বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৪ ১৪৩১
|| ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩
বান্দরবানে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই জড়িযে পড়ছে চোরা চালান কারবারীসহ নানা অপকর্মে। বিশেষ করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে দিয়ে গরু নিয়ে আসছে বিএনপি নেতাসহ বেশকিছু পাচারকারী।
তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন অবৈধ পথ তৈরি করে অবৈধভাবে চোরাই পথে মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ নিয়ে আসছে ।যারা ফলে স্থানীয় গরু মহিষের খামারীরা পড়েছে নানা মূখি দূঃচিন্তায়।এদিকে সীমান্তে বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে গরু-মহিষ আটক করলেও থামছে না পাচারকারীদের তৎপরতা। বিশেষ করে চোরাকারবারীদের মূল হোতা আলীকদমে উপজেলার বিএনপি নেতা ইউনুছ মিয়া,বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী ভুটোসহ লামা আলীকদমের বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আলীকদমের স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, বিএনপি নেতারা হঠাৎ বেশ কিছু অনিয়ম ও অপরাধ জনিত কাজের সাথে জড়িয়ে পড়তে দেখছি। আমি কয়েক জনের সাথে কথা বলেছি তারা বলছে আগামী নির্বাচনে ব্যয় নির্বাহ করার লক্ষে তাদের এখন শুধু টাকা প্রয়োজন তাই তারা গরু চোরা চালান,ইয়াবা ব্যবসা সহ নানা অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছেন।
আলীকদমের আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত এক বছর ধরে মিয়ামনার থেকে অবৈধপথে আলীকদমের স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে গরু,গয়াল ও মহিষ পাচার করে আসছে। আর এই পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আলীকদমের অপরাধ চক্রের প্রধান ইউনুছ মিয়া ও জুলফিকার আলী ভুটো সহ বেশ কিছু বিএনপি নেতা। তারা গত একবছররে কয়েক কোটি টাকার মালিক বুনে গেছে।
আলীকদমের এক বিএনপি নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠনের জন্য আমাদের প্রচুর টাকা প্রয়োজন। এখন এই টাকা কে সরবারহ করবে ? তাই নানা মুখি ব্যবসা ও চোরাকারবারীরা টাকা আগামী নিবার্চনে ব্যয় করার লক্ষ্য আমরা সব বিএনপি নেতারা নানা রকম ব্যবসা করছি। র্দীঘদিন ক্ষমতায় না থাকার কারনে সবার হাত ফাঁকা তাই আমাদের এখন ভরসা মিয়ানমারের গরু ব্যবসা।
সম্প্রীতি সময়ে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ,বিজিবি,র্যাব,এপিবিএনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে বেশ কিছু বিএনপি নেতা কর্মী। তারা মূলত ইয়াবা ও ফেন্সিডাইল বিক্রয় করে আসছিল। র্দীঘদিন যাবৎ এমন সংবাদের ভিত্তিতে চলিত বছরে প্রায় ২০ জনের মতো বিএনপি নেতা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকা এবং ক্রয় বিক্রয়ের প্রমাণ সহ আটক করে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন,অবৈধ মাদক দ্রব্য, গরু-মহিষ পাচাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে পুলিশ। গত কয়েক মাসে কয়েক শতাধিক গরু জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয় চক্র যারা গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। গরু চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যা আগামীতেও চলমান থাকবে।পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় অবৈধ চোরাচালান নির্মূল করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়