুইসাপ,কচ্ছপসহ আরো নানা রকমের পশু-পাখী শিকার করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও সাংগ্রাইকে নিয়ে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বানাতে থাকে।
পাঃংছোয়াই (ফুল সাংগ্রাই)
“পাঃংছোয়াই” এর অর্থ ফুল ছিঁড়ার দিন। এটি সাধারণত ১২ এপ্রিলের রাতেই হয়ে থাকে। শীতের পর বসন্তের আগমনে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতেও বসন্তের ছোঁয়া লাগে, ফলে পাহাড়ে দেখা যায় নানা ফুলের সমারোহ।। নানা রকমের ফুলে গ্রামের চারপাশে ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে ছেয়ে যায়। আর এই ফুলগুলো সাংগ্রাইয়ের আগে ছেঁড়া হয় না এক্কেবারে “পাঃংছোয়াই” এর রাতেই পাহাড় থেকে ফুলগুলো ছিঁড়ে বাড়িগুলোতে সাজানো হয়। পাহাড়ে অনেক ফুল থাকলেও কিছু নির্দিষ্ট ফুল আছে যেগুলো দিয়েই বাড়িঘর গুলো সাজানো হয়। তন্মধ্যে “সাংগ্রাই পাঃং” নামে সাদা রংঙের ফুলটিই সবথেকে প্রিয়।
সবাই মূলত এই ফুলকে প্রধান করেই “পাঃংছোয়াই” এর পরের দিনে গিন্নিরা তাদের ঘরগুলো সাজাতে থাকে। এই ফুল ছেঁড়ার কাজটি মূলত মারমা তরূণ-তরূণীরাই করে থাকে। এই “পাঃংছোয়াই” কে কেন্দ্র করে মারমা তরূন-তরূণীরা এর আগের রাতে নানা রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনেক সারারাত জেগে পিঠা বানায়, আবার অনেকে মারমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলার ব্যবস্থা করে, অনেকে মারমা নাচ-গান করে থাকে, মূলত মারমা তরূণ-তরূণীরা সারারাত জেগে থাকার জন্য নানা কিছু করে। এরপরে আলো ফোটার আগেই একদম ভোর-সকালে দলে দলে পাহাড়ে গিয়ে “সাংগ্রাই পাঃং” তুলে নিয়ে মায়ের হাতে তুলে দেই।
গিন্নিরা সকাল হলেই সুতা দিয়ে ফুলগুলো সাজাতে থাকে। প্রথমে ভগবান বুদ্ধকে ফুল পূজা করে নিয়ে বাড়ির প্রতিটি দরজাগুলোকে “সাংগ্রাই পাঃং” দিয়ে সাজানো হয়। বাড়ির দরজায় সাজানো ফুলগুলো দিয়েই বোঝতে পারা যায় সাংগ্রাই অর্থাৎ নতুন বর্ষবরন শুরু হয়ে গেছে।
শুধু তরূন-তরূণীরাই নয় মারমা ছোট ছেলেমেয়েদেরও এই পাঃংছোয়াই নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। কিন্তু মারমাদের বয়োজেষ্ঠ্যরা ছোট ছেলেমেয়েদেরকে সবসময় “ফ্রুজুমা”(মারমা ডাইনী) এর ভয় দেখিয়ে রাখে। এমনকি এই “পাঃংছোয়াই” নিয়ে অনেক কেচ্ছাও আছে। তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হল ফ্রুজুমা-র ফাঁদে আটকে যাওয়া। ফ্রুজুমা “সাংগ্রাই পাঃং” এর লোভ দেখিয়ে কোন একজনকে দলছুট করে এমন গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাবে যে তা থেকে দিনের আলো ফোটার আগে কখনোই আর মুক্তি পাওয়া যাবে না কারণ ফাঁদে পড়ার পর যেখানেই যাবে শুধু জংগল জংগলই পাবে। আর সাংগ্রাই পাঃং সাধারণত সকালের আলো ফোটার আগেই ছিঁড়তে হয়। এই কিচ্ছা দিয়েই মারমা মা-বাবারা তাদের সন্তানদের আগলে রাখে।
সাংগ্রাই জীঃঈ (সাংগ্রাই বাজার)
“পাঃংছোয়াই” এর দিনেই অর্থাৎ ১৩ তারিখেই সাংগ্রাই জীঃঈ হয়ে থাকে। সাংগ্রাইকে উপলক্ষ করে অনেক বড় হাট বসে। হাটে সাংগ্রাইয়ের জন্য সকল প্রয়োজনীয় জিনিসই পাওয়া যায়।
গিন্নীরা সাংগ্রাইতে বিহারে পাঠানোর জন্য অনেক ভালো ভালো খাবার কিনে। এছাড়া গৌতম বুদ্ধকে স্নানের জন্য পবিত্র পানি, নারকেল, চীনা কাগজ, মোমবাতি,আগরবাতি মোটামোটিভাবে বিহারে পাঠানোর জন্য যার যেরকম সামর্থ্য সেই অনুযায়ী কিনে। এছাড়া সাংগ্রাইতে ছোট-বড় সবারই মাঝে নতুন জামা থাকবেই। আর ছোট্ট বাচ্চারা সাংগ্রাইতে পানি মারার জন্য পানির বোতল, পানি মারার নানা রকমের প্লাস্টিকের অস্ত্রও কিনে রাখে।
প্রধান সাংগ্রাই
প্রধান সাংগ্রাই বর্তমানে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে এপ্রিলের ১৪ তারিখেই পালন করা হয়। মারমা গৃহিণীরা (“ইংথসাং”) ভালো ভালো খাবার(“ছোয়াঈ”-বিহারে যে খাবার পাঠানো হয় তাকে “ছোয়াঈ” বলে) আর পিঠা নিয়ে বিহারে যায়। শুধু নিজেদের বিহার ছাড়াও আশেপাশের বিহারেও “ছোয়াঈ” পাঠানো হয়। “ছোয়াঈ” শুধু ভগবানের উদ্দেশ্যে নয়, নিজেদের আত্নীয়দের মাঝে যারা উপোসথ শীল পালন করে তাদের উদ্দেশ্যেও পাঠানো হয়। বিহার ছাড়াও মারমা বিভিন্ন দেবতাদেরকেও পূজা দেওয়া হয়। এছাড়া গ্রামের পরিচিত বয়োজ্যেষ্ঠদেরকেও খাবার আর পিঠা পাঠানো হয়।
আর মারমা তরূণ-তরূণীরা দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের স্নান করাতে যায়। প্রত্যেক পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা গোসল শেষে তরূন-তরূণীদেরকে সাংগ্রাই এর সেলামি দেই। সেই সাথে তরূন-তরূণীরা বছরের শুরুতে বয়োজৈষ্ঠ্যদের কাছে নতুন বছরের আর্শীবাদ নিয়ে আসে। শুধু গোসলই নয় প্রতি পরিবার থেকে মারমা তরূণ-তরূণীদের কিছু না কিছু খেয়ে আসতে হয়।
বুদ্ধ স্নান আর ধর্মদেশনা
প্রধান সাংগ্রাই তে বিহারে যে ভগবান বুদ্ধ আছে তাদেরকে পবিত্র পানি দিয়ে গোসল করানো হয়। বুদ্ধকে স্নানকৃত পানিকে মারমারা খেয়ে থাকে কারণ মারমাদের বিশ্বাস এই বুদ্ধ স্নানকৃত পানি তাদের শরীরে সকল রোগমুক্তির অবসান করাবে।
আর এর পরেই ধর্মদেশনা হয়। এতে এলাকার সকল পুরুষ-মহিলা যোগ দেয়। সকল পরিবারেই চাল-নারকেল-চীনা কাগজ-মোমবাতি বিভিন্ন দ্রব্যাদি বিহারে ভগবানের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। বিহারের প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষু নতুন বছরের শুভদিনের জন্য ধর্মদেশনা দেন।সেই সাথে নতুন বছরের দিনগুলো যেন শুভাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ হয় তার জন্য প্রার্থনা করা হয়। ধর্মদেশনার পরই বৌদ্ধ বিহারে ভগবানের উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালানো হয়। শুধু ভগবান নয় অনেক তাদের পূর্বপুরুষদের জাদিতেও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন
প্রধান সাংগ্রাই এর দিনের আলো শেষেই সন্ধ্যে নামলেই মারমা তরূণ-তরূণীরা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিহারে চলে যায়। সাংগ্রাইকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক বিহারেই এক নতুন সাজে সেজে যায়। বিহারে বিহারে গিয়ে তারা মোমবাতি জ্বালাতে থাকে।
এরপরে তরূণ-তরূণীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছে একসাথে বসে ধর্মদেশনা শুনে। এছাড়া পরবর্তী দিনের “ড়িলংপোয়ে” এর জন্য একসাথে বসে আলোচনা করে।
“ড়িলংপোয়ে”(জলকেলি উৎসব)
প্রধান সাংগ্রাইয়ের পরেই বিভিন্ন জায়গায় “ড়িলংপোয়ে” এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এটি শুধু এপ্রিলের ১৫ তারিখেই নয়, অনেক জায়গায় ১৬,১৭,১৮ তারিখেও আয়োজন করা হয় যেন সকলেই সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে। অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে মারমারা তাদের ঐতিহ্যবাহী “থামি (মেয়েরা)” আর লুংগি (ছেলেরা) পরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে থাকে। খুব সকালেই স্থানীয় এলাকার তরূণ-তরূণীরা সাংগ্রাই র্যালী করে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মারমা তরূণ-তরূণীরা “সাংগ্রাই মা ঞিঞীই ঞাঞাই, রিগ জাঃং কাঈ পাঃ মেঃ” গান গেয়ে দলে দলে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে থাকে।
এরপরে মারমা রাজা কিংবা মারমাদের হেডম্যান(মৌজা প্রধান) অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের পরই আনুষ্ঠানিক “ড়ীলং পোয়ে” শুরু হয়। মারমা তরূণ-তরূণীরা দল বেঁধে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়, এরপরে তাদের এক অপরের দিকে পানি ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয় যতক্ষন পর্যন্ত তাদের সামনে রাখা পানির পাত্রটি শেষ না হয়ে যায়। এভাবে একদলের পর আরেকদল পানি খেলতে থাকে।
এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পানি খেলা ছাড়াও ওইদিন সবার হাতেই একটা করে পানির বোতল থাকে। যার যাকে মন চায় সে তাকেই পানি ছিটাতে পারবে, এতে কেউ কোন আপত্তি করে না বরং এটিকে আর্শিবাদ আর শুভ লক্ষনের প্রতীক হিসেবে ধরে নেয়।
পানি খেলার পরপরই মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হতে থাকে। ছেলেদের বলি খেলা, মেয়েদের দড়ি টানাটানি খেলা হয়ে থাকে। আর সবথেকে আকর্ষন হল ছেলেদের বাশঁ উঠানো(“তং তাং”) খেলা। এতে একটা লম্বা ২৫+ ফুট বাশঁ থাকে যার একদম শীর্ষে একটি বড় পরিমাণের টাকা থাকে।মোটামোটিভাবে একজনের কাধেঁ আরেকজন উঠে শীর্ষের টাকাটা নিতে হবে। মোটামোটিভাবে পাঁচজন হলেই টাকার নাগাল পাওয়া যায়।আর যে দল আগে নিতে পারবে সেই দল সেই টাকা পেয়ে যাবে। তবে অতটা সহজ নয়, কারণ বাশেঁর উপরে তেল থাকে তাই যতই বাশঁ নাড়ানো হোক না কেন ততই উপর থেকে তেল পরে বাশঁকে পিচ্ছিল করতে থাকে।
দুপুরের পরই এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মারমাদের ঐতিহ্যগুলোকে নানাভাবে তুলে ধরা হয়। সাংগ্রাই নৃত্য সহ আরো নানা ধরনের নৃত্য এতে পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মারমা গুনী শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন মারমা গান পরিবেশন করা হয়। বর্তমান দিনে মারমা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরই কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এই মারমা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর কনসার্টকে নিয়ে মারমা তরূণ-তরূণীরা তাদের নতুন “ম্রাইমা সাক্রয়” কে বরন করে নেয়।
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার