নিরাপত্তায় আনসার: আগ্রহ দেখাচ্ছে একাধিক দূতাবাস
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৩
ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতদের নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের পর একাধিক দূতাবাস এসকর্ট সুবিধা নিতে আনসার বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কোনো দূতাবাস এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আনসার চেয়ে চিঠি না দিলেও মৌখিকভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
তারা বলছে, আনসার এসকর্ট নিতে আগ্রহীদের মধ্যে বিশ্বের ক্ষমতাধর কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। দূতাবাস থেকে চিঠি পাওয়া সাপেক্ষে আনসারের জনবল ও অন্যান্য সুবিধা দেয়া হবে।
তবে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে এই নিরাপত্তা সুবিধা নিতে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। প্রতিজন আনসার সদস্যের জন্য গুনতে হবে মাসে ৩শ’ ডলার। আর গাড়ি ব্যবহার করলে প্রতি মাসে আরও এক হাজার ডলার দিতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনসার সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সরকার পুলিশের এসকর্ট প্রত্যাহার করার পর আনসার সদস্যদের মাধ্যমে এসকর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সেটা অর্থের বিনিময়ে।
১৮ মে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ আনসারের মহাপরিচালকের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরই বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তারা এই সেবা পেতে পারে তা ওই নোট ভারবালে জানানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দূতাবাসগুলোতে নোট ভারবাল পাঠানোর পর একাধিক দূতাবাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শীর্ষ ক্ষমতাধর কয়েকটি রাষ্ট্রের দূতাবাস আমাদের প্রশিক্ষিত সদস্যদের হায়ার করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ ইফতেহার আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি। পেলে আমরা ডেপলয়মেন্ট করব। সেই প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।’
সরকার ১৪ মে ৬টি দেশের রাষ্টদূতরা রাস্তায় চলাচলে পুলিশের যে বাড়তি এসকর্ট সুবিধা পেতেন তা প্রত্যাহার করে নেয়।
স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কয়েকটি দেশের মিশন প্রধান সড়কে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের জন্য পুলিশের প্রটোকল পেতেন। পরবর্তীতে আরও কিছু দেশ এই সুবিধা চাওয়া শুরু করে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় এই প্রটোকলের আর প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো দূতাবাস চাইলে অর্থের বিনিময়ে আনসারের প্রশিক্ষিত সদস্যদের নিতে পারবে।
পুলিশি এসকর্ট প্রত্যাহারের কারণ
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ অন্তত ৬টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার রাস্তায় চলাচলের সময় পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পেতেন। এই সুবিধাটা ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজে ব্যবহার হতো। কী কারণে এই এসকর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিবালয়ে ১৭ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, অগ্নি-সন্ত্রাসের একটা রাজত্ব হয়েছিল এখানে, তখন চারটি দূতাবাসকে আমরা সড়কে নিরাপত্তা দিতাম। এটি কিন্তু লিখিতভাবে দেয়া হয়নি। তারাও আমাদের অনুরোধ করেনি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম, যাতে করে তারা কোনোরকম অসুবিধায় না পড়ে।
‘আমরা মনে করি, সেই পরিস্থিতি এখন নেই। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন যে তাদের প্রয়োজন হবে, তাহলে নতুন করে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারাই সেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ জন্য অর্থ দিতে হবে। আর এই ব্যয় দূতাবাসকে বহন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের স্থাপনা ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা স্বাগতিক (হোস্ট) দেশের দায়িত্ব এবং তা অবশ্যই পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পুলিশের এসকর্ট প্রত্যাহারের পরদিন ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেয়া বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনবল সংকট ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে কূটনীতিকরা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছি না। কিন্তু এ বিষয়টির উল্লেখ করছি যে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, যে কোনো স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশনের স্থাপনা এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে কর্মীদের ওপর যেকোনো আক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই প্রধান উপ-মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার
- শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর মতবিনিময়
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না