শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০
বান্দরবানের স্বর্ণমন্দিরে যশোরের দুই পর্যটকের উপর মারধরের ঘটনায় গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা দৈনিক বান্দরবানে "বান্দরবানের স্বর্ণমন্দিরে পর্যটককে মারধরের অভিযোগ" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আজ (শনিবার-১৪ই মার্চ) দুপুর প্রায়১টার দিকে স্বর্ণমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উপঞঞা জোত মহাথেরো(উচহ্লা ভান্তে) তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক (U Pannya Jota Thera) আইডিতে পর্যটককে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ না করে উল্টো উদ্ধতপূর্ণ আচরন মূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন "নিরাপত্তার ও ধর্মীয় পরিবেশ বিঘ্নিত হতে থাকলে আবার পূর্বের ন্যায় স্বর্ণ জাদীতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করতে বাধ্য হবো"
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাসে বান্দরবানের একজন সচেতন নাগরিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সারাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা থেকে বান্দরবান একটি ভিন্নতম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ ধর্মসহ অন্যান্য সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নিরাপত্তা ও ধর্মীয় পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তিনি স্বর্ণ জাদি বন্ধ করে দিতেই পারেন। কিন্তু যেহেতু গত ১২মার্চ তারিখে যশোরে পর্যটকদের মারধরের একটা ঘটনা স্বর্ণমন্দিরে সংগঠিত হয়েছে সেহেতু ১২মার্চের ঘটনার জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করতেই পারতো। কিন্ত তিনি তা না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে উস্কানিমূলক এবং উদ্ধতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে কাজ টি মোটেও ঠিক করেন নি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ই মার্চ বৃহস্পতিবার বান্দরবানে ভ্রমণে আসে যশোর জেলার বেশ কয়েকজন পর্যটক। তারা বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বান্দরবানের বালাঘাটাস্থ স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে চারপাশের বিভিন্ন সৌন্দর্য অবলোকন করার একপর্যায়ে যশোর থেকে আসা এএসএম সাইদুর রহিম ও তার বন্ধু শহিদুর রহমান র্স্বণমন্দিরের একটি মূর্তিতে হাত দেয়ার কারণে তাদের দুইজনকে স্বর্ণমন্দিরে থাকা পচো মার্মা ও চান্দাভা ভান্তের নেতৃত্বে একটি স্থানে নিয়ে প্রচুর মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাদের সাথে যশোর থেকে আসা পর্যটকরা আত্মরক্ষার জন্য স্বর্ণ মন্দিরে নিয়োজিত পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে তাদের উদ্ধার করে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়