মায়ের ভাষা দাওয়াতের প্রাণ
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আল্লাহর কিতাব হেদায়েতের আলোকবর্তিকা অর্থাৎ আলোকিত পথের দিশা। আল্লাহ তাঁর কিতাবের শিক্ষা, জ্ঞান ও উপদেশ দ্বারা বিশ্বভুবনে মানবসভ্যতার আলো জ্বালিয়েছেন।
তাই তো তিনি কুরআনে বলেছেন, ‘তিনি (আল্লাহ) তাঁর বান্দার প্রতি স্পষ্ট আয়াত নাজিল করেন তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় আনতে’ (সূরা হাদিদ, আয়াত ৯)।
অর্থাৎ তিনি তাঁর কিতাব দ্বারা মানবজাতিকে অজ্ঞতার অন্ধকার ও জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলো ও ইমানের আলোয় আনতে চেয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, রাসূলকে কবিতা শিখাইনি এবং তাঁর জন্য তা শোভনীয় নয়, ইহা শুধু উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন। যাতে সে জাগ্রত চিত্তের ব্যক্তিদের ভয় প্রদর্শন করে এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে শাস্তির বাক্য সত্যি হয় (সূরা ইয়াছিন, আয়াত ৬৯-৭০)।
এ ছাড়াও তিনি সূরা কামারের ১৭, ২২, ৩২ ও ৪০নং আয়াতে একইভাবে বলেন, উপদেশ গ্রহণের জন্য আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি। আছ কি কেউ, এর থেকে উপদেশ গ্রহণের?
মানুষ যাতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের কথা উপদেশ পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে, সে জন্য তিনি প্রত্যেক রাসূলকে স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছেন এবং প্রত্যেক রাসূলের কাছে নিজ নিজ জাতিসত্তার ভাষা বা মাতৃভাষায় কিতাব নাজিল করেছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক রাসূলকেই আমি স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি, যেনো তাদের (স্বজাতিকে) পরিষ্কার বুঝাতে পারে’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত ৪)।
এ আয়াতটি মাতৃভাষা চেতনার আলো ছড়িয়ে চলেছে। সত্যান্বেষী ধর্মানুরাগী ব্যক্তির অন্তরকে এ আয়াতটি রাঙিয়ে দিতে পারে গভীর অনুরাগে। এ আয়াতটি সত্যান্বেষী জাগ্রত চিত্তের অধিকারী ব্যক্তির অন্তরকে আল্লাহপ্রদত্ত ভাষানীতির সরলপথের অনুসন্ধানে ধাবিত করতে যথেষ্ট বলেই আমি মনে করি।
ধর্মসচেতন, ধর্মভীরুদের সত্যানুসন্ধানে তৎপর থাকা অত্যাবশ্যক। এ আয়াতে ব্যাপক প্রচারই ধর্মসচেতন ব্যক্তির অন্তরে ভাষা চেতনার উন্মেষ ঘটাবে। মাতৃভাষার কুরআনই জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনবে। উপদেশ ও হেদায়েত পেতে হলে সে কথা বুঝতে হবে ও জানতে হবে।
বোঝার জন্য বোধগম্য ভাষা অত্যাবশ্যকীয় ও অপরিহার্য। বোঝার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন (ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার আগে), তোমরা মদ্যপান করে ততক্ষণ পর্যন্ত নামাজের কাছেও এসো না, যতক্ষণ না যা বলছ তা বুঝতে পার। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) বোঝার ওপরেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম দিল, সে তার কিছুই বুঝল না। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘নামাজের মধ্যে ঘুমের ভাব এলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেবে। কেননা ঘুমজড়ানো চোখে নামাজ পড়া হলে নামাজি তা বুঝতে পারে না, সে কিছু পাঠ করছে না কাউকে গালি দিচ্ছে’।
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেছেন, তোমরা নিজেদের কুরআন খতমের প্রতিযোগিতায় প্রলুব্ধ করো না, কেননা সারা রাতে না বুঝে দুবার কুরআন খতম দেওয়ার চেয়ে বুঝে একটি আয়াত পাঠ করাও উত্তম। অর্থাৎ কথা হচ্ছে- না বুঝে দুবার কুরআন খতম দেওয়ার চেয়ে বুঝে একটি আয়াত পাঠ করাও উত্তম।
তাহলে আমাদের এ খতমে তারাবিহ, কুরআন খতমের প্রতিযোগিতা আমরা কোন মাপে মাপব? আমাদের দেশে অনেক নারীকে দেখা যায়, জীর্ণ কুটিরে বসে মাটির পিদিম জ্বালিয়ে রাত্রি নিশীথেও কুরআন পাঠে মশগুল থাকেন রমজানে কুরআন খতমের প্রতিযোগিতায়।
তাদের কেউ কেউ বছরের কয়েকবারও কুরআন খতম দেন। কিন্তু অবোধ ভাষার কারণে তারা অজ্ঞতার যেই তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই পড়ে থাকে।
তাদের মন-মানসিকতা ডুবে থাকে নিশীথ অন্ধকারে। সেখানে এ পাঠ যদি সহজবোধ্য মাতৃভাষায় হতো, তাহলে এসব নারীর মধ্য থেকেই তৈরি হতো অনেক কুরআন গবেষক, জ্ঞানতাপসী ও জ্ঞানানুরাগী। সন্তানদের দেখাতে পারত আলোর পথ। সন্তানের জন্য বয়ে আনত কল্যাণ।
আল্লাহ মাতৃভাষা বা জাতিসত্তার ভাষাকে প্রাকৃতিক বোধগম্য শক্তিদ্বারা আলোকিত করেছেন। কেবল মাতৃভাষাই নিশ্চিত বোধগম্য ভাষা। এ ভাষার আলো মধ্য দিনের সূর্যালোকের মতোই। তাই তো আল্লাহতায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তাদের মাতৃভাষাকেই নির্ধারণ করেছেন।
মানবজাতির শিক্ষা ও জ্ঞানগত মুক্তির জন্য তাদের দিয়েছেন ভাষাগত মুক্তি। তাই রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে দাবি জানাই কুরআন-হাদিস পাঠ ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আরবি ভাষার সঙ্গে মাতৃভাষাকে বাধ্যতামূলক করার। ফেব্রুয়ারি এলে বেশ কিছু পত্রিকা ধর্মের পাতায় মাতৃভাষার বিষয়ে লেখা প্রকাশ করে। যা দেখে মনে হয় এতদিনের বিরহের নিশি বুঝি ভোর হলো।
আমাদের ভাষা, ভাষাশহিদদের রক্তের আতর মাখা। এ ভাষার সৌরভ বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ভাষাশহিদের জাতি। উষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত, আমরা টুটাব তিমির রাত।’ আল্লাহ আমাদের সহায় হোন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার