মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৫ ১৪৩০
|| ০৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১
প্রতীকী ছবি
প্রিয় খাদ্য হিসেবে দইয়ের নাম অনেকেই খাদ্য তালিকাতেই উপররের দিকে থাকবে। শুধু খেতে সুস্বাদু বলেই নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। গরমের সময়ে টক দই শরীর ঠান্ডা রাখতে মূখ্য ভূমিকা রাখে ।আর দই খেলে আমাদের শরীর নানাভাবে উপকৃত হয়।
দইয়ে সাধারণত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন বি১২ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে শক্তি থাকে ২৫৭ ক্যালরি, শর্করা ৪.৭, চিনি ৪.৭, স্নেহ পদার্থ ৩.৩ গ্রাম, সুসিক্ত স্নেহ পদার্থ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৫ গ্রাম, ভিটামিনসমূহ ০.১৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১২১ মিলিগ্রাম।
তাহলে জেনে নেয়া যাক নিয়মিত দই খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-
মজবুত হাড় দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
হজমে সহায়তা অনেকেই হজমের সমস্যার কারণে দুধ খেতে পারেন না কিন্তু দই খেলে সমস্যা হয় না। খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে দই।
উপকারী ব্যাকটেরিয়া দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।
রক্তচাপ কমায় দইয়ের পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য উপকারী দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
দেহের ছত্রাক প্রতিরোধ অনেকের দেহের সংবেদনশীল অঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণ হয়। আর এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে দই।
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণে পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতি সংবেদনশীলতা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকর দই।
ওজন কমাতে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দই খেলে দেহের ওজন কমে। এতে জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিকভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়