নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২১
হাড়ক্ষয় কী : হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে হাড়ক্ষয় বলে। এতে হাড় ফাঁপা এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য আঘাতে বা বিনা আঘাতেই হাড় ভেঙে যায়। হাড়ক্ষয় রোগকে কাঠে ঘুণে (ঘুণ) ধারার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে; পঞ্চাশোর্ধে প্রতি তিনজন নারীর একজন এবং প্রতি ৫ জন পুরুষের একজন হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন। অথচ তারা জানেই না যে তাদের হাড়ক্ষয় রোগ আছে।
কিছু পরিসংখ্যান দিলে হাড়ক্ষয় রোগের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা করা যাবে। বিশ্বে হাড়ক্ষয়ের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষের হাড় ভেঙে যায়, অর্থাৎ প্রতি ৩ সেকেন্ডে একজনের হাড় ভেঙে যাচ্ছে। পঞ্চাশোর্ধ নারী-পুরুষের হাড় ভাঙার ঝুঁকি ৪০%, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির সমান। নারীদের হাড়ক্ষয়জনিত কারণে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা সম্মিলিতভাবে হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক ও স্তন ক্যান্সারের চেয়েও বেশি (যোগফলের)।
আশ্চর্যের বিষয় যে শতকরা ৮০ জন মানুষই জানে না যে তার হাড়ক্ষয় আছে এবং হাড় ভেঙে গেছে, (বিশেষ করে মেরুদন্ডের হাড়) এবং তারা কেউই হাড়ক্ষয়ের চিকিৎসা গ্রহণ করেনি। একজন হাড়ক্ষয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে গেলে তার মৃত্যুঝুঁকি ৮ গুণ বেড়ে যায়। আর উরু সন্ধির হাড় ভেঙে গেলে তাকে সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। যত আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া হোক না কেন উরুসন্ধির হাড় ভাঙার এক বছরের মধ্যে শতকরা ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেন। যার সংখ্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের কাছাকাছি এবং নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণেই হাড়ক্ষয় রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। হাড় ক্ষয়জনিত কারণে হাড় ভাঙার পর মৃত্যু ঝুঁকির পাশাপাশি যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তাদের অনেকেই আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না।
অনেককেই জীবনযাপনের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসা ও নার্সিং সেবা গ্রহণ করতে হয়। ফলে শারীরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
কেন হাড় ক্ষয় হয় : দুই ধরনের হাড়ক্ষয় রোগ:
প্রাইমারি : বয়স বৃদ্ধির কারণে- আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত হাড় তৈরি ও ক্ষয় হয়। প্রথম প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত হাড় ক্ষয়ের তুলনায় হাড় বেশি তৈরি হওয়ার জন্যই আমাদের হাড় লম্বা ও মোটা হয় এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। ২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত হাড় তৈরি ও ক্ষয় সমান সমান হয় বলে হাড় স্থিতি অবস্থায় থাকে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড় তৈরির চেয়ে ক্ষয় বেশি হওয়ায় হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। মেয়েদের শরীরে একটি বিশেষ হরমোন থাকে যার নাম ইস্ট্রোজেন। এটি নারীর সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে মাসিকচক্রে কাজ করে। পাশাপাশি এই হরমোন হাড় হাড়ক্ষয়কারী কোষ অস্টিওক্লাস্টকে হাড় ক্ষয় করা থেকে নিবৃত্ত রাখে। ৪৫ বছর বয়সে এ হরমোন হঠাৎ করেই কমে যায় এবং নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ইস্ট্রোজেনের অভাবে হাড়ক্ষয়কারী কোষের কাজ বেড়ে গেলে হঠাৎ করেই হাড় তৈরির চেয়ে হাড় ক্ষয় বেড়ে যায় এবং হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এটাকেই পোস্ট মেনোপজাল (মাসিক বন্ধ পরবর্তী) হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপোরেসিস বলে। পাশাপাশি পুরুষের স্বাভাবিক গতিতেই ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয় হতে থাকে এবং ৬৫-৭০ বছর বয়সে তাদেরও হাড়ক্ষয় বেড়ে যায়।
