যেভাবে পোঁছবেন সন্তানের মনের মণিকোঠায়
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯
ভাল বাবা মায়ের কোনো সংজ্ঞা হয় না। কোনো তুলনা হয় না। এটা একটা ‘জার্নি’। কয়েকটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেই আপনার সন্তানের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেন আপনি।
বয়ঃসন্ধিতে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিশুসুলভ আচরণ বিরাজ করে, অন্যদিকে তারুণ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো বিকশিত হতে শুরু করে। এ সময় দৈহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশুরা পরিপক্কতা অর্জন করে।
এ বয়সে ছেলে-মেয়েদের চিন্তাভাবনা ও মেজাজের স্কেল সবসময় এক থাকে না। কখনো তারা আলোকিত, কখনো বিমর্ষ, কখনো বা পরিব্যপ্ত হয় এক ধরনের অস্থিরতায়। এই অস্থিরতা তাকে বিভিন্নভাবে আলোড়িত করে তোলে। পরিবারের সদস্যদের কথা শোনা, তাদের মান্য করার ইচ্ছাও প্রচ্ছন্ন থাকে।
এ বয়সে সমবয়সীদের প্রতি আকর্ষণ থাকে। প্রত্যেকে চায় নিজস্ব কিছু চেতনার আলোকে জগত ও জীবনকে উপলব্ধি করতে। এই বয়সে তারা স্বাধীনভাবে চলতে চায়। এই স্বাধীন ভাবে চলা ফেরার পথে যদি বাবা-মা বাঁধা দেয় তাহলে ছেলেমেয়েরা বিপথে যায়, এমনকি অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। আবার পরিবারে বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি থাকলে ছেলে-মেয়েরা বাইরে গিয়ে শান্তি খুঁজতে চেষ্টা করে।
এক্ষেত্রে বাবা-মাকে পালন করতে হয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
সন্তানের ১২-১৭ বছর বয়সে অভিভাবকরা খানিকটা সচেতন হলেই সুন্দর ভবিষ্যত পাবে শিশুরা। বয়সসন্ধির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার সন্তানের হাতটা ধরুন শক্ত করে।
মন দিয়ে কথা শুনুন: আপনার সন্তানের সব কথা খুব মন দিয়ে শুনুন। আপাত ভাবে সেগুলো যতই অযৌক্তিক মনে হোক না কেন। তবু ও কী বলছে বা কী বলতে চাইছে সেটা আগে শুনুন, বিচার করুন। তারপরই আপনার বক্তব্য তুলে ধরুন ওর সামনে। তবে আপনার মতামত ওর ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
ঘ্যানঘ্যান করবেন না: কোনো কাজ করা নিয়ে আপনার সন্তানের সামনে এক কথা বারবার বলবেন না। এই সময়টায় আপনার কথায় বৈচিত্র খুঁজতে থাকে অপরিনত মন। অন্যথায় বেঁকে বসতে পারে আপনার সন্তান।
বন্ধুত্ব: বাবা-মা কখনও বন্ধু হতে পারে না। আপনি ওর ‘বন্ধু স্থানীয়’ বা ‘বন্ধুর মতো’ হতে পারেন। তবে বন্ধু কখনই নয়। ও হয়ত আপনাকে সমস্ত কথা বলবে না। তবে এমন একটা বাতাবরণ তৈরি করুন যাতে ওর যেকোনো সমস্যার বেশিরভাগটাই আপনাকে এসে নির্দ্বিধায় বলতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার প্রতিক্রিয়াও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন।
মানসিক পরিবর্তন: সময় বদলেছে, প্রত্যক বাবা-মাকে মনে রাখতে হবে আপনার সন্তানের শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই আপনার পেরিন্টিং স্টাইলেও এ বার পরিবর্তন আনা দরকার। ছোটবেলায় যে ভাবে ওকে শাসন করতেন, তার ধরন বদলে ফেলুন আজই।
‘হিট ব্যাক’ আসতে পারে: অতিরিক্ত মারধর করবেন না। এতে পাল্টা আক্রমণ করতে পারে আপনার সন্তানও। তার চেয়েও বড় কথা হলো, আলোচনার মাধ্যমে আপনার কথাগুলো ওকে বোঝান।
পারস্পরিক আলোচনা দরকার: সপ্তাহে অন্তত একটা দিন সময় বাঁচিয়ে রাখুন ফ্যামিলি মিটিং-এর জন্য। এই দিনটায় ওর মুখোমুখি বসে ওর অভাব-অভিযোগগুলো নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করুন বাড়ির সকলে। এ ক্ষেত্রে ওর মন বুঝতে সুবিধে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ওর থেকে আড়াল করার প্রয়োজন নেই। বরং আলোচনা করুন। রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় ওর মতামত জানতে চান। এতে ওর মানসিক বিকাশ হবে।
সেক্স এডুকেশন প্রয়োজন: যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন ট্যাবু ভেঙে বেরিয়ে আসুন। কোনো ব্যাপারেই হঠাৎ করে সীমারেখা টানতে যাবেন না। তার চেয়ে বরং বিশ্লেষণের মাধ্যেমে ওর সামনে এ বিষয়ে একটা চিত্র তুলে ধরুন। মনে রাখবেন, কোনো বিষয় থেকে ওকে আটকানোর চেষ্টা করলেই সেই বিষয়ের প্রতি ওর ঝোঁক বেড়ে যাবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাও: ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশোনা না করিয়ে বিভিন্নরকম শারীরিক খেলাধূলায় ওকে উৎসাহ দিন। এতে ওর মন হালকা হবে। অনুভূতিগুলো প্রকাশ পাবে। বাইরের জগতে মিশতে ওকে উৎসাহ দিন।
সম্মান দু-তরফেই: আপনি আপনার খুদের থেকে সম্মান আশা করবেন এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু আপনি কি খেয়াল করেছেন ওর সঙ্গে আপনি কেমন ব্যবহার করেন? খেয়াল রাখুন। ওকেও ওর প্রাপ্য সম্মান দিন। তাতেই যথার্থ সম্মান ফেরত পাবেন আপনিও। বয়সের ফারাকের কারণে দুজনের পছন্দ মিলবে না কখনও। তবু ওর পছন্দের প্রতি আগ্রহ দেখালেই বিপরীতে আপনিও গুরুত্ব পাবেন।
নির্দেশ নয়, অনুরোধ করুন: এই বয়সের বাচ্চারা একটু বেশিই অভিমানী হয়। কাজেই আপনার বাক্যচয়ন, শব্দ চয়নে গুরুত্ব দিন। নির্দেশ না দিয়ে অনুরোধ করুন। এতে ফল পাবেন। বাবা-মাও যে ওর ওপর নির্ভর করছেন সেটা ওকে বোঝান।
গতিবিধিতে নজর: আপনার সন্তান কী ধরনের বই পড়ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কী ধরনের ওয়েবসিরিজে আশক্ত সে সবদিক খেয়াল রাখুন। ওর স্মার্টফোনেও নজর রাখুন। পাশাপাশি ওর কথাবার্তাও খেয়াল করুন। তবে কোনো বিষয়ে নির্দেশ চাপিয়ে দেবেন না।
কাউন্সিলিং প্রয়োজন: বয়সসন্ধি এমন একটা সময় যখন অনেক ক্ষেত্রেই সন্তানের গতিবিধি বুঝতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যদি মনে হয় আপনার সন্তান আপনার থেকে কোনো কথা লুকিয়ে রেখেছে, তখন তাকে এমন কারো কাছে নিয়ে যান যিনি ওর মানসিক পরিস্থিতি বুঝতে সক্ষম।
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ
- অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- বান্দরবানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ
- নাইক্ষ্যংছড়ি অগ্নিকান্ডে ৮ দোকান ও বাসাবাড়ি পুড়ে ছাই
- সশস্ত্র বাহিনীকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- প্রত্নসম্পদের ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বান্দরবানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা