চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২১
বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি ১৯৫৭-১৯৫৮ সময়ে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের কল্যাণে অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার প্রদান করেছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন চা চাষাবাদ, কারখানা উন্নয়ন, অবকাঠামো এবং শ্রমকল্যাণের ক্ষেত্রে চা শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগী কার্যকর উদ্যোগের ফলে চা’এর উৎপাদন এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এ দেশের চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। তাঁর অভিজ্ঞতা, দুরদর্শীতা ও দেশাত্ববোধের কারণে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত চা শিল্প পুনরায় নব-উদ্যমে যাত্রা শুরু করতে পেরেছিল।
বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতাত্তোর চা শিল্পের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য চা বাগানগুলোর পুনর্বাসন, নতুন চা এলাকা সম্প্রসারণ, চা কারখানা আধুনিকীকরণ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ জোরদারকরণের লক্ষ্যে কয়েকটি সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করে। এ সময়ে চা শিল্পের পুনর্বাসন ও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু কমনওয়েলথ সচিবালয়কে অনুরোধ জানান। চা শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২-৭৪ সন পর্যন্ত চা উৎপাদনকারীদের নগদ ভর্তুকি প্রদান করার পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ করেন। চা কারখানাগুলো পুনর্বাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ থেকে ৩০ লাখ ভারতীয় মুদ্রা মূল্যের ঋণ নিয়ে চা শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি করেন। বঙ্গবন্ধু চা বাগান মালিকদেরকে ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষণের অনুমতি প্রদান করেন।
চা বোর্ডের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার ঢাকার ১১১-১১৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ০.৩৭১২ একর জমি বরাদ্দ দেয়। বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এ ভবনের নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত হয়। ১৯৫৯ সালে অফিস ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে চা বোর্ড চায়ের আবাদ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরো বেগবান করতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান টি লাইসেন্সিং কমিটি বিলুপ্তির জন্য পাকিস্তান টি অ্যাক্ট ১৯৫০ এর ৭ নং ধারায় সংশোধন আনেন এবং কমিটির কার্যক্রম চা বোর্ডে ন্যস্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
১৯৫৭ সালে চা বোর্ডের অধীন পাকিস্তান টি রিসার্চ স্টেশন (বর্তমানে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট) শ্রীমঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সরাসরি হস্তক্ষেপ ও তৎপরতায় এ প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়। চা শিল্পের উন্নয়নে নবগঠিত টি রিসার্চ স্টেশন সম্প্রসারণ, গবেষণা কার্যক্রম ত্বারান্বিত করা, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের জন্য আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বঙ্গবন্ধুই তৎকালীন চা গবেষণা কেন্দ্রে একজন বাঙালি গবেষক যেন এ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হতে পারেন, সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. কে. এ. হাসানকে চা গবেষণা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তিনিই উর্দুভাষী পাকিস্তানী পরিচালক ড. এফ. এইচ. আব্বাসীর স্থলাভিষিক্ত হন।
বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন চায়ের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৯৫৭-৫৮ এবং ১৯৫৮-৫৯ সালের বাৎসরিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৫৭-৫৮ অর্থবছরে চায়ের একর প্রতি উৎপাদন ছিল ৬২১ পাউন্ড। ১৯৫৮-৫৯ অর্থবছরে একর প্রতি উৎপাদন ১২৪ পাউন্ড বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪৫ পাউন্ডে দাঁড়ায়। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের রপ্তানিও এ সময় বৃদ্ধি পায়। এ অঞ্চলের চা যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানী, বাহরাইন সহ বেশ কিছু দেশে রপ্তানি হতে থাকে। তৎকালীন চা বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫৭-৫৮ অর্থবছরে চা রপ্তানি করে আয় হয় ১৬ মিলিয়ন টাকা। ১৯৫৮-৫৯ অর্থবছরে ১১৭৩৬৮১২ পাউন্ড চা রপ্তানি করে আয় হয় ৩০ মিলিয়ন টাকা।
বঙ্গবন্ধুর সময় চা বাগানের উন্নয়ন ও উন্নত জাতের চা উদ্ভাবনে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। চায়ের উচ্চতর ফলন নিশ্চিতকরণ, সর্বোচ্চ গুণগতমান অর্জন ও রোগবালাই দমনে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। আর এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি এবং সিলেটের ভাড়াউড়া চা বাগানে ‘রেসিস্টেন্ট ক্লোন’ জাতের চারা লাগানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রথমে ক্লোন এবং পরবর্তীতে ক্লোন থেকে ক্লোনাল সীডবাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। উল্লেখ্য ভারতের টোকলাইতে ১৯৪৯ সালে ক্লোন উদ্ভাবন করা হলেও বঙ্গবন্ধুর আগে পাকিস্তানে এ উদ্যোগটি কেউ গ্রহণ করেননি।
বঙ্গবন্ধু টি অ্যাক্ট এ সংশোধনীর মাধ্যমে চা বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কন্ট্রিবিউটরী প্রভিডেন্ট ফান্ড (CPF) চালু করেছিলেন-যা এখনও চালু রয়েছে। এছাড়া তার প্রচেষ্টায় বোর্ডে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রাচুয়েটি প্রদানসহ অন্যান্য সুবিধা চালু হয়।
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার