রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না কোনোটির। জলবায়ু তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও চলছে অর্থের তছরুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে কক্সবাজার জেলার প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য বলতে গেলে ধ্বংস হতে চলেছে। এরইমধ্যে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এ জনগোষ্ঠী জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলের ৮ হাজার ১ দশমিক ২ একর বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করেছে, ব্যবহার করেছে জ্বালানি হিসেবেও। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ৪২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকারও বেশি। বনবিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তবে সংসদীয় কমিটির দাবি, ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। কমিটির মতে, ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। বিশদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৮ম সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ব্যাপক হারে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসতে থাকে। এখন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলের বনভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে। পুরনো দুটি নিবন্ধিত ক্যাম্প এবং নতুন অনিবন্ধিত ৩২টি ক্যাম্পসহ রোহিঙ্গাদের মোট ক্যাম্প ৩৪টি। ৬ হাজার ১৬৪ দশমিক ০২ একর বনভূমি দখল করে এসব ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। এতে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, ভূমিরূপ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় এবং মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বনজ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি টাকার অংকে প্রায় ৪৫৭ কোটি টাকা এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ৪০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মোট ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এতে আরও বলা হয়, ৫৮০ একর সৃজিত বন এবং এক হাজার ২৫৭ একর প্রাকৃতিক বনসহ ক্যাম্প এলাকার বাইরে জ্বালানি সংগ্রহে রোহিঙ্গারা বনাঞ্চল উজাড় করেছে এক হাজার ৮৩৫ একর। সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণে মোট ধ্বংসপ্রাপ্ত বনের পরিমাণ ৮০০১ দশমিক ০২ একর এবং সর্বমোট বনজদ্রব্য ও জীববৈচিত্র্যসহ ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বনবিজ্ঞানের অধ্যাপককে আহ্বায়ক এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে (কক্সবাজার) সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী কমিটির ৪ সদস্যকে নিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পরিবেশ, বন ও জীববৈচিত্র্যে যে প্রভাব পড়ছে তা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তারা দেখতে পান, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের ৮ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া বনজ সম্পদের আর্থিক ক্ষতি ২ হাজার ৪২০ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা।
নেমেছে পানির স্তর
বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি টিউবওয়েল স্থাপন করতে হয়েছে। এ কারণে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে। ওই অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থিত পানির ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পাশাপাশি পরবর্তী ক্ষতি রোধের উপায় এবং কতটুকু ক্ষতি পুষিয়ে আনা যাবে এবং এ উদ্দেশ্যে কী করণীয় সে সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, একটি গাছ তার শেকড়ের সঙ্গে পানি ধরে রাখে। এর কারণে ভূ-পৃষ্ঠের পানির স্তুর উপরের দিকে থাকে। যখন গাছটি মরে যায় বা যেখানে গাছ থাকে না সেখানে পানির স্তরে নিচে নেমে যায়। কক্সবাজারে অতিরিক্ত টিউবওয়েলের কারণে যেমন পানির স্তর নিচে নামছে, বন উজাড়ের কারণেও স্তর নেমে যাচ্ছে। এটা রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে কঠিন বিপদ অপেক্ষা করছে।
অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে একটা গবেষণা করেছি। তাতে দেখা গেছে, যখন ব্যাপক হারে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসতে শুরু করে তখন প্রথম তিন মাসেই কক্সবাজারের বনাঞ্চলের ১১ ভাগ ধ্বংস হয়ে যায়। সেখানে এক দিনে যেমন মানুষ বেড়েছে তার সঙ্গে তাদের নিঃসৃত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বেড়েছে। অপরদিকে গাছ কাটার মাধ্যমে কার্বন শোষণের ‘প্রাকৃতিক মেশিন’ বন্ধ হয়ে গেলো। দুই দিক থেকেই ক্ষতি হয়েছে। এখন দ্বিগুণ হারে সেখানে কার্বন জমছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন বিভাগ তো তাদের নিজস্ব একটা পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করেছে। তাতে দেখা গেছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা বলেছি এর বিশদ রিপোর্ট তৈরি করতে। কীভাবে ক্ষতির মাত্রাটা নির্ধারণ করা হবে সে জন্য রিপোর্টের একটা ভিত্তি, ক্যাটাগরি বা মডেল থাকতে হবে। এজন্য একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে। প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা দেখেছি, বনগুলো উজাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে।
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- কেএনএফ এর ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড,নতুন আরো ৩ নারি সদস্য কারাগারে
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৭
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়