নিরাপত্তাবলয়ে আসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩
নিরাপত্তা-বলয়ের মধ্যে নিয়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ডিজিটাল সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় আসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা। বিশেষ এ সেন্সরযুক্ত ক্যামেরায় যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট গতিসীমা ক্রস করা যানবাহনের নামে ভিডিও মামলা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭২টি নতুন হাইওয়ে থানার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একই সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন বন্ধে জোরালো অভিযানও চালানো হবে। মহাসড়কে কর্মরত হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬১টি বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সারা দেশে ৯ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার কিলোমিটার রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের আওতায়।’ তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট পর্যন্ত ২৫০ কিমি সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেমের কাজ প্রায় শেষ। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে। ইতোমধ্যে কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে বর্তমান ৯৬টি জাতীয় মহাসড়কের পরিধি ৩ হাজার ৯৯৪ কিলোমিটার ও ১২৬টি আঞ্চলিক মহাসড়কের পরিধি ৪ হাজার ৮৮৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া জেলা সড়ক রয়েছে ১৩ হাজার ৫৯২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে জাতীয় মহাসড়কে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এ সড়কে অবাধে থ্রি-হুইলার যানবাহনের চলাচল, বেপরোয়া গতি ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধ বিচরণ। এ কারণে দেশের মহাসড়কে তথা হাইওয়েতে নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে পুলিশের বিশেষ ইউনিট ‘হাইওয়ে পুলিশ’ বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সেন্সরযুক্ত সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরায় এক মাস পর্যন্ত ফুটেজ সংরক্ষণ থাকবে।
এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। পর্যায়ক্রমে বাকি সড়কগুলোতেও কাজ শুরু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। যেসব সড়কে সিসি ক্যামেরা থাকবে, সেখানে কোনো গাড়ি আইন অমান্য করলে সেটির নম্বর প্লেট কন্ট্রোল রুমে সিসি ক্যামেরার পর্দায় (স্ক্রিনে) ভেসে উঠবে। ফলে ‘অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা’য় গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলার আওতায় আসবে। এরপর ঠিকানা যাচাই-বাছাই হওয়ার পর মামলার কাগজপত্র চলে যাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায়। এসব বিষয়ে তদারকির জন্য প্রতিটি জোনে বসানো হবে আলাদা আলাদা কন্ট্রোল রুম। একই সঙ্গে বিষয়গুলো আরও তদারকির জন্য নতুন করে ৭২টি হাইওয়ে থানা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হওয়ার পর অটোমেটিক নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ, যানবাহনের গতিপথ নির্ধারণ, হাইস্পিড ডিটেকশন ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যান দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরা স্থাপিত হলে অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায়ও রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের নম্বর প্লেটের স্পষ্ট ছবি ধারণ ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোনো ঝামেলা বা অপরাধের কারণে লোকসমাগম বেশি হলে মনিটরিং সেলে আগাম সংকেত চলে আসবে। আইন অমান্য করার পর পুলিশ না ধরলেও সমস্যা নেই। যানবাহনের ঠিকানায় মামলার কাগজপত্র চলে যাবে। মামলার তথ্য চলে যাবে যানবাহনের মালিকের মোবাইলেও। বিভিন্ন উন্নত দেশে এভাবেই যানবাহনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কয়েকটি পুলিশ স্টেশনে সিসিটিভির কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদর দফতর ও হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতরেও আলাদাভাবে কন্ট্রোল রুম থাকবে। টমটম-নসিমনসহ থ্রি-হুইলার যানবাহন মহাসড়কে উঠলেই তা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পাবে কন্ট্রোল রুম। এরপর ওই এলাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হবে। ওই কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এ ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে ডাম্পিং করার নির্দেশনা থাকবে।
জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসানো সিসি ক্যামেরা কার্যক্রমকে টেস্ট হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়াতে চারটি জোন করা হয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকা, কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম। এসব জোনের ২৫০ কিলোমিটার জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। ৪টি জোনে ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা বসছে। এসবের মধ্যে লং ভিশন পিটিজেড ডোম ক্যামেরা ১৬টি, পিটিজেড ডোম ক্যামেরা ৪৭১টি, বুলেট ক্যামেরা ৯২৪টি ও চেক পয়েন্ট ক্যামেরা ১৬টি। বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যাকআপ পাওয়ার সিস্টেমসহ ৪৯০টি স্থানে ভিডিও সাইটপোল থাকবে। পাশাপাশি একটি সেন্ট্রাল কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ৫টি মনিটরিং সেন্টার, ৫ পেটাবাইটের ডেটা সেন্টার, ডেটা সেন্টারের মডিউলার সিস্টেম (এসিসহ), নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ভিডিও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভিপিও অ্যানালাইসিস সিস্টেম ও অটোমেটিক নম্বর প্লেট রিকগনিশন সিস্টেম রয়েছে।
এ ছাড়া হাইওয়েতে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি করে নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা পণ্যবাহী যানবাহন থেকে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার মালামাল চুরি বা ছিনতাই রোধ করতে এটি সহায়তা করবে। ডিজিটাল অটো ফাইন সিস্টেম, যানবাহনের গতিপথ শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন, ট্রাফিক ফ্লো বিশ্লেষণ, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যানবাহন শনাক্ত, সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ শনাক্ত, গুরুত্বপূর্ণ বস্তু শনাক্ত করার লক্ষ্যে সারা দিনের ভিডিওর সারাংশ তৈরি করে সংক্ষিপ্ত আকারে দেখা, ভিডিও অনুসন্ধান করা, অপরাধ বিশ্লেষণ ও অপরাধীকে শনাক্ত, হাইওয়ের রিয়েল টাইম মনিটরিং, অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা বস্তুর আচরণ বিশ্লেষণ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তথ্য মোতাবেক মহাসড়কে ট্রাফিক ও অপরাধ-সংক্রান্ত ঘটমান যে কোনো তথ্য দ্রুততার সঙ্গে পাওয়া যাবে। এ সুবিধাগুলো অন্য মহাসড়কগুলোর সিসি ক্যামেরায়ও রাখা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (মিডিয়া) মো. শামসুল আলম বলেন, গত সাত মাসে মহাসড়কে আইন অমান্য করায় ১ লাখ ২০ হাজার ১৩টি যানবাহনকে ৩৪ কোটি ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই সময়ে মহাসড়কে ১ হাজার ৪৭৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১ হাজার ২৪২ জন নিহত এবং ১ হাজার ৪৯৭ জন আহত হয়েছেন। গত সাত মাসে মহাসড়ক থেকে ৪০ হাজার ২০১টি থ্রি-হুইলার জব্দ করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার