মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৩
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ( কেএনএফ) সদস্যদের ভয়ে রোয়াংছড়ি থেকে পালিয়ে আসা ২০টি খিয়াং সম্প্রদায়ের পরিবারের লোকজনের মাঝে খাবার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। রুমা সেনা জোন ও উপজেলা প্রশাসন এ মানবিক ব্যবস্থা করেছেন।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ১নং রোয়াংছড়ি সদর ইউপির খামতাং পাড়ায় প্রতিপক্ষের সাথে কেএনএফ এর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে এ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে খামতাং পাড়ার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ফলে নিরাপত্তা আশ্রয় নিতে শুক্রবার রুমা সদরে চলে আসে তারা। বর্তমানে রুমা সদরে বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদ মঞ্জু বলেন, রুমা সদরে বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেয়া মোট পরিবার সংখ্যা ২০টি।উক্ত পরিবারগুলোর জনসংখ্যা মোট ৬৪জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩১জন, নারী ৩০জন ও শিশু ৩ জন।
এদিকে রোয়াংছড়ি থানা থেকেও একটি উদ্ধারকারী দল বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরবর্তীতে স্পেশাল পেট্রোল দলটি গত ৬ এপ্রিল খামতাং পাড়ার যে স্থানে কেএনএফ সশস্ত্র দল এবং প্রতিপক্ষ দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছিল সে স্থান থেকে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত ৮টি লাশের সন্ধান পান। তবে এই প্রতিপক্ষ জেএসএস সংস্কার না ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সূত্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোয়াংছড়ি থানা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (ওসি, রোয়াংছড়ি থানা) এর নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে লাশ উদ্ধার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়