বন্যায় দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। শুরু থেকেই সতর্কতার সাথে এই বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম দিনেই বিভিন্ন অঞ্চলে আটকে পড়া বন্যার্তদের উদ্ধারে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে বন্যাকবলিত মানুষদের যেকোনো প্রয়োজন মেটাতে শুরু থেকেই ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সর্বোস্তরের নেতাকর্মীরা। দুর্গতদের উদ্ধার করা এবং তাদের খাদ্য ও ওষুধের প্রয়োজন মেটাতে ঢাকা থেকে সিলেটের প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়মিত নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যেকারণে, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বন্যা সৃষ্টি হলেও গণহারে প্রাণহানির মতো বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বন্যাপরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিজ চোখে বন্যা-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ২১ জুন দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে ২ ঘণ্টা সময় ধরে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর সিলেট সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসন, সেনা বাহিনী, বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, দলীয় নেতাকর্মী ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় এর আগে কোনো সরকারপ্রধানকে এভাবে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
এসময় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও উপস্থিত ব্যক্তিদের সবার বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জানান, বন্যার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে গিয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা ছবি ও তথ্য পাঠিয়ে নিজ নিজ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির খবর দিয়েছে প্রতিনিয়ত। সার্বক্ষণিক তথ্য পাওয়ায় বন্যার প্রাথমিক ধাক্তা মোকাবিলা করা সহজ হয়েছে সরকারের জন্য। শুরু থেকেই তৎপর থাকায় স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক এবং আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রতিকূলতার কারণে যেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পৌঁছাতে পারেনি, সেখানকার ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছের তারা। সেই ছবি আমি সেনাপ্রধান, আমাদের অফিস, বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছে।'
এরপর দুপুরে দিকে, সিলেটে অবস্থিত হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার ও এরপর হজরত শাহ পরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। এসময় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্যোগের কারণে বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য এবং সার্বিকভাবে জাতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য তিনশ'র বেশি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে এবং ২৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ১৩০৭ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যা মোকাবিলা প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের মানুষকে সবসময় এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে বসবাস করতে হবে; এই মানসিকতা সবার থাকতে হবে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নও এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে করতে হবে। সিলেট, সুনামগঞ্জ অঞ্চলে উঁচু করে রাস্তা বানানো যাবে না। এসব অঞ্চলে এলিভেটেড রাস্তা হবে। এতে রাস্তা আর নষ্ট হবে না। দুর্যোগ এলেও সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া, নদীর বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে ড্রেজিং করতে হবে। একবার ক্যাপিটেল ড্রেজিং করার পর প্রতিবছর ড্রেজিং করতে হবে।'
সরকারের সতর্কতা প্রসঙ্গে তিনি আরেও বলেন, 'আষাঢ় মাসে এই অঞ্চলে বন্যা হল। এরপর মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যা হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি রাখতে হবে। শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওষুধ, খাবার পানি সব সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে খাদ্যমন্ত্রীকে আগে থেকেই বলেছিলাম এবার বন্যা আসবে। খাদ্য গুদামে পানি আসতে পারে। তাই সার এবং খাদ্য গুদাম রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।'
শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, 'সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য এবং ওষুধ লাগে সব দেওয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন, সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন, তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।' বন্যার পানিতে যাতে ঠাণ্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন, সেজন্য স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্ধারকর্মীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণের শুরুতেই উল্লেখ বলেছিলেন, 'এমন এক বিশ্ব-ব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গীকৃত, যে ব্যবস্থায় সব মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।' বঙ্গবন্ধুর মানবিক রাষ্ট্র গড়ার দর্মন থেকেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবিলায় অসহায় মানুষের পাশে থাকাকে তার অন্যতম একটি প্রধান দায়িত্ব হিসেবে পালন করে আসছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর, ১৯৯৭ সালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার জেলার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা। অসহায় মানুষদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এরপর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন 'আশ্রয়ণ প্রকল্প'। আশ্রয়ণ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, গৃহায়ণ, ঘরে ফেরা, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ লাখের অধিক পরিবারকে পুনর্বাসন করেছেন তিনি।
১৯৯৮ সালের বন্যায় যখন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক প্লাবিত হয়েছিল, তখনও দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসির প্রতিবেদনে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাতে পারে বলে ভবিষ্যতবাণী করা হলেও, বন্যার কারণে সৃষ্ট মহামারি বা খাদ্যাভাবে একটি মানুষও মারা যায়নি। এরপর পুরো বিশ্ব দুর্যোগ মোকাবিলার মডেল হিসেবে অভিহিত করেছিল বাংলাদেশকে। এমনকি গত এক দশকের উপকূলবর্তী অঞ্চলের সাইক্লোন-ঘূর্ণঝড়ের ঘটনাগুলোও পর্যবেক্ষণ করে দেখুন- দুর্যোগের পূর্বাভাস এলেই, প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত সতর্কীকরণ এবং স্থানীয় নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেও, আওয়ামী লীগ সতর্কতা ও তৎপরতার কারণে মানবসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে এখন, অথচ আগে একেকটি দুর্যোগে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবকল্যানমূলক রাষ্ট্রনীতির কারণে সেইসব ভয়াবহ দিন পার করে এসেছি আমরা।
- বান্দরবানে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত
- আল নজির ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকায় আলেম ওলামাদের নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ
- প্রকল্প এবং বিহারের দান বাক্সের টাকা আত্মসাৎ করলেন চেয়ারম্যান
- রফতানি আয় আগের চেয়ে কমবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে
- ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে অবাক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কাঁদলেন ড. ইউনূস
- শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ চিন্তায় অনড় থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ভারত-বাংলাদেশ টেস্টে হামলার হুমকিকে পাত্তা দিচ্ছে না বিসিবি
- ‘সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নের চেষ্টা করবে’
- সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা
- ভিসা শঙ্কা কাটিয়ে ভারতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা
- আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া ১২ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন
- সারা দেশে ‘অজ্ঞাত’ আসামি করে মামলার হিড়িক, হয়রানির শঙ্কা
- আজ আত্মপ্রকাশ করবে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’
- গুমের ঘটনা তদন্তের পথে কমিশন
- অ্যাডভোকেট তাজুলকে প্রধান করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম গঠন
- ব্যাংক থেকে তোলা যাবে যেকোনও পরিমাণ টাকা
- ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামিক দেশকে এক হওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- এখনই নির্বাচনে ‘না’ ছাত্র-জনতার
- চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ
- বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১০ সুপারিশ
- সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে দ্রুত উদ্যোগ
- শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা
- আগামী সাত বছরের মধ্যে শস্য রোপণ, কর্তন ও সংরক্ষণে ৪০ শতাংশ যন্ত্র ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০
- ঋণদাতা সংস্থা থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার চায় ঢাকা
- পাচার ৯০ হাজার কোটির খোঁজে দুদক
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে, কঠোর বার্তা ড. ইউনূসের
- ঘুমধুমে ডাম্প ট্রাক ভর্তি সার জব্দ
- পুনরায় কেএনএফ এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা সেনাবাহিনীর
- নতুন বিশ্ব গড়ার কৌশলের কেন্দ্রে তরুণদের রাখার আহবান
- বান্দরবানে ২ মামলায় আওয়ামীলীগের ২৭০ জন নেতাকর্মী আসামী
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- গণমাধ্যমের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- ভেঙে দেয়া হচ্ছে ১২ ব্যাংকের পর্ষদ
- আমরা জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা ধরে রাখবো- বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন
- মোদিকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন ড. ইউনূস
- বান্দরবানে সেনা জোনের মানবিক সহায়তা প্রদান
- রুমায় জাল স্বাক্ষরে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাত
- পাচার টাকা ফেরতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
- বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে অবস্থান ধর্মঘট
- বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবো - পার্বত্য উপদেষ্টা
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- বান্দরবান প্রেসক্লাবের পুন:গঠিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গণি, সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার
- বান্দরবানে দুই পৌর মেয়র কে অপসারণ
- শিগগিরই যৌথ অভিযান
- ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন