দেশের উন্নয়নে ইস্পাত সাফল্য
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
► কর্মসংস্থান তিন লাখ মানুষের
► আগামী পাঁচ বছরে বর্তমান কম্পানিগুলো আরো ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে
► নীতি সহায়তা পেলে আরো শক্তিশালী হবে এই খাত
মেগাপ্রকল্প আর দেশজুড়ে অকাঠামো নির্মাণযজ্ঞে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে দেশের উন্নয়ন সাফল্য। অব্যাহত এ সাফল্যে সিমেন্টের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে ইস্পাতশিল্প। উদ্যোক্তারা বলছেন, বড় বড় প্রকল্প, দ্রুত নগরায়ণ এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি এ খাতে বড় চাহিদা তৈরি করেছে। সেই চাহিদা পূরণে বিনিয়োগও বেড়েছে। দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান আরো বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং বাড়তি শুল্ককরের বোঝা না চাপানো হলে এই শিল্পকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
ইবিএল সিকিউরিটিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে দেশে ইস্পাতের মাথাপিছু ব্যবহার ছিল ৪৫ কেজি। ২০২২ সাল নাগাদ এ চাহিদা বেড়ে হবে ৭৩ কেজি। দেশের শীর্ষ উৎপাদকদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত উৎপাদিত হয়, যার বাজারমূল্য ছিল ৩৫৭ কোটি ডলার। ২০২২ সাল নাগাদ এ বাজার হবে দ্বিগুণ। আগামী দুই দশকে দেশের এ খাতে বার্ষিক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হবে। বর্তমানে ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত দেশের সাতটি মেগাপ্রকল্পে বিপুল পরিমাণ ইস্পাতের প্রয়োজন হচ্ছে, কিন্তু করোনায় ইস্পাতের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধে বিশ্ববাজারে স্ক্র্যাপের দুষ্প্রাপ্যতা তৈরি হওয়ায় রডের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশে ইস্পাত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হচ্ছে স্ক্র্যাপ, স্পঞ্জ ও পিগ আয়রন। কাঁচামালের ৯০ শতাংশের বেশি আমদানি করতে হয়। ২০১৬ সালে এসব কাঁচামাল আমদানি হয় ২৫ লাখ মেট্রিক টন, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। যদিও ২০১৬ সালে দেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে এক কোটি মেট্রিক টন ইস্পাত আসে, যা দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ পূরণ করে।
উদ্যোক্তারা জানান, ভারী শিল্প ইস্পাত খাতে পণ্য উৎপাদনেই খরচ হয় আয়ের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। করোনায় ইস্পাতশিল্পের ক্ষতি ডিসেম্বর নাগাদ ১৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে।
ইস্পাত উৎপাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স সমিতির সভাপতি শেখ ফজলুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনায় আমাদের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আগামী দু-তিন বছরেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’ ব্যবসায়ীদের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, এ শিল্প যেন সেটা দ্রুত পায় সেই দাবিও জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএমএ) সভাপতি ও আনোয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো স্থাপনায় ব্যবহারের জন্য আমরা বিশ্বমানের স্টিল (ইস্পাত) উৎপাদন করছি। স্টিল ইন্ডাস্ট্রির ১৬ লাখ টন উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে এখন হয়েছে বার্ষিক ৫৫ লাখ টন। চলতি বছরটি বাদ দিলে বছরে অন্তত ১৫ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সরকারের অবকাঠামো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে গতি অব্যাহত থাকলে এই শিল্পের সক্ষমতা আরো বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘ইস্পাতশিল্প হলো একটা দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার। এই শিল্পকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা চিন্তাই করা যায় না। আমরা আশাবাদী, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলে আবার হয়তো ভালো প্রবৃদ্ধিতে ফিরে যেতে পারব।’
সরকারকে নির্মাণ খাতে বেশি করে ব্যয় করার অনুরোধ জানিয়ে বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেন গুপ্ত কালের কণ্ঠকে বলেন, এ খাত যদি প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে তবে সংশ্লিষ্ট সব খাত চাঙ্গা হবে। নির্মাণ খাত চাঙ্গা করে তুলতে হবে সরকারকে, এ জন্য চাহিদা তৈরি করতে হবে। যদি চাহিদা তৈরি হয়, তবে পণ্য বিক্রি বাড়বে। বিপুল অর্থপ্রবাহে চাঙ্গা হয়ে উঠবে নির্মাণসংশ্লিষ্ট সব শিল্পই। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি টন স্টিল উৎপাদনে সরকারকে কর দিতে হয় কমপক্ষে এক হাজার ১৫০ টাকা, কিন্তু এ পরিমাণে কর দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ মুনাফা করা প্রয়োজন তা এ মুহূর্তে করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০০ ইস্পাত কারখানা রয়েছে। মোট উৎপাদনক্ষমতা ৯০ লাখ মেট্রিক টন, যদিও দেশের বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন।
ইবিএলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবুল খায়ের, বিএসআরএম ও কেএসআরএম বিলেট সক্ষমতার ৯০ শতাংশের বেশি উৎপাদন করে, যা দেশের বার্ষিক চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি পূরণ করে। এসব কম্পানির পাশাপাশি ইস্পাত উৎপাদনে ব্যবসা বাড়াচ্ছে আনোয়ার গ্রুপ, কেএসআরএম, জিপিএইচ, আনওয়ার, রানি, এসএসআরএমসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশের ইস্পাতের বাজারে জোরালো অবস্থান তৈরি করতে যাচ্ছে চীনারাও। কুনমিং আয়রন ও স্টিল হোল্ডিং কম্পানি (কেআইএসসি) ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচ থেকে সাত বছরে বাজারের বর্তমান কম্পানিগুলো আরো ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এ খাতে।
গত বছর বিশ্বে অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয় ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টন, যা ২০১৮ সালের চেয়ে ৩.৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে এশিয়ায় উৎপাদিত হয় ১৩৪ কোটি ১০ লাখ টন, যা আগের বছরের চেয়ে ৫.৭ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি নির্মাণ খাতের আরেকটি প্রয়োজনীয় পণ্য সিমেন্টশিল্পেও ভবিষ্যতে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু করোনা মহামারিতে কারখানাগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বড় লোকসান গুনতে হয়েছে এ খাতে। ফলে ব্যবসা চালু রাখা এবং কর্মীদের বেতন পরিশোধ এখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এ শিল্পে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
এ খাতের সংগঠন বিএসএমএ সরকারের কাছে নীতি সহায়তা চায়। উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনায় সরবরাহব্যবস্থায় যে বিপর্যয় ঘটেছে তা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ৫০-৫৫ ডলার বাড়লেও দেশে ইস্পাতের দাম গত ছয়-সাত মাসে কমেছে ১৫ শতাংশ।
সংগঠনটির সভাপতি মানোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ শিল্পটা শতভাগ আমদানিনির্ভর হওয়ায় অন্যান্য শিল্প থেকে বেশিই ক্ষতির সম্মুখীন। স্টিল উচ্চ বিনিয়োগ, উচ্চ চলতি মূলধন, উচ্চ ব্যয়বহুল একটি শিল্প। এ খাতে বিক্রি বেশি, কিন্তু মুনাফা কম। করোনায় এ শিল্প ভয়াবহ ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। তাই এ মুহূর্তে ইস্পাতশিল্পে প্রণোদনার পাশাপাশি ভ্যাট, অগ্রিম কর, অগ্রিম আয়কর ও রেগুলেটরি কর ছাড় চান তাঁরা।
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট আলীকদমে
- বান্দরবানে রাজার মাঠে মঞ্চ তৈরি বন্ধে জেলা প্রশাসককে রাজার চিঠি
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- মেয়র আতিক বললেন বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের