তাদের ঘরে এলো প্রথম ঈদ, নিজেদের আয়ে কিনলেন পোশাক
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৩
মা-বাবা, ভাইবোন থেকেও না থাকার মতো। হিজড়া হয়ে জন্ম নেওয়ায় ছোটবেলায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বাবা-মা। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মা। আমাদের কোনও জায়গাজমি ও ঘরবাড়ি ছিল না। সরকারি জমিতে ঘর করে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার রাস্তাঘাটে থাকতে হবে না। উপহারের ঘরে জীবনের প্রথম ঈদ উদযাপন করবো। এই আনন্দের শেষ নেই।’
আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেছেন ময়মনসিংহ সদরের চরগোবদীয়া আবাসন প্রকল্পে উপহারের ঘর পাওয়া রাশি আক্তার। তিনি বলেন, ‘এখানে ঘর ও জমি পাওয়ার পর শাকসবজি আবাদ করেছি। ঘরের পাশেই মুরগি, কবুতর ও ঘুঘু লালনপালন করছি। এসব থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালানোর পর কিছু সঞ্চয় করেছি। সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে এবার ঈদের পোশাক কিনেছি, বাজার সদাই করেছি। এখন আর মানুষের কাছে হাত পাততে হয় না। নিজেই স্বাবলম্বী।’
শুধু রাশি নন, এই আবাসন প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া ৩৮ হিজড়া এখন স্বাবলম্বী। একই অনুভূতি সবার। আগে তারা রাস্তাঘাটে মানবেতর জীবনযাপন করতেন। ঈদ বলতে কিছুই ছিল না তাদের। উপহারের ঘর পেয়ে শাকসবজি আবাদ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করে সংসার চালিয়ে সঞ্চয় করছেন। ফলে এবারের ঈদ তাদের কাছে অন্যরকম হিসেবে ধরা দিয়েছে।
উপহারের ঘরে ঠাঁই পেয়েছেন রজনী। ঘরের পাশেই শাকসবজি আবাদ করেছেন। লাগিয়েছেন বিভিন্ন গাছ। করছেন হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন। এখন আর তাকে রাস্তায় গিয়ে টাকা তুলতে হয় না। নিজের আয়ে সংসার চলে। উপহারের ঘরে এবার একসঙ্গে ঈদ করতে পারার আনন্দে কেঁদে ফেলেন রজনী। বলেন, ‘হিজড়া হওয়ার কারণে সমাজ থেকে দূরে সরতে হয়েছে, তেমনি পরিবার থেকেও। বছরের পর বছর রাস্তাঘাটে থাকতে হয়েছিল। ঈদের আনন্দ আমাদের জীবনেও কখনও আসেনি। ঘর ও জমি পাওয়ায় এবার সব হিজড়া একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো। বলতে গেলে এটি আমাদের জীবনে প্রথম ঈদ। তাই অন্যরকম আয়োজন করেছি।’
রজনী আরও বলেন, ‘এখানে ঘর পাওয়া প্রত্যেক হিজড়া ঘরের পাশে শাকসবজি আবাদ করছে। কেউ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও কবুতর লালনপালন করে আয় করছে। তা দিয়ে সুন্দরভাবে সংসার চলছে। আবার কমবেশি সবাই কিছু টাকা জমাতে পারছে। এখন আর আমাদের কোনও কষ্ট নেই, শান্তিতে আছি।’
একই প্রকল্পের ঘর পাওয়া জুঁই বলেন, ‘আগে ভাড়া বাসায় থাকতাম। ঈদের সময় কাউকে দাওয়াত দিতে পারতাম না। এখন নিজের ঘর আছে। এবার ঈদের আনন্দ একসঙ্গে সব হিজড়া ভাগাভাগি করে নেবো। প্রতিবেশীদের দাওয়াত দেবো।’
রাবেনা বলেন, ‘নিজের আয়ের টাকায় এবার ঈদের পোশাক কিনেছি। কসমেটিকস কিনেছি। ঈদে কোথায় বেড়াতে যাবো, তাও ঠিক করে রেখেছি। উপহারের ঘর আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
হিজড়াদের সংগঠন সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভানেত্রী জয়িতা তনু বলেন, ‘ময়মনসিংহে এখনও অনেক হিজড়া রাস্তাঘাটে থাকেন। তাদেরও আবাসনের আওতায় আনা গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন। ইতোমধ্যে যারা উপহারের ঘর পেয়েছেন তারা প্রত্যেকে এখন স্বাবলম্বী। কেউ এখন আর রাস্তাঘাটে ভিক্ষা করতে যায় না। নিজেদের সম্মান বোঝে। স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। এবার আবাসন প্রকল্পে আমরা ঈদ করবো।’
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীসহ ভূমিহীন মানুষকে ঘর এবং জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তারা শাকসবজি উৎপাদন, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লালনপালন করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। ফলে তাদের কষ্ট দূর হয়েছে।’
এখনও জেলার অনেক হিজড়া উপহারের ঘর পাননি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তাদেরও ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে।এ পর্যন্ত জেলায় চার হাজার ১৮৯ জন অসহায় ও ভূমিহীন পরিবার উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু ঘর দেওয়া হবে; তা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
- শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত্যুবরনকারী শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত
- পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর
- বান্দরবানে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান,বিজিবি`র অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত ৩
- রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
- দুই পার্বত্য জেলায় ১৪৪ ধারা জারি
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানিতে বড় পতন
- জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি
- বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
- দুই মাসের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
- জুমের ধান কাটা শুরু, সবুজ পাহাড়ে
- ৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বান্দরবানে বিজ্ঞান মেলা
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- বান্দরবানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- সংস্কারের পর নির্বাচন
- তদন্তে সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে নাম বাদ
- দুর্গোৎসবে ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা
- জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল’ আজ তদন্তে নামছে
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১০ দিনে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র গ্রেফতার ৬৪
- শহীদদের তালিকা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- রুমায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার প্রতিশোধ
- টিভিতে আজকের খেলা
- পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিলের দাবি
- বান্দরবানে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১৩১ নম্বরে ফোন করলে মিলবে রেলের তথ্য ও সেবা
- বান্দরবানে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত
- দাম কমাতে আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক-কর কমানোর উদ্যোগ
- সৌর বিদ্যুতের ৩১ প্রকল্প বাতিল