হরতাল হালাল না হারাম?
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২১
বহুদিন পর বাংলাদেশ হরতাল দেখল। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াসহ বিচিত্র প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেল। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বিরল এই হরতাল বিপুল ধর্মীয় প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হল। যদিও কয়েক বছর আগে যখন ঘন ঘন হরতাল পালিত হত, তখন দৃষ্টিগ্রাহ্য কোন ধর্মীয় প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করিনি।
বিগত কয়েক বছর ধরে একদল ‘আলিম বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ইস্যু সম্পর্কে মতামত জ্ঞাপন করছেন, যেমন গণতন্ত্র হারাম, হরতাল হারাম, মিছিল-প্রতিবাদ হারাম; এগুলোতে কোন লাভ হয় না, ফেতনা হয়, মুসলমানদের কষ্ট দেয়া হয়। তাই এসব হারাম।
রাজনৈতিক বিষয়ে আলিমগণের মতপ্রদান আমরা নেতিবাচকভাবে দেখছি না। ইসলামের অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্পৃক্তির নমুনা হিসেবে আমরা এসব মতামতকে গ্রহণ করতে পারি।
কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। ধর্মীয় বিষয়ের তুলনায় রাজনৈতিক বিষয়ে মতপ্রদানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইস্যু বিবেচনায় নিতে হয়। এক্ষেত্রে সময়-কাল, ফাতওয়াপ্রদানের স্থান তথা রাষ্ট্রের প্রকৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিবেচনায় নিতে হয়। মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ক্ষেত্রে যে ধরণের রাজনৈতিক ফাতওয়া জারি করবেন, হুবহু সেটি একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রয়োগ করা যাবে না।
যেমন, মিছিল, রাজনৈতিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা সৌদি আরব বা আমিরাতের মত দেশগুলোতে নিষিদ্ধ। পক্ষান্তরে ওপরের কর্মসূচিগুলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে কেবল সিদ্ধই নয়, বরং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। এখন আমরা যদি রাজতান্ত্রিক দেশের ফাতওয়া গণতান্ত্রিক দেশে প্রয়োগ করি তাহলে তা কেবল কুমণ্ডুকতাই হবে না; বরং এমন একটি বার্তা দেবে যে, জনগণের অধিকার সংকোচনে ইসলাম কর্তৃত্ববাদী সরকারের সহযাত্রী।
সম্মানিত শুয়ুখ! প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ এক নয়। প্রতিবাদ ও খুরুজ এক নয়। গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদের প্রকাশ ঘটে বিবৃতি, মানববন্ধন, মিছিল ও হরতালের মাধ্যমে। এই অধিকার সংবিধানই জনগণকে দিয়েছে। সাংবিধানিক অধিকার চর্চা কিছুতেই বিদ্রোহ বা খুরুজ হতে পারে না। উপর্যুক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো কোনভাবেই সরকারের আনুগত্য বর্জন নয়, কোনভাবেই না। গণতান্ত্রিক দেশে বিদ্রোহ বলতে বুঝায় বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ।
আনুগত্যহীনতা হল সরকারের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ। উদাহরণ দিচ্ছি: কেউ যদি সরকারকে করপ্রদানে অস্বীকার করে তাহলে সেটি হবে আনুগত্যহীনতা। কিন্তু অতিরিক্ত করারোপের জন্য প্রতিবাদ করা, মিছিল করা, এমনকি হরতাল করা কখনো আনুগত্যহীনতা হবে না। এগুলো সংবিধানপ্রদত্ত প্রতিবাদের উপায়।
আরেকটি বিষয় প্রায়শ বলা হয়। মিছিল-মিটিং-এ কোন লাভ হয় না। এগুলোতে ফেতনা-ফাসাদ হয়। এই বক্তব্য সর্বাংশে সত্য নয়। আমি একটি বিপরীত উদাহরণ দিই। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সারাদেশে ব্যাপক মিছিল ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সেটি সরিয়ে নেয়। মিছিলও যে কাজ করে, এটি তার উদাহরণ।
মিছিল-হরতালে মুসলিমকে কষ্ট দেয়া হয়। আর মুসলিমকে কষ্ট দেয়া হারাম। এটি একটি বহুল উচ্চারিত যুক্তি। বেশ সুন্দরও। কিন্তু এহেন শোভনীয় যুক্তিকে বিপরীতধর্মী লক্ষ্যের সাথে তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যেমন, আমাদের সামনে দুটো বিবেচ্য বিষয়: একটি হল মিছিল-হরতালে জনগণের কষ্ট হয়। আরেকটি বিষয় হল: মানুষের কিছুটা কষ্ট হলেও মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে এমন কোন বিষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব (বা জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব) যা চালু হয়ে গেলে যুগ যুগ ধরে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ইস্যুগুলো পর্যালোচনা মতপ্রদানে ভারসাম্য আসবে।
হরতালে জ্বালাওপোড়াও হয়, তাই হরতাল হারাম। এটিও খোঁড়া যুক্তি। গণতান্ত্রিক দেশে হরতাল প্রতিবাদের একটি আহবান। যে কেউ স্বেচ্ছায় এই আহবানে সাড়া দিতে পারে। যে কেউ স্বেচ্ছায় এই আহবানে সাড়া নাও দিতে পারে। এই পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই।
তবে হরতালের নামে গাড়ি ভাংচুর ও সম্পদের ক্ষতিসাধন অবশ্যই হারাম, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু দু’টো ভিন্ন বিষয়। ভাংচুর ব্যতীত হরতাল হয়ে থাকে, আমরা দেখেছি। তাই একটি সাময়িক অবস্থার জন্য মূল কর্মসূচিকে হারাম বলা যায় না। হরতালের প্রতিরোধের নামে যে নৈরাজ্য হয়, শুধু সম্পদের ক্ষতি নয়, মানুষের প্রাণের ক্ষতি হয়, তাও হারাম।
কিন্তু প্রতিহরতালের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিকে কোন শায়খ হারাম বলেছেন, এমনটা শুনিনি। বলাবাহুল্য দুর্বলের বিরুদ্ধে ফাতওয়া দেয়া যতটা সহজ সবলের বিরুদ্ধে ফাতওয়া প্রদান ততটা কঠিন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোতে মতপ্রদানে বৈচিত্রময় বিবেচনা ধারণ করতে হয়। আশাকরি শুয়ুখ তা বিবেচনায় নিবেন।
লেখক: ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার
- শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর মতবিনিময়
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না