শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১
বান্দরবানের বিএনকেএস এর বাস্তবায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি-এসআইডি-সিএইচটি সহযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্পের” উদ্যোগে আলিকদম উপজেলায় ৩দিন ব্যাপী বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান ও কারবারীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে মামলা ব্যবস্থাপনা ও নথি সংরক্ষণ উপর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
আলিকদম উপজেলা শৈলকুঠিরের হলরুমে বিএনকেএস এর চলমান প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সহযোগী (ট্রেনিং এসোসিয়েট) পারমিতা চাকমার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করেন আলিকদম উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। এসময় বিএনকেএস এর ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর উবানু মারমা সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আলিকদম উপজেলা ২৮৭নং তৈন মৌজার হেডম্যান মংক্যনু মারমা, ইউএনডিপি প্রতিনিধি প্রোগ্রাম অফিসার গোলাম মোস্তফা কামাল, উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর মোঃ সেলিম উদ্দীনসহ বিএনকেএস এর কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমদিন প্রশিক্ষণের সহায়কের ভূমিকা পালন করেন হেডম্যান মংক্যনু মারমা, বিএনকেএস এর প্রশিক্ষক উবানু মার্মা ও পারমিতা চাকমা। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিএনকেএস এর মতো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে ভূমিকা বা অবদান অনস্বীকার্য। সরকারের পাশাপশি বিএনকেএস এর মতো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ বান্দরবান জেলায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। তিনি আরো বলেন, বান্দরবান বোমাং সার্কেলের প্রথাগত হেডম্যান, কারবারীদের নিয়ে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও মামলা ব্যবস্থাপনা ও নথি সংরক্ষণ উপর প্রশিক্ষণটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রশিক্ষণের ইউএনডিপি প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, মৌজার হেডম্যান ও কারবারীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে মামলা ব্যবস্থাপনা ও নথি সংরক্ষণ উপর যে প্রশিক্ষণটি আলিকদম উপজেলার চলমান রয়েছে তা অনেকাংশে সক্ষমতা বৃদ্ধির হবে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পটি অংশ বিশেষ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা বিশেষ করে নথি সংরক্ষণ বিষয়টি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চলমান রয়েছে। বান্দরবান জেলার এনজিও সংস্থা গ্রাউস, বিএনকেএস ও তহজিংডং এর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার ৯৬টি মৌজার ও ৩৩টি ইউনিয়নের কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। তাছাড়াও ৫টি ইউনিয়নের (লামা সদর, রুপসী পাড়া, গজালিয়া, ফাইতং এবং আজিজনগর) গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ কার্যক্রমটিও চলমান রয়েছে বলেন জানিয়েছেন। পরিশেষে তিনি অনুরোধ করেন, বনাঞ্চল, ঝিড়ি, ঝরনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের হেডম্যান ও কারবারীদের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাছাড়া গ্রাম পর্যায়ে বিচার, সালিশ প্রক্রিয়ার গুলোকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারী আইনী পাশাপাশি নিজস্ব প্রথাগত বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূচনা বক্তব্যে বিএনকেএস এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর উবানু মারমা জানান, বিএনকেএস বিশ্বাস করে সরকারের পাশাপাশি এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা ও মামলা ব্যবস্থাপনা ও নথি সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণটি হেডম্যান ও কারবারীদের দক্ষতা বাড়বে এবং সামাজিক প্রথাগত বিষয় আরো সম্পৃদ্ধি লাভ করবে বলে জানান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি-এসআইডি-সিএইচটি সহযোগিতায় বান্দরবানের বিএনকেএস, গ্রাউস ও তাহজিংডং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান। তারই ধারবাহিকতায় আলিকদম উপজেলা প্রথাগত হেডম্যান ও কারবারীদের নিয়ে তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণটি আগামী ০৫-০৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান থাকবেন বলে জানান। বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্পের” উদ্যোগে আলিকদম উপজেলা ৩দিন ব্যাপী হেডম্যান ও কারবারীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে মামলা ব্যবস্থাপনা ও নথি সংরক্ষণ উপর প্রশিক্ষণের আলিকদম উপজেলার মোট ৩২জন মৌজার হেডম্যান ও কারবারীরা উপস্থিত ছিলেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়