ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বাবা রাজা(কার!) ত্রিদিব রায়ের পাকিস্তান প্রীতির ইতিবৃত্ত
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা উপজাতির সম্প্রদায়ের রাজা দেবাশীষ রায়ের পিতা ৫০তম চাকমা রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় । তিনি ১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চাকমা র্সার্কেলের রাজা ছিলেন। যদিও বা পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক, কূটনৈতিক, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে ছিলেন।
বর্তমান চাকমা রাজা দেবাশীষের পিতা রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় সব সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে থেকে পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে এসেছেন। এমন কি তিনি ১৯৬৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। ত্রিদিব রায় এই কর্মসূচির সমর্থক ছিলেন না। এর ফলে তিনি চাকমা রাজা হিসেবে তার স্বায়ত্তশাসন লোপ হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। এরপর পরই ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দলের পক্ষে নির্বাচনে দাড়ানোর জন্য ত্রিদিব রায়কে আহ্বান জানান। ত্রিদিব রায় এই অনুরোধে সাড়া দেননি। তিনি পুরো চাকমা সম্প্রদায়ের মঙ্গল না চেয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে র্নিবাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছিল ।
কিন্তু সেই সময় থেকে তিনি তার নিজের স্বার্থতাতে বড় করে দেখে চাকমা সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। যদি তিনি সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিতেন তাহলে স্বাধীনতার পর থেকে সমাধীকারের ভিত্তিতে এতো দিনে অনেক দুর এগিয়ে যেত চাকমা সম্প্রদায়।
রাজা দেবাশীষ এর বাবা রাজা (কার!)ত্রিদিব রায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতিই আনুগত্য বজায় রেখেছেন। মৃত্যূ আগ পর্যন্ত তিনি দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় ছিলেন বাংলাদেশের চরম শত্রু । বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতায় এবং স্বাধীনের পরও স্বীকৃতির বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়েছেন।
রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় বাংলাদেশের ভূখন্ডে বসাবাস করে স্বাধীনতার সর্বপরি বিরোধীতার করে এবং শত্রু পক্ষ (পাকিস্তানিদের )সাথে আতাত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি সাধারন করেছিলেন। তিনি তার নিজের র্স্বাথ রক্ষায় পরো চাকমরা সম্প্রদায়ের মানুষের মনের ইচ্ছে শক্তিকে নিজের করে নিয়েছিলেন। এবং চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করতে চাপ প্রয়োগ করেন । এতে করে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধের বেশ ব্যাক পেতে হয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে গিয়েছেন রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় কারন হিসেবে যদি বলতে যায় তাহলে তথ্য বলেন দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায়-এর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক। নিজের রাজত্ব এবং স্বায়ত্তশাসন টিকিয়ে রাখতেই ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। তিনি চাইছিলেন তাঁর রাজত্ব এবং রাজ পরিবারের শাসন যেন বজায় থাকে, যদিও অনেক সাধারণ চাকমা তাঁর নীতির বিপক্ষে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তার এই স্বার্থপর চিন্তার ভাবনার কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধে নানা দিকে ক্ষয়ক্ষতি হয়ছিল। তিনি নিজের রাজত্ব রক্ষা করতে দেশ ও চাকমা জাতি স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছিলেন তার সেদিনের র্স্বাথপরতার কারনে আজ তিনি ঘৃণিত হয়ে আছেন।
দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায়ের রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণে আজ মানুষের জনমনে ঘৃণার জন্ম দিয়েছে। রাজা দেবাশীষ এর বাবা রাজা (কার!)ত্রিদিব রায় ও তার রাজাকার বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একের পর এক হামলা পরিচালনা করে। এতে নির্মমভাবে শহীদ হন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। কয়েকটি অপারেশন ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন রাজাকার বাহিনী এবং তাদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলা ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল।
সেই পাকি দোস্ত জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ নিয়ে কোন অনুতাপ স্বীকার করেনি। মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করে গেছেন। সেই রাজাকারের নামে এখনও সড়কের নামকরণ শোভা পাচ্ছে ।
উল্লেখ্য, ১৯৩৩ সালের ১৪ মে রাজা দেবাশীষ এর বাবা দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় চাকমা রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত চাকমা সার্কেল চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তার অনুপস্থিতিতেই তার ছেলে বর্তমান সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় রাজার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
স্থানীয় ও দেশ প্রেমিকদের দাবী অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্থাপনা থেকে ত্রিদিব রায়ের নাম সরিয়ে ফেলতে হবে এবং তারপশাপাশি দেশ ও জাতির স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদেদের সম্মন রক্ষাতে রাজা (কার!)দেশদ্রোহী ত্রিদিব রায়ের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার দাবী জানান

- বান্দরবোনের লামা পৌরসভায় টানা ৪র্থবার নির্বাচিত হলেন ৩ কাউন্সিলর
- বান্দরবানে এশিয়ান টেলিভিশনের বর্ষপূর্তিতে এতিম শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন
- বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সেলাই মেশিন ও শিক্ষা সমাগ্রী বিতরণ
- জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে র্যাবের হটলাইন চালু
- বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে আড়াই লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য
- ব্যয় কমলো ১৫০০ কোটি টাকা
- উপহারের ২০ লাখ টিকা আসছে কাল
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা যাবে মোবাইলে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
- রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তি উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার স্কিম
- খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
- মুজিববর্ষে ঘর পাচ্ছে ৯ লাখ ভূমিহীন পরিবার
- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ক্রিকেটারদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ জার্সি
- বান্দরবান পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জাবেদ রেজার মনোনয়নপত্র জমা
- নাইক্ষ্যংছড়ির উত্তর ঘুমধুমে শীঘ্রই স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে
- আরও ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেল ৬৩ প্রতিষ্ঠান
- হয়রানি রোধে ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফর্ম চালু হবে : পলক
- দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- ক্ষমতার একযুগ: শেখ হাসিনার জয়ধ্বনি
- নোয়াখালীর দৃশ্যপট পাল্টে যাবে ২০২৩ সালের মধ্যে
- নিয়ন্ত্রণের পথে বাংলাদেশ!
- বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সেরামের
- করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ২৭০০ কোটি টাকার আরো দুই প্রণোদনা প্যাকেজ
- দেড় যুগ পর লাভে বিমান
- দেশে ঘটতে যাচ্ছে সবুজ শিল্পবিপ্লব, কর্মসংস্থান হবে ১৫ লাখ
- এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্কে আসবে সারাদেশ
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- রপ্তানি বাড়াতে হাজার কোটি টাকার তহবিল
- ব্যাংকের শেয়ারে ফিরছে বিনিয়োগকারীরা
- চাঙ্গা পুঁজিবাজারে গড় লেনদেন দুই হাজার কোটি
- রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ভাসানচরে:আছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা
- ভবিষ্যতে দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান : প্রধানমন্ত্রী
- পুলিশে চাকরির পাশপাশি করছেন নানা সমাজ সেবামুলক কার্যক্রম
বান্দরবানে মানবিক পুলিশ সদস্য দোলন - বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাক খালে:সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
- দিহানের মায়ের ঘনিষ্ঠ তারেক রহমান, বাবার অঢেল সম্পদ!
- আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে
- অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মযজ্ঞ
- বান্দরবানে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অস্ত্রসহ আটক
- আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়েছিল: শফীপুত্র ইউসুফ
- ১৭ জানুয়ারি সেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৫৩ বছর
- বান্দরবানে করোনা প্রতিরোধও নিয়ন্ত্রণে ওয়াসের ভূমিকা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ
- বান্দরবানের এফবিএম ইটভাটায় শিকলে বেঁধে নির্যাতন : ৪ শ্রমিক উদ্ধার
- বান্দরবানে আগুনে পুড়েছে ১৩টি দোকান
- Bangladesh economy indomitable despite COVID-19
- ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি পিতা ফিরে এলেন বাংলায়
- বান্দরবানে ৪৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন
- কমবে পানির অপচয় বাড়বে মুনাফা
- বান্দরবান পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদান শুরু
- বান্দরবানে ট্রাক চাপায় শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু,আহত ২
- ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আহমদ শফীকে, নেপথ্যে ছিলেন হেফাজত নেতা বাবুনগরী-মামুনুল হক’
- বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তের দোছড়িতে অস্ত্রসহ আটক ১















