শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২
২০২১ সালের ২৮শে নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে ১নম্বর আলীকদম সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আনোয়ার জিহাদ ।
বৃহস্পতিবার (১২মে) বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ১নং আলীকদম সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ জসীম উদ্দীন, ৭নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ওবাইদুল হাকিম, ৭নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আশিকুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার হুমাইরা জান্নাত লিমা, ৭নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার সামহ্রী মারমা, ৭নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার মোঃ আবুজাফর, ৮নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার হুমায়ুন কবির, ৮নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আক্তার উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার রামেল পাল, ৯নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ হোছনগীর, ৫নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার গিয়াস উদ্দীন, ৫নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চানু মারমাসহ আলীকদমের ১নং সদর ইউনিয়নে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত ১২৭ জন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।
জানাযায়, গত ২৮ নভেম্বর আলীকদমের চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারী নির্বাচনে তিনি ১নং আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও বিবাদিরা ভোট গননার সময় প্রচুর কারচুপি করার অভিযোগ উঠে। নির্বাচনী এলাকার দুর্গম ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডেও অধিক ভোট কাস্টিং দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বেশি ভোট দেখায়। এসময় বাদির নিযুক্ত এজেন্টদের কাছ থেকে ফরম-ঞ তে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে কোন কেন্দ্রে রেজাল্টশিট সরবরাহ না করে ৮নং ওয়ার্ডে ৮৯.৮৮ % ও ৯নং ওয়ার্ডে ৯৯.১৯% ভোট কাস্টিং দেখায়। এনিয়ে বিভিন্ন দফতরে অনিয়মের প্রমান দিয়ে ভোট পুন: গণনার দাবি ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েও কোন সুরাহা না পাওয়ায় নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে মোঃ আনোয়ার জিহাদ জানান,২০২১ সালের ২৮শে নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রমান স্বাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে গেজেট স্থগিত করে এবং ৪টা ইউপির মধ্য ৩টি তে গেজেট প্রকাশ হলেও আলীকদম সদর ইউপির গেজেট প্রকাশ করে নি।এরপর নিবার্চন কমিশনের পক্ষে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। তদন্ত টিম আমার অভিযোগ গুলোর প্রমান ও পায়।তারপরও তদন্ত প্রতিবেদন কেন যে অামার পক্ষে আসেনি তা আমি পরিষ্কার না।তারপরও কি অদৃশ্যকরণে নাছির উদ্দিনের নামে কাকতালীয়ভাবে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।যেহেতু আমি নির্বাচন কমিশন থেকে কোন প্রতিকার পাইনি,সেহেতু আমি ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আমি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হয়ে গতকাল ১১ মে বুধবার একটি মামলা দায়ের করি। এতে কারচুপি প্রমানও হয়। তারপরও নির্বাচন কমিশন ন্যায় বিচার না করায় নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছি।
এদিকে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন,নির্বাচনের জয় পরাজয় নিয়ে পরাজিত প্রার্থী গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে। মামলা দায়ের হলে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে তারা আইনীভাবে মোকাবেলা করবেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়