সুপারিশ নয়, যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে এই পরিবর্তন :ইসি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩
সংসদ সদস্য বা কোনো বিশেষ ব্যক্তির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নয়, ১০টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখন্ডতা এবং স্থানীয় ভোটার-জনসাধারণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য আমলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
গত ১ জুন পিরোজপুর-১ ও ২, গাজীপুর ২ ও ৫, ফরিদপুর ২ ও ৪, কুমিলস্না ১ ও ২ এবং নোয়াখালী ১ ও ২ আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনে নির্বাচন কমিশন।
কাকে পাস আর কাকে ফেল করানোর জন্য ১০ আসনের সীমানায় পরিবর্তন করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আমাদের নির্বাচনী আসন জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের জন্য খসড়া প্রকাশ করতে হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে তালিকা ছিল সেটাই আমরা খসড়া হিসেবে প্রকাশ করেছিলাম। এই কমিশনের যে চিন্তা-ভাবনা, তা হলো যেহেতু দু'টি নির্বাচন মোটামুটি এই সীমানায় হয়েছে এবং ১৮ সালে নির্বাচন হয়েছে, এটাকে যতটা সম্ভব পরিবর্তন না করা। ২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। তার আগে আরও বেশি ছিল। এসব পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যত পরিবর্তন কম করা যায়, এটা ছিল আমাদের টার্গেট।
তিনি আরও বলেন, আইনে যেহেতু বলা আছে খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে, আমরা সেটা করতে বাধ্য। এজন্য খসড়া প্রকাশ করার পর আহ্বান করেছিলাম।
এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল, যে খসড়াটা ঠিক আছে কোনো রকম পরিবর্তন করার দরকার নেই। কমিশন এরপর শুনানি দিয়েছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ জমা দিয়েছে; আমরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করেছি একাধিক বৈঠকে। আমরা চার দিন শুনানি নিয়েছিলাম। সবকিছু দেখে যেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, সেটা হলো যে, সংশ্লিষ্ট এলাকার ভেটাররা কী মনে করেন, আমরা কোনো স্থানীয় নির্বাচনে কে আসবেন, কে আসবেন না, কে হয়েছেন, কে হয়নি, সেটা দেখার বিষয় না। আমাদের দেখার বিষয় হলো, আগামী নির্বাচনে কে নমিনেশন পাবেন, কোন দল থেকে সেটা তো আমরা জানি না। অতএব, ওনারদের বক্তব্য যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার বেশি গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকার ভোটার কী বলেন। ভোটারদের সবাইকে তো আর ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে এমপি মহোদয় আছেন তাদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। দেখা গেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো এমপি মহোদয় এরকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন। আমরা দুটো ধৈর্য সহকারে শুনেছি এবং পর্যালোচনা করেছি।
অন্য প্রশ্নের জবাবে সীমানা নির্ধারণ কমিটির প্রধান বলেন, আমাদের আইনে আছে ভৌগোলিক অখন্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনো হয়নি। কেননা, জনসংখ্যা যদি আমরা আমলে নিতে যাই তাহলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে। আমরা এটা করি না। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক ভৌগোলিক অখন্ডতা আছে, তবে উপজেলা ভিত্তিক নেই অনেকগুলো আসনে। এখন এই ধরনের অখন্ডতা করতে যাই তাহলে বিশাল... ২০০ এর মতো আসনে প্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। আর ইউনিয়ন ভিত্তিক দেখি তাহলে আমাদের খুব একটা পরিবর্তন আনার দরকার হয় না। তবে আমরা যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি সেটা হলো স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি যারা আছেন, তারা যে আবেদনগুলো করেছেন। কারণ কে এমপি পদে দাঁড়াবেন, কে দাঁড়াবেন না সেটা তো আমরা জানি না। কাজেই সেই ভিত্তিতে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
জনসংখ্যার বণ্টন নিয়ে এটা করতে গেলে ঢাকায় একটা ওয়ার্ড আছে, যেটাকে আসন করতে হয়। এটা তো করা কঠিন। বর্তমান জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতি আসনে যদি ৫ লাখ ৫৫ হাজার করে ধরি, ঢাকায় ১০টা, গাজীপুরে ৫টা আসন বাড়বে। সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতেও বাড়বে। এগুলো তো সিটিতে চলে আসছে। এজন্য আমরা প্রাধান্য দিয়েছি প্রশাসনিক অখন্ডতা এবং ভৌগোলিক সুবিধা এবং স্থানীয় পর্যায়ে যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের বক্তব্য আমলে নিয়েছি।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ১২৬টি আবেদনের মধ্যে ৮৪টি কুমিলস্না থেকে এসেছে। সিরাজগঞ্জ থেকে অনেক পড়েছে। এই হিসেবে অনেক মনে হয়েছে। বেশ কিছু আবেদন ছিল, আসন সংখ্যা বাড়ানো, সে ক্ষমতা তো ইসির নেই। প্রত্যেকটা আসনে কে পক্ষে কে বিপক্ষে বলে সব রেকর্ড করেছি। একেবারে আদালতের রায়ের মতো করে।
কাউকে সুবিধা বা অসুবিধা ফেলবার কোনো সিদ্ধান্ত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে, সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেগুলো আবেদন যৌক্তিক মনে হয়েছে, সেগুলো আমলে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের লজিক্যাল কাজ করার ক্ষমতা সংবিধান দিয়েছে, আইন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে।
জনপ্রতিনিধিরা চাননি এরপরও পরিবর্তন করা হয়েছে, এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে কোর্টে যান। বর্তমান এমপি মহোদয় হয়তো বলেছেন এটা পরিবর্তন হবে না। যেমন দুই এমপি বলেছেন চেঞ্জ করতে হবে। আমরা যেটা লজিক্যাল মনে করেছি, সেটা করেছি। আবার একজন বলেছেন আমরা করিনি।
যেখানে দুই এমপি চেয়েছেন, আমরা কিন্তু লজিক্যাল মনে না হওয়ায় উনার চাওয়া অনুযায়ী করিনি। দুইজন হয়তো চেয়েছেন, লজিক্যাল মনে হলে আমরা করেছি। কিন্তু দু'জন এমপি চেয়েছেন বলে করেছি, তা নয়। তাহলে তো আমরা ৩৮টি আসনে পরিবর্তন আনতাম।
মো. আলমগীর বলেন, কে বললেন, কী বললেন, না বললেন সেটা মুখ্য বিষয় ছিল না। আমাদের কাছে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখন্ডতা এবং এলাকার ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণ কী চায়, সেটা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় ছিল। কারণ কারা নমিনেশন পাবেন সেটা তো আমরা জানি না। সবার জন্য যাতে সমান মাঠ হয়, সেটা চিন্তা করেই আমরা কাজটি করেছি।
বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার আরও বলেন, কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে আমরা চিনি না। কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখি না, ইন্টারভিউও দেই না।
আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে কারো কারো বিরুদ্ধে, বিষয়টি নিয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, যে অভিযোগ করেছেন তার কাছে নিশ্চয়ই প্রমাণ আছে। তাকে সেই প্রমাণ নিয়ে হাজির হতে হবে আদালতে অথবা দুর্নীতি দমন কমিশনে। প্রমাণের দায়িত্বও তো ওনার। অথবা আমাদের কাছেও আনতে পারেন। আমরাও বিষয়টি দেখব।
১২ জুন অনুষ্ঠেয় তারাকান্দা পৌর ভোটকে কেন্দ্র করে অনেককে মারধর করা হয়েছে, তারা পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ইসিতে এসেছেন। তারা বলেছেন, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে ইসির ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা দেখিনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন, আইজিপিসহ সবাইকে ডেকে আমরা বলেছি, আইন না মানলে ফল ভোগ করতে হবে। আমরা ঘটনাটা জানার চেষ্টা করব। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার