শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২
বান্দরবানে টানা তিন দিন ধরে অব্যাহত ভারি বর্ষণের কারণে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলার বিভিন্ন স্থানে করা হচ্ছে মাইকিং।
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল বলেন, গতকাল শনিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে আজ রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ।এবং এই বৃষ্টিপাত আগামী ২২জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এ দিকে শনিবার দুপুরে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যাওয়ার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবানে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারিবর্ষণ অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যেতে পারে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর ওয়াবদা ব্রিজ, মেম্বারপাড়া,সুইচ গেইট, (বরিশাল পাড়া), শেরে বাংলা নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
এ ছাড়া শহরের কালাঘাটা,বালাঘাটা লাঙ্গিপাড়াসহ সাত উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ৭ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বসবাস করছেন তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও যারা সরবে না তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়া হবে। প্রত্যেক উপজেলায় ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসে প্রাণ হারায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে জেলার ৭ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫ শত জন ঝুকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসাবাস করছে। ২০১৮ সাল থেকে এপর্যন্ত জেলায় পাহাড় ধসে প্রাণ গেছে ৬৭ জনের।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়