শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২৫ ১৪৩১
|| ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বান্দরবানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আওয়ামীলীগের সঙ্গে আঁতাত করে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বিগত সরকারের ৩০০নং আসনের সংসদ সদস্য আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদ এবং জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মিঠুন।
নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য নিজ দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি, আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আঁতাত করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নামে-বেনামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৫০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কাজ করেছেন বিএনপির এই দুই নেতা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার সরই-কোয়ান্টম সড়ক নির্মাণ, ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার আলীকদম দোছরি সড়ক নির্মাণ, তিন কোটি টাকায় এলজিইডি ভবন নির্মাণ। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া ও আওয়ামীলীগের নেতা রাজেস্বর দাস বিপ্লবের সঙ্গে পার্টনারশিপে এলজিইডি অর্থায়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে রুমা বাজারে ব্রীজ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে রোয়াংছড়ি খানসামা পাড়া ব্রীজ নির্মাণ'সহ জেলার সাতটি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। আঁতাতের টাকায় বিএনপি নেতা আব্দুল মাবুদ জেলা শহরের হাফেজঘোনা এবং বান্দরবান বাজারে দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। চট্টগ্রামে খুলেছে জুতার শোরুম।
এদিকে বিএনপি ত্যাগী নেতাকর্মীদের দাবী, বিএনপির মধ্যে সুকৌশলে বিভাজন তৈরি করে রেখেছেন আওয়ামীলীগের মন্ত্রীর কয়েকজন সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয় দালাল। তারা স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ সরকারের সতের বছরের দূর্নীতিবাজ নেতাদের অনেককে রক্ষা করতে সম্প্রতি ঢালাওভাবে ৩২ জনের নামে দূর্নীতির অভিযোগ এনে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন।স্মারকলিপিতে আওয়ামীলীগের দূর্নীতিবাজদের অনেকের নাম নেই। অথচ তারা দুজনও সুবিধাভোগী।
এদিকে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে আওয়ামীলীগের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মশিউর রহমান মিঠুন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমি কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করি নাই। বৈধভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারী কাজ করে আসছি। ৩২ জন আওয়ামীলীগের নেতার দূর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাদের তালিকা আমি করি নাই এবং তালিকায় আওয়ামীলীগের অন্যান্য দূর্নীতিবাজ নেতাদের নাম কেন দেয়া হয় নাই সে বিষয়েও আমি জানিনা। আমি শুধু বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গিয়েছিলাম।
অন্যদিকে আব্দুল মাবুদ এর সাথে কথা বলতে নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পার্টনারে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামীলীগের নেতা রাজেস্বর দাস বিপ্লবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মশিউর রহমান মিঠুন আমার বন্ধু। তবে তার সাথে আমি কোন ধরনের পার্টনারে ঠিকাদারী কাজ করি নাই।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক মো: জাবেদ রেজা বলেন, ইতিমধ্যে যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে স্বপ্রনোদিত হয়ে দূর্ণীতিবাজদের অনেককে রক্ষা করতে স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাঠ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার মত বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন্দ্রে তথ্য প্রমাণ পাঠানো হয়েছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়