সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র পদ্মায় ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৩
পদ্মা নদীতে ভাসমান খাঁচায় চাষ হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ। এর সঙ্গে পরীক্ষামূলক রুই, কাতলাসহ কয়েক প্রজাতির মাছও রয়েছে খাঁচাগুলোতে। পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ কাজে লাগিয়ে খাঁচায় বছরে তিনবার মাছ চাষ করা সম্ভব। এমন পদ্ধতিতে সল্প খরচে অধিক মাছ উৎপাদন হওয়ায় বড় পরিসরে মাছ চাষের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গনগ্রামে পদ্মা নদীতে এমন ভাসমান খাঁচায় মনোসেক্স জাতের তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হচ্ছে। এই গ্রামের ৪০ জনের সদস্য এই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারা সবাই ইউসুফপুর টাঙ্গন মৎসজীবী সমবায় সমিতির সদস্য। এই প্রথম পরীক্ষমূলক রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৬২টি তেলাপিয়া মাছের পোনার ওজন ছিল এক কেজি। এমন পোনা মাছ ছাড়া হয়েছিল খাঁচাগুলোতে। খাঁচায় মাছ ছাড়ার একমাস ১৪ দিনের মাথায় মাত্র ৬টি তেলাপিয়া মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে এক কেজিতে। ফলে মাত্র ৪৪ দিনে একটি মাছের ওজন হয়েছে প্রায় ১৬১ গ্রাম। আগামী এক মাসের মধ্যে একেকটি মাছের ওজন প্রায় ৩০০-৪০০ গ্রাম হবে। এই মাছগুলো অতিদ্রুত বাড়ছে। এর আগে পদ্মা নদীতে ১০টি খাঁচার জাল, দড়ি, বাঁশ, ড্রাম, জিআই পাইপ দিয়ে খাচা স্থাপন করা হয়েছে। পরে সেই খাঁচাগুলোতে তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।
খাঁচার মাছগুলোকে খাবার দিচ্ছেন নজিবার হোসেন (৫২)। তিনিও এই সমিতির সদস্য। তাকে মাছের খাবার দেওয়া ও দেখাশোনার জন্য প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ঢাকা পোস্টকে নজিবার হোসেন বলেন, অল্প খাবার করে দিনে চারবার খাবার দেয়। চারবারে ১০ থেকে ১২ কেজি খাবার লাগে। নদীর পানি হওয়া মাছ দ্রুত বাড়ছে।
ইউসুফপুর টাঙ্গন মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মাহাবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কাঁচা পদ্ধতিতে বছরে তিনবার মাছের চাষ করা যাবে। একটা খাঁচায় এক হাজার পিস মাছ আছে। ১০টি খাঁচায় ১০ হাজার পিস মাছ আছে। প্রতিটি খাঁচার পরিমাণ ১২০০ ঘন ফুট। এখানে ১০টি খাঁচায় ১৫ শতাংশ জলকর (পানির আয়তন) হবে। এভাবে মাছ চাষের সুবিধা হচ্ছে জলকর ফ্রি। নদীর পানি হওয়ায় তেমন কোন খরচ নেই। নদী ছাড়া মাছ চাষ করতে গেলে আমাদের পুকুর বাবদ টাকা দিয়ে হতো। এখানে সেই টাকা লাগছে না। খোলা পানি হওয়ায় মাছের তেমন খাবার দিতে হয় না। একই সঙ্গে ওষুধ লাগে না। নদীর পানি হওয়ায় মাছগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাদের খাঁচায় মাছ চাষের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে। কারণ পদ্মায় এমনিতেও মাছ কমে গেছে। তাই এই পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাছের চাষ করা হচ্ছে। এটা আমাদের তিন মাসের প্রজেক্ট। তবে পদ্মার পানি বেড়েছে। স্রোতের কারণে সমস্যা হতে পারে। তেমন হলে মাছ তুলে বিক্রি করে দেওয়া হবে। মাছগুলো বিক্রি করা হলে আমাদের সমিতির ফাণ্ডে টাকা রাখা হবে। পরে মাছ চাষে খরচ করা হবে।
খাঁচায় মাছ চাষে জড়িতরা জানান, প্রবাহমান নদীর পানিকে ব্যবহার করেও খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সঙ্গে চলে যায়। ফলে পানি দুষণ হয় না। এতে করে মাছ মরে যাওয়ার ঝুঁকি নেই। নদীর পানি প্রবাহমান থাকায় প্রতিনিয়ত খাঁচার অভ্যন্তরের পানি পরিবর্তন হয়। যেটি পকুরে সম্ভব না। ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়।
চারঘাটের ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাঁচায় মাছ চাষ। অনেক ভালো উদ্যোক্তা। অনেকেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পুকুর খননের হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি। তবে এই মাছগুলো চাষের হলেও নদীর পানির। তবে মাছ গুলো খেতে ভাল লাগবে।
চারঘাট উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা ঢাকা পোস্টকে জানান, এই পদ্ধতিতে বছরে তিনবার মাছের চাষ করা যাবে। এইভাবে মাছ চাষ করলে খুব সীমিত খরচ হয়। এই খাঁচায় ছাড়া ৬২টি তেলাপিয়া মাছের ওজন ছিল এক কেজি। একমাস ১৪ দিনে ৬টি তেলাপিয়া মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে এক কেজিতে। খাঁচাগুলো মাছে ভরে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের ইতিহাস অনেক পুরানো। পদ্মা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এইভাবে মাছ চাষ সম্ভবনাময়। দেশের অন্য নদী অঞ্চলে এইভাবে মাছের চাষ করা হয়। নদী এলাকায় বসবাসরত মৎস্যচাষীদের সংগঠিত করে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে এই মাছ চাষ অর্থনীতি ভূমিকা রাখবে।
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট আলীকদমে
- বান্দরবানে রাজার মাঠে মঞ্চ তৈরি বন্ধে জেলা প্রশাসককে রাজার চিঠি
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- মেয়র আতিক বললেন বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের