শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২
জীবন ত্রিপুরার হত্যার প্রতিবাদে ত্রিপুরা সংগঠনগুলো এবারও প্রতিবাদ জানাবেন তো?? Amol Tripura গত মাসে রাঙামাটি বিলাইছড়িতে সাইজাম পাড়া কেএনএফ ও জেএসএস সংঘর্ষে তিনজন ত্রিপুরা গ্রামবাসী ও দুই শিশু গুরুত্বর আহত হয়েছিলেন। এটাকে পুঁজি করে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কুকি চীন ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আখ্যা দিয়ে নানান বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুব কৌশলে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিচারে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ত্রিপুরা জাতির ওপর হত্যা, হয়রানি, নির্যাতন এবং নিপীড়নে বন্ধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকালে খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় জীবন ত্রিপুরাকে ধরে নিয়ে হাত পা বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে সর্বশেষ ঠান্ডা মাথায় গুলি করে খুন করা হল। অর্থাৎ রাঙামাটি বিলাইছড়ি সাইজাম পাড়া ঘটনার মত সন্ত্রাসী কায়দায় জেএসএস দুর্বৃত্তরা জীবন ত্রিপুরাকে হত্যা করা হল কিন্তু এই ঘটনায় আমাদের ত্রিপুরা সমাজের প্রতিনিধিত্ব সংগঠন ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম জীবন ত্রিপুরা হত্যাকারী জেএসএস দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ ত দূরের কথা বিবৃতি বা কোন বক্তব্য এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।
এখানে প্রসঙ্গ উঠতে পারে সাইজাম পাড়ার ঘটনা নিহতরা ছিলেন সাধারণ মানুষ তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। সেজন্য ত্রিপুরা সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ানোর একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু জীবন ত্রিপুরা একজন রাজনৈতি কর্মী তিনি ইউপিডিএফ-এর সদস্য। হ্যাঁ তা সত্য কিন্তু আমরা এটাও বলতে পারি সাইজাম পাড়ার ঘটনাও রাজনৈতিক দ্বন্দের কারণে ঘটেছিল। ঘটনার আগে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি প্রথমে জেএসএস লোকেরা কেএনএফ-এর এলাকায় গিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছিল (এই নিয়ে তাদের কর্মীদের পরিচালিত ফেসবুক আইডিগুলোতে লেখা লেখি হয়েছিল) পরে ঘটনা পাল্টা হিসেবে সাইজাম পাড়ায় এসে কেএনএফ জেএসএস ওপর অতর্কিত হামলা চালালে তিনজন ত্রিপুরা ঘটনা স্থলে মারা যান ও দুই শিশুসহ অনেকে আহত হন।
আমার লেখার উদ্দেশ্যটা হল সাইজাম পাড়া ঘটনায় ত্রিপুরা সংগঠনের দাবি ও বক্তব্য ছিল ত্রিপুরা জাতির তিনজন হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ত্রিপুরা জাতির ওপর চালানো অন্যায়,অত্যাচার নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করা। জীবন ত্রিপুরা একজন ইউপিডিএফ কর্মী হতে পারে কিন্তু তিনি ত্রিপুরা জাতির একজন সদস্যও বটে। সাইজাম পাড়া হত্যার ঘটনায় ত্রিপুরা সংগঠন যে ভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল জীবন ত্রিপুরা হত্যার ঘটনায় এবার ত্রিপুরা সংগঠন প্রতিবাদ জানাবেন তো, ত্রিপুরা জাতির এক সদস্যকে হত্যার বিচারে দাবি নিয়ে রাজপথে সোচ্চার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন তো? নাকি কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য ত্রিপুরা সংগঠনগুলো ত্রিপুরা জাতির এক সদস্যকে হত্যার প্রতিবাদের জায়গা থেকে ছড়ে গিয়ে মৌনতা ভূমিকা পালন করবেন???
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়