সেকেন্ডারি অস্টিওপোরেসিস : এছাড়া অনেক রোগ বা ত্রুটিপূর্ণ জীবনযাপন ও কিছু কিছু ওষুুধ ব্যবহারের কারণে যে হাড়ক্ষয় হয় সেটাই মূলত সেকেন্ডারি।
হাড়ক্ষয় রোগের কারণসমূহ: হাইপার থাইরয়েডিজম রোগ ও ওষুধ হাইপার প্যারাথাইরেডিজম, হাইপোগোনাডিজম ডায়াবেটিস, কুসিং বিনড্রোম, পরিপাকতন্ত্রের অসুখ, বাতজাতীয় রোগ, কিডনির রোগ ও বেশ কিছু ওষুধ।
কাদের ঝুঁকি বেশি :
অসংশোধনযোগ্য ঝুঁকি: ১. বয়স বৃদ্ধি-পঞ্চাশোর্ধ ২. স্ত্রী লিঙ্গ/নারী ৩. উত্তরাধিকার ৪. ৪৫ বছরের আগেই মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫. অপারেশনের কারণে ডিম্বাশয় ফেলে দেওয়া ৬. অতি খর্বাকৃতি ৭. আগে হাড়ভাঙা ৮. যে কোনো কারণে দীর্ঘদিন শুয়ে বা বসে থাকা।
সংশোধনযোগ্য : ধূমপান, মদ্যপান কোমলপানীয় ও কফিপান, শরীরের ওজন কম হওয়া, স্বাস্থ্য খারাপ ও অনেকদিন শুয়ে/বসে থাকা।
উপসর্গ কি : হাড়ক্ষয় রোগের সাধারণত তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। কিছু কিছু কারণে আমরা অনুমান করতে পারি যে, হাড় ক্ষয় হতে পারে। যেমন উপরোক্ত উল্লেখিত ঝুঁকিসমূহ অবস্থা কি না। পূর্ব পুরুষ বা পরিবারে কারও হাড়ক্ষয় রোগ আছে কি না। যেসব রোগের কারণে সেকেন্ডারি হাড়ক্ষয় রোগ হতে পারে সেসব রোগ আছে কি না। যেসব ওষুধ সেবন করলে হাড় ক্ষয় হয় সেসব ওষুধ সেবন করে কি না। অনেক ক্ষেত্রে রোগী কোমর ব্যথা, মেরুদন্ড বাঁকা বা কুজো হয়ে যায়, উচ্চতা কমে যাওয়া এসব উপসর্গ থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষই হাড় ভেঙে যাওয়ার উপসর্গ নিয়ে আসে।
রোগ নির্ণয়ের জন্য কী করণীয় : উপসর্গ থাকুক বা না-ই থাকুক নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের DXA করে বি এমডির পরিমাপ করতে হবে। বিএমডি পরিমাপ করে হাড় ভাঙার ঝুঁকি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি।
কাদের বিএমডি পরীক্ষা করতে হবে : বাংলাদেশের জন্য- ১. ষাটোর্ধ্ব সব মহিলা ও পঁয়ষট্টি ঊর্ধ্ব সব পুরুষেরই হাড় ক্ষয় নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করতে হবে। ২. ৫০ বছর বয়সের পর হাড় ভেঙে গেলে ৩. মাসিক বন্ধ হওয়া নারীদের কোনো রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে ৪. পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে।
কীভাবে হাড়ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করা যায় :
চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি কথা আছে- প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। প্রতিরোধ শুরু করতে হবে শিশুকাল থেকেই। যাতে শিশুকাল থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের হাড়ের ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে। তার জন্য আমাদের নিয়মিত সুষম খাবার খেতে হবে যাতে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১.২ গ্রাম প্রোটিন পরিমিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খেতে হবে।
১. ডি সমৃদ্ধ খাবার : প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি না পাওয়া গেলে সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে ২. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে। ৩. কোমলপানীয় ও কফি যতদূর সম্ভব পরিহার করা। ৪. প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা সম্ভব হলে খালি গাঁয়ে সূর্যালোকে থাকার চেষ্টা করা। ৫. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, লাফানো বা দৌড়ানোর ব্যায়াম করা। মাংপেশির ব্যায়াম করলে যেমন হাড়ক্ষয় রোধ করে তেমনি মাংপেশি সবল ও মজবুত করে, ফলে পড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ৬. বয়স্ক রোগীরা যাতে ঘরের মেঝেতে, সিঁড়িতে বা বাথরুমে পড়ে না যার ব্যবস্থা করতে হবে।
চিকিৎসা কি : ১. প্রতিরোধের জন্য যেসব কথা বলা হয়েছে তার সবই করতে হবে।
২. হাড় ভেঙে গেলে তার চিকিৎসা করতে হবে। ৩. বর্তমানে বাংলাদেশে হাড়ক্ষয় রোগীর অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার যে কোনো একটি ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
৪. হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ ও চিকিৎসার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাই অবহেলা না করে আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে আরও যত্নবান ও সচেতন হতে হবে।
লেখক :অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সহিদুল ইসলাম, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি, এভারকেয়ার হাসপাতাল।
- বান্দরবান জেলা পুলিশের কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন
- রোয়াংছড়ি ৪টি স্কুলে মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
- ব্র্যাকের ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে উঠান বৈঠক
- বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে এতিম শিক্ষার্থীদের সম্মানে ইফতার মাহফিল
- বাঙালির হৃদয় আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা
- আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথেই বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানুষের অন্তরে থাকায় শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি
- চামড়া রপ্তানিতে উৎসে কর কমে অর্ধেক
- ভারত থেকে এলো ৪০০ মেট্টিক টন আলু
- পানগাঁও নৌবন্দরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে : সালমান এফ রহমান
- অধিগ্রহণের ১১৪ কোটি টাকা ছাড়, প্রকল্পে আসবে গতি
- আম গাছগুলোতে এখন মৌ মৌ করছে আমের মুকুল
- লামায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
- ঘুমধুমে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
- আলীকদমে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন
- বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বান্দরবান সেনা জোনের মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা
- বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করলো বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ
- শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে জেলা আওয়ামীলীগের নানা কর্মসূচি
- থানচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম পালন
- তরমুজ সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে
- গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- পাঠ্যক্রমে দক্ষতা যুক্ত না হলে কোর্স অনুমোদন-নবায়ন বন্ধ
- লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিআরটিসি
- নাবিকদের মুক্ত করতে চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- রংপুর থেকে ঢাকা সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা
- ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার
- সেই এসি ল্যান্ড প্রত্যাহার
- দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলার নতুন উদ্যোগ
- বান্দরবানে তিন উপজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ
- বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত এক
- ভারত সীমান্তে চালু হচ্ছে আরেকটি স্থলবন্দর
- রুমায় কেএনএফ এর হামলায় আহত বাসের লাইনম্যান
- থানচি পর্যটকের টাকা ও মোবাইল ছিনতাই
- বাণিজ্যিকভাবে জ্বালানি তেল উত্তোলনের পথে বাংলাদেশ
- বান্দরবানের তিন উপজেলায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে
- বান্দরবানে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- টোলের আওতায় আসছে দেশের সাত মহাসড়ক
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- কুড়ালের আঘাতে দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন
- মাতৃভাষা দিবসে ত্রিপুরা ছাত্রাবাস লাইব্রেরীর উদ্বোধন ও আলোচনা সভা
- পিছিয়ে পড়া খেয়াং নারীদের জীবন সংগ্রাম
- রুমা উপজেলা পরিষদে বম ও মারমা সম্প্রদায়ের বৈঠক
- ক্রীড়ার উন্নয়নে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে- বীর বাহাদুর
- টানা ছুটিতে চাঙ্গা বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসা
- মায়ানমারের ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ,এক বাংলাদেশী আহত
- সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন লামার কৃষক স্বজরাম ত্রিপুরা
- বান্দরবানের লামা ও আলীকদমে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- তরমুজ সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে