শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২
স্বাধীনতার পরপরই দেশের তরুণপ্রজন্মের বিকশিত ভবিষ্যতের জন্য খেলাধুলা প্রসারে উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই, ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের তারকা ফুটবলারদের নিয়ে প্রথম খেলার আয়োজন করেন বঙ্গবন্ধু। মে মাসে ভারতের অন্যতম সেরা দল মোহনবাগানকে নিয়ে আসা হয় মোহামেডানের বিরুদ্ধে খেলার জন্য। দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করাতে, ১৯৭৩ সালে রাশিয়ার মিন্স্ক ডায়নামো ক্লাবকে ঢাকায় নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু। এমনকি বঙ্গবন্ধুর উৎসাহ ও আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের কারণেই ১৯৭৫ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার ব্যবস্থা হয় বাংলাদেশ ফুটবল দলের।
সেই ধারাবাহিকতাতেই, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই আবারো দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ফুটবল দল দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়। এমনকি ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ঢেলে সাজানো হয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ভালো কোচ এনে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় খেলোয়ারদের। ফলে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, লাভ করে ওডিআই স্ট্যাটাস। এরপরেই ১৯৯৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম জয় এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় ক্রিকেট দল।
এছাড়াও ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের টেবিল ডিপলোম্যাসির কারণে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, ফলে আইসিসির সব সুযোগসুবিধা যোগ্য দাবিদার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। মূলত এই স্টাটাস অর্জনের কারণেই পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এতো উন্নতি সম্ভব হয়েছে। টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির মাধ্যমে ক্রিকেটের উন্নতির সুদূর প্রসারী লক্ষ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের আশ্রয় নেয় আওয়ামী সরকার। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপ, আইসিসি নকআউট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ত্রিদেশি সিরিজ, ১৯৯৯ সালে মেরিল কাপ আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলোকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে খেলানোর কৌশল নেওয়া হয়।
এরপর টেস্টখেলুড়ে দেশগুলো সফর করে তাদের বোর্ডের কাছে বাংলাদেশে ক্রিকেটের সম্ভাবনা এবং বাজার সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য তুলে ধরা হয়। এমনকি ক্রিকেটের বুনিয়াদ গঠনের জন্য ১৯৯৯-২০০০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লীগের মাধ্যমে চারদিনের ম্যাচ চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। বহুমুখী প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার ফলে আজ বিশ্বব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে টিম টাইগার।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর নারীদের খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। ফলে ২০১১ সালে ওডিআই স্ট্যাটাস পায় নারী ক্রিকেট দল। নিয়মিত পরিচর্যার কারণে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জয় এবং ২০২১ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে নারী ক্রিকেটাররা। দেশজুড়ে জেলাভিত্তিক খেলাধুলায় সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষতার কারণে নারীদের ফুটবল দলেও সাফল্য আসে। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার শেষ্ঠত্ব অর্জন করে অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দল। ২০২২ সালেই প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় জাতীয় নারী ফুটবল দল।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়