হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে পেতে নতুন প্রকল্প : ফিরে আসছে মসলিন
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮
প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যের কথা আসলেই সবার আগে যার নাম আসে তা হলো ঢাকাই মসলিন। সেই প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবী জোড়া কদর ছিল এই মসলিনের। ফুটি কার্পাস নামের তুলা থেকে প্রস্তুত অতি চিকন সুতা দিয়ে তৈরি হতো এই মসলিন। মসলিনের সূক্ষ্ম ও মিহি সুতার বুনন শৈলী খুব সহজেই সকলের মন জয় করে নিতো। মসলিনের এই সূক্ষ্মতা বুঝাতে লোকমুখে প্রচলিত ছিল নানা জনশ্রুতি । বারো হাতের মসলিন শাড়িকে একটি দিয়াশলাইয়ের ভিতরে রাখা যেত অনায়াসে। যদিও এই জনশ্রুতির প্রমাণ আজও মিলেনি। লোকমুখে শুনে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে এই জনশ্রুতি।
‘মসলিন’ শব্দের উৎপত্তির উৎস অস্পষ্ট। কেউ বলেন, মসলিন শব্দটি ইরাকের একটি প্রাচীন ব্যবসা কেন্দ্র মসুল থেকে উদ্ভূত। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দক্ষিণ ভারতে ইউরোপীয় বাণিজ্যিক কোম্পানির এককালের সদর দপ্তর মসলিপট্টমের সঙ্গে মসলিন শব্দটি সম্পৃক্ত। মসলিন ফার্সি, সংস্কৃত বা বাংলা শব্দ নয়। সম্ভবত ইউরোপীয়রা মসুল থেকে যেসব বস্ত্র আমদানি করত এবং প্রাচ্যের অপরাপর দেশ থেকে মসুল হয়ে যেসব বস্ত্র আনা হতো তারা তার নাম দেন মসলিন।
সেই ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন আবার ফিরে আসবে। দেশের তাঁতিরা মসলিন কাপড়ের মিহি বুননে শৈলী ফুটিয়ে তুলবেন। মসলিন আবারও জনপ্রিয় হবে। ফিরে আসবে সোনালি ঐতিহ্য। এরকম স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। এ জন্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধারে নতুন গবেষণাধর্মী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি পাস করা হয়েছে।
মসলিনকে ফিরে পেতে তাঁত বোর্ডের নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এতে মসলিনের প্রযুক্তি উদ্ধার করা হবে। পুরো প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এই বিনিয়োগ বা গবেষণা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য এ প্রকল্পের আওতায় মূলত মসলিন কাপড় তৈরির জন্য তুলাগাছ লাগানো হবে। পরে সেই তুলা থেকে সুতা তৈরি করে মসলিন কাপড় বানানো হবে। এজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মসলিন কাপড় তৈরি উপযোগী সুতা তৈরির জন্য কিছু তুলাগাছ লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সেসব গাছে ফুলও ধরতে শুরু করেছে। এরপর তুলা সংগ্রহ করে নমুনা হিসেবে সুতা ও কাপড় তৈরি করা হবে।
প্রাচীন যুগে তাঁতিরা যে পদ্ধতিতে মসলিন বুনতো সেই পদ্ধতি তাঁদের নিজস্ব প্রযুক্তি। তাঁদের হারানো সেই প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক গৃহীত হারানো মসলিন পুনরুদ্ধার করার জন্য তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, নিবিড় গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের সুতা ও কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার; দ্বিতীয়ত, পরীক্ষামূলকভাবে মসলিনের সুতা ও কাপড় তৈরি এবং তৃতীয়ত, বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার।
এ প্রকল্পের আওতায় মসলিন সুতা ও কাপড় তৈরির প্রযুক্তি বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু এলাকার তাঁতিদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এলাকাগুলো হলো ঢাকার ধামরাই; মানিকগঞ্জ সদর ও শিবালয়; টাঙ্গাইলের নাগরপুর, ভূঞাপুর ও মধুপুর; গাজীপুরের কাপাসিয়া; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ; নরসিংদী সদর ও পলাশ; ময়মনসিংহ সদর; কুমিল্লার চান্দিনা; বান্দরবান সদর; খাগড়াছড়ি সদর; রাঙামাটি সদর; রাজশাহী শহর ও যশোর সদর।
মসলিন বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের প্রতীক। মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা, গ্রিক পর্যটক পিনটনি, টেইলর, উরে প্রমুখ তাঁদের লেখায় বাংলার মসলিনের বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলের মাধ্যমে জানা যায় যে মসলিন বস্ত্র প্রাচীনকাল থেকে প্রচলন থাকলেও ঢাকাই মসলিন মোগল আমলে প্রসিদ্ধ হয়। মোগল আমলে ঢাকাই মসলিন দেশ-বিদেশে প্রায় একচেটিয়া বাজার দখল করে। সতেরো শতকের প্রথম দিকে পর্তুগিজরা মসলিনের ব্যবসা করত। ওই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে অন্য ইউরোপীয় বণিক, যেমন ওলন্দাজ ও ফরাসি কোম্পানি ঢাকা শহরে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। তারাই মসলিনের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন যুগের সূচনা করে। ইংরেজ কোম্পানি আমলে মসলিন শিল্পের অবনতি হয়। একপর্যায়ে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আবার দেশে ফিরে আসবে দেশের হারানো সেই ঐতিহ্য। আবারো প্রসিদ্ধ হবে দেশের বুনন শিল্প এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- আলীকদমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটির সভা
- বৃষ্টির জন্য বান্দরবানে নামাজ আদায়
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- কেএনএফ এর ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড,নতুন আরো ৩ নারি সদস্য কারাগারে
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- কেএনএফ এর ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড,নতুন আরো ৩ নারি সদস্য কারাগারে
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক