শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২১
চার বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে রুমা সাংগু কলেজ এলাকার জসিম কলোনি থেকে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
থানা পুলিশের উপস্থিতে স্থানীয়রা জসিম কলোনিতে ধর্ষক ও ভিক্টিমকে এক সাথে বসালে শিশুটি ধর্ষককে শনাক্ত করে। সেসময় ধর্ষণে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামও ঘটনাটি স্বীকার করে। পরে অভিযুক্ত ধর্ষক নুরুল ইসলামকে রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ রাকীব উদ্দিনের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাকীব উদ্দিন বলেছেন ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় গত ১৬ আগস্ট দুপুরে রুমা সদর ইউনিয়নের সাংগু কলেজ পাড়ার জসিম করোনিতে কলা দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে লম্পট নুরুল ইসলাম শিশুটিকে ধরে করে। ধর্ষক ও ভিক্টিমের মা জসিম উদ্দিন কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকেন। ধর্ষিতা ভিক্টিম শিশু ত্রিপুরা সম্প্রদায়। শিশুটি যন্ত্রণার বিষয়টি তার মাকে জানায়। তবে ভিক্টিম শিশুর মা কোথায় গিয়ে কার কাছে জানাতে হবে, তা ভেবে পাচ্ছিলনা। পরে শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় পাহাড়ি বাঙ্গালী সবার মধ্যে জানাজানি হলে পুলিশের নজরে আনে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায় কয়েক বছর আগে নুরুল ইসলাম রুমা সদরঘাটে জমি ভাড়া করে ক্ষেত করত। ওই সময় পশু প্রাণি গরু সাথে যৌন মিলনের অভিযোগ ওঠে। এতে এলাকা হৈচৈ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জমির মালিক নুরুল ইসলামকে উসাথোয়াই মারমা তার জমি থেকে বিতারিত করে। তারপর আশ্রয় নেয় কলেজ এলাকার জসিম কলোনিতে। ধর্ষণের অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম অন্য একজনের গরু চুরি করে বিক্রির অভিযোগে প্রায় তিন বছর পালিয়ে ছিল।
অন্যদিকে রুমা সদরঘাটে সওদাগর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মিয়া ও মোহাম্মদ বাদশা মিয়া বলেন কয়েক বছর পালিয়ে থাকার পর এক বছর আগে আবার এসেছে। সে আসার পর থেকে এলাকায় তাকে নিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িত হওয়া নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। নুরুল ইসলামের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন স্থানীয়রা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়