বান্দরবানের লামায় ঘর পাচ্ছেন আরও ১৭৫ পরিবার
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১
বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিনামূল্যে বিশেষ ডিজাইনের সেমি পাকা ঘর পাচ্ছেন আরও ১৭৫ পরিবারের মানুষ। বছরের পর বছর ঘর না থাকার কষ্টের জীবন শেষ হতে যাচ্ছে এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শর্ত বর্ষ উপলক্ষ্যে উপহার হিসেবে এসব ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রতি ঘরে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হারে এতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যারা ঘর পাচ্ছেন তারা এক সময় ঝুপড়ি ঘরে জরাজীর্ণ অবস্থায় জীবনযাপন করতেন। আগামী জুন মাসের মধ্যেই উপকারভোগী হত গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারগুলো সেমি পাকা ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। সরকারি পাকা ঘরে ঘুমাতে পারবেন এমন কল্পনায় খুশিতে আত্মহারা ঘরপ্রাপ্তরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীনদের সেমি পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে লামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৭৫টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নে ৩০টি, লামা সদর ইউনিয়নে ৩০টি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ২৬টি, আজিজনগর ইউনিয়নে ৩৫টি, রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ৩৫টি ও সরই ইউনিয়নে ১৯টি সেমি পাকা ঘর বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি শয়ন কক্ষ, একটি টানা বারান্দা, শৌচাগার সহ রান্না ঘর। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন। উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও জমি পরিদর্শনের কাজ শেষে গত এপ্রিল মাস থেকে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২৫ এপ্রিল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজের প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় কাজটি তদারকি করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান।
সরেজমিন ফাঁসিয়াখালী ও রুপসীপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শনে গেলে ঘরের কাজে নিয়োজিত রাজমেস্ত্রীরা জানান, ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ঘরের টিন আর রং লাগানো বাকী রয়েছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে ঘরের শতভাগ কাজ শেষ করতে পারবো। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি অলি বাপের জুম গ্রামের হতদরিদ্র বাসিন্দা হোসনে আরা, ঘিলাতলী পাড়ার নজির আহমদ, ইয়াংছা এলাকার উহ্লাচিং মার্মা ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের হ্লাচাই পাড়ার বাসিন্দা হ্লামেচিং মার্মা ও উক্যইপ্রু মার্মা বসবাস করতেন ঝুঁপড়ি ঘরে। তারা জানায়, অভাবের সংসারে কখনো নতুন করে সেমি পাকা ঘর তৈরী করার স্বপ্ন কল্পনাতেও আসেনি তাদের। যে স্বপ্ন কখনো কল্পনাতে আসেনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে পাওয়া তাদের সেমিপাকা একটি ঘর হচ্ছে। জুন মাসের মধ্যেই তারা সেই ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার এক সূরে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে গৃহহীন পরিবারকে বিশেষ ডিজাইনের ঘর দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারের এমন মহতি উদ্যোগের কারণে খুশি হত দরিদ্ররা।
উপজেলার ১৭৫ ভূমিহীন ও হতদরিদ্র পরিবার পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনুর রহমান বলেন, গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার এত বড় কর্মসূচি পৃথিবীতে আর একটিও নেই। ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’-এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে উপজেলায় আরো ১৭৫টি ঘরের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এর আগেও এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৫১ ভুমিহনি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিশেষ ডিজাইনের সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ জানান, এটিই বিশ্বে গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। এর মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আশা করি জুন মাসের মধ্যেই উপকারভোগীদেরকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করতে পারবো। ঘর পাওয়ার পর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে থাকতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- আলীকদমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটির সভা
- বৃষ্টির জন্য বান্দরবানে নামাজ আদায়
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- কেএনএফ এর ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড,নতুন আরো ৩ নারি সদস্য কারাগারে
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- কেএনএফ এর ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড,নতুন আরো ৩ নারি সদস্য কারাগারে
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক