বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য দিন
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২২

ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি আজ। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু।
বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, এক অনন্য দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই জন্ম শতবর্ষ উদযাপন করছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি পুরস্কার চালু করেছে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)। এই পুরস্কারের নাম ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দি ফিল্ড অফ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’।
গত ১১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই প্রথম জাতিসংঘের কোনো অঙ্গসংস্থা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল। ইউনেস্কো অধিক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি তথা প্রতিষ্ঠানের নামে ২৩টি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তিত রয়েছে। এই প্রথম বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের কোনো প্রথিতযশা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির নামে ইউনেস্কো একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল।
এর আগে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরিতে স্থান পায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। স্বয়ং জাতির পিতা তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে পরের দিন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামল তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালী আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ বাতাস।’
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বাংলার মানুষের ভোটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার আড়ালে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে। লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরু করার ডাক দেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারে আটক রাখেন। এ কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে কাটে বঙ্গবন্ধুর নয় মাস ১৪ দিনের কঠিন কারাজীবন। কারাগারে বন্দী করা হলেও বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার নামেই চলে মুক্তিযুদ্ধ। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রহসনের বিচারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কারাগারের যে সেলে তাকে রাখা হয়েছিল, সেই সেলের পাশে কবর পর্যন্ত খোঁড়া হয়। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা, মুক্তির প্রশ্নে ফাঁসির আসামি হয়েও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল, আপোষহীন।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয়ের লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। তবে তখনো জাতির মনে ছিল না স্বস্তি, বিজয়ের আনন্দ। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী জাতির পিতার ভাগ্যে কি আছে এ নিয়ে এ ভূখণ্ডের প্রতিটি মানুষ ছিল বিচলিত, আতঙ্কিত। কারাবন্দী বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী প্রবল জনমত গড়ে উঠেছিল। স্বাধীনতা লাভের পর নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশও বিশ্ববাসীর কাছে তার নেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানালে বিশ্বনেতৃবৃন্দও এ ব্যাপারে সোচ্চার হন।
অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দেয়। ১০ জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে স্বদেশে ফিরে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। বাঙালি জাতির মহান এক বিজয়ের ফলেই বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফিরে আসেন। ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লী হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ।
গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাঁদের প্রিয় নেতা, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীন দেশের মাটিতে আসবেন। পুরো দেশের মানুষই যেন জড়ো হয়েছিল তৎকালীন তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায়। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তায় জনতার ঢল নামে। বন্দীর নাগপাশ ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে নামলেন বিমান থেকে। পা রাখলেন লাখো শহীদের রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। গোটা জাতি সেদিন হর্ষধ্বনি দিয়ে তেজোদীপ্ত ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে তাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়।

- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বাঙালির এ কান্নার শেষ নেই
- মৃত্যুর মুখেও বঙ্গবন্ধুর সাহসী উচ্চারণ ‘তোরা কী চাস?’
- বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি আজও অধরা
- পঁচাত্তরের আগস্ট: বেদনার্ত হৃদয়ে লেখা স্মৃতিকথা
- বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক
- বঙ্গবন্ধুকন্যা সমীপেষু : বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং অসমাপ্ত বিচার
- রক্তের আখরে লেখা আগস্টের মহাট্র্যাজেডি
- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক
- রক্তের আখরে লেখা আগস্টের মহাট্র্যাজেডি
- বাঙালির শোকের দিন আজ
- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিরোধীরা আন্দোলন করলে গ্রেফতার না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ১ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা, পৌরসভায় ওএমএস চালু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
- একজন রেণু এবং এক সাহসী নারীর কথা
- বান্দরবানে “আন্ধকার থেকে আলো পথে” প্রদীপ প্রজ্জ্বলন
- জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বান্দরবানে শোক র্যালী
- ডলার পাচার রোধে সতর্কাবস্থা
- মহাসড়কে ডাকাতি রোধে র্যাবের টহল জোরদার
- অবস্থান তুলে ধরবে বাংলাদেশ
- সরকারি হাসপাতালগুলোতে শুরু হচ্ছে ‘বাৎসরিক চেকআপ’
- বৈদেশিক লেনদেনে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের উদ্যোগ
- মধুমতীতে ছয় লেন কালনা সেতু উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
- বায়ুবিদ্যুতে চলবে কারখানা
- ডিসেম্বরে ভারত থেকে আসছে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
- বাড়তি ভাড়া আদায়: ৯০ বাসকে সোয়া ৩ লাখ টাকা জরিমানা
- দিনে সাশ্রয় হচ্ছে দেড় হাজার মেগাওয়াট
- ‘অমল রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে’
- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
- যেকোনো ভিসাতেই করা যাবে ওমরাহ
- পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি শুরু
- বান্দরবানে সেনা বাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ এক জেএসএস সন্ত্রাসী আটক
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নত জীবনের জন্য যেভাবে দেশকে প্রস্তুত করেছেন শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনার পরিকল্পনা:
জনগণের সাতটি মৌলিক চাহিদা পূরণের উদ্যোগ - যে হারে টোল আদায় হচ্ছে, খরচ উঠবে ৩৫ বছরে
- সন্ধ্যার পর কিশোর ও যুবকদের রাস্তা-ঘাটে দেখলে থানায় দেয়ার নির্দেশ
- শেখ হাসিনার দারিদ্র বিমোচন মডেল:
স্বনির্ভর বাংলাদেশে ভূমিহীনরাও আজ স্বাবলম্বী, ঘুরে দাড়িয়েছে অসহায় মানুষেরা - সন্তু`র গুলিতে প্রসীত খুন!
- বান্দরবানে খুনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড
- বান্দরবানে ভাল্লুকের আক্রমনে জুমচাষী আহত
- এনআইডি সংশোধনে ইসির নতুন নির্দেশনা
- বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেল চৌধুরী নামে এক যুবক নিহত
- রুমায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে অপহরণের অভিযোগ
- প্রথমে অনুরোধ, না শুনলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ
- বান্দরবান ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ছাত্র সংগঠনের কাউন্সিল সম্পন্ন
- লামায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর আত্মহত্যা
- বান্দরবানে মোবাইল ছিনতাই,দুই যুবক আটক
- বিদ্যুৎ অপচয় রোধে করণীয়
- জীবন ত্রিপুরার হত্যার প্রতিবাদে ত্রিপুরা সংগঠনগুলো এবারও প্রতিবাদ জানাবেন তো??
- সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণে সরকার সর্বদা আন্তরিক: প্রধানমন্ত্রী
