শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২১
ম্যালেরিয়া ও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলায় উম্রানু মার্মা (১৭) নামের এক অন্ত:স্বত্তা নারীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান তিনি।
মৃত নারীর দেহে করোনা পজেটিভ ও ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমিত ছিল বলে নিশ্চিত করেন, বান্দরবান সিভিল সার্জন অং শৈ প্রু মার্মা। উম্রানু মার্মা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ধুঅং পাড়ার বাসিন্দা ধুংক্য মার্মার স্ত্রী।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা মৃত নারীর সৎকার সম্পন্ন করেন। এর আগে গত ৬ জুন একই ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ার গৃহবধূ আমেনা আক্তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ ও এনজিও কর্মী মিলে সর্বমোট ১১২ জন করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত ৭৮ সুস্থ হয়েছেন।
মৃত গৃহবধূর স্বামী ধুংক্য মার্মা জানান, প্রচন্ড জ্বর অনুভব হলে গত ৬ জুলাই উম্রানু মার্মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় পরীক্ষায় তার শরীরে ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড রোগ ধরা পড়ে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসকরা উম্রানুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ভর্তির পর উম্রানু মার্মার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠালে রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। পূণরায় সেখান থেকে নিয়ে উম্রানু মার্মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনেরা। এক পর্যায়ে শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে উম্রানু মার্মা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবর পেয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মো. পারভেজ মাসুদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবীর একটি টিম স্বাস্থ্য বিধি মেনে শনিবার বিকালে ওই গৃহবধূর সৎকার কাজ সম্পন্ন করেন। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা ও সদস্যসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মো. পারভেজ মাসুদ বলেন, উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মত মমতার পরশে করোনায় মৃত গৃহবধূর সৎকার সম্পন করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানায়, শুরু থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত উপজেলায় ৭৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেলেও ৭৮জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। বর্তমানে ১৬ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ও ১৮জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এর মধ্যে শনিবার সকালে উম্রানু মার্মা নামের এক নারী মারা গেছেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়