শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২৫ ১৪৩১
|| ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অস্ত্রের লাইসেন্স আছে। সেই শটগান ও পিস্তল জমা পড়েনি। ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ-সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির নামে একটি পিস্তল লাইসেন্স করা থাকলেও সেটা থানায় জমা পড়েনি।
বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর নামে লাইসেন্স করা একনলা বন্দুকও জমা দেওয়া হয়নি। বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর একনলা বন্দুকটিও জমা পড়েনি। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরীর নামে লাইসেন্স করা শটগান ও পিস্তল জমা পড়েনি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম যুগান্তরকে জানান, ‘বৃহস্পতিবার যোগদান করে কয়েক ঘণ্টা অফিস করেছি। তবে এটুকু বলতে পারি যারা সরকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি, তাদের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কুমিল্লায় অস্ত্র জমা দেননি সাবেক এমপি বাহার ও সূচনার স্বামী রনি : কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, সদর আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং তার মেয়ে অপসারিত কুসিক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার স্বামী সাইফুল আলম রনি ও নাঙ্গলকোটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু অস্ত্র জমা দেয়নি। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা বাহারের বাড়িতে হামলার সময় অস্ত্র লুটে নিয়েছে বলে তার পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুর নামে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি পিস্তলের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, বাড়ি থেকে ৫ আগস্ট অস্ত্রটি হারানো গেছে বলে কালু থানায় জিডি করেছেন। তাই অস্ত্র জমা দিতে পারেননি। এছাড়াও অস্ত্র জমা দেননি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ২০০৯ থেকে এ থানায় ১৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে ১৭টি অস্ত্র থানায় জমা হয়েছে। মোশাররফ হোসেনের নামে ইস্যু করা পিস্তল তিনি এখনো জমা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মগোপনে দেশের বাইরে চলে গেছেন। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়