মক্কা বিজয় এবং নবীজির ‘সাধারণ ক্ষমা’, বিজয়ী শাসকদের জন্য শিক্ষা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
যেভাবে মক্কা বিজয়ের সূচনা
হিজরি ৬ষ্ঠ সন, আরব জাহানের পরিস্থিতি মুসলমানদের প্রায় অনুকূলে কিন্তু তখনও ইসলামের সর্বাধিক সম্মানিত ইবাদতস্থল পবিত্র কাবাগৃহ মক্কার কুরাইশদের দখলে, সেখানে মদিনার মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এদিকে রাসুলকে (সা.) স্বপ্ন দেখানো হলো- তিনি সাহাবাদের নিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করছেন। নবীদের স্বপ্ন নিছক কোনো স্বপ্ন নয়; বরং আল্লাহর ইশারা। তাই রাসুল (সা.) স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬ষ্ঠ হিজরির ১লা জিলকদ মক্কাভিমুখে ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। (আর রাহীকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা: ৩৪৫)
১৪শ মতান্তরে ১৫শ সাহাবিকে নিয়ে মহানবী (সা.) মক্কার উপকণ্ঠ হুদাইবিয়া নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করলেন। কিন্তু নানা আশঙ্কায় মক্কার মুশরিকরা পুরনো শত্রুদের হুদাইবিয়া থেকে আর সামনে অগ্রসর হতে দিলো না। পরে নানা নাটকীয়তা শেষে আল্লাহর রাসুল সেখান থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক ‘হুদাইবিয়া সন্ধি’র।
বাহ্য দৃষ্টিতে সন্ধির শর্তগুলো মুশরিকদের অনুকূলে ছিল কিন্তু মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এটিকে মুসলমানদের জন্য ‘ফাতহুম মুবিন’ বা স্পষ্ট বিজয় আখ্যায়িত করেছেন।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, মূলত হুদাবিয়ার চুক্তিই মক্কা বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। সন্ধির শর্তাবলী গভীরভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায় যে, এটি বাস্তবিক পক্ষেই মুসলমানদের বিরাট বিজয়-ই ছিলো। কেননা, এতোদিন কুরাইশরা মুসলমানদের অস্তিত্বই স্বীকার করত না। (আর রাহীকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা: ৩৫৩)
সন্ধি যখন কাল হলো
হুদাইবিয়ার সন্ধির অল্প কিছুদিন পরেই ইসলাম ব্যাপকহারে প্রসারিত হতে শুরু করে, সন্ধি করা হয় যেন মুসলমানরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে- এ উদ্দেশ্যে, কিন্তু উল্টো সন্ধির ফলাফল কুরাইশদের শঙ্কিত করে তোলে। এ পরিস্থিতিতে সন্ধি লংঘনে নানা ষড়যন্ত্র আঁটে তারা।
অবশেষে মুসলমানদের সঙ্গে বনু খুযাআর মৈত্রিতা স্থাপন এবং এর ভিত্তিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের অনেক লোককে হত্যার মাধ্যমে সন্ধি ভঙ্গ করে কুরাইশরা। অথচ দু পক্ষের সঙ্গেই অন্য যেকেউ মৈত্রী গড়তে করতে পারবে-শর্তে এও উল্লেখ ছিল।
মক্কা বিজয় এবং নবীজির ‘সাধারণ ক্ষমা’
এ ঘটনার পরে রাসুল (সা.) বনু খুযাআ গোত্রের নিহতদের রক্তপণ শোধ করাতে কুরাইশদের কাছে দূত মারফত খবর পাঠান কিন্তু তারা তা অস্বীকার করে এবং সন্ধি বাতিলের ঘোষণা দেয় আর বলে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ম হিজরির দশম রমজানে রাসুল (সা.) মক্কাভিমুখী রওনা হন, সঙ্গে ১০ হাজার মুজাহিদ সাহাবি। এখানেও নানা নাটকীয়তা শেষে কুরাইশদের ঘাড়ের ওপর এসে নিশ্বাস নিতে থাকেন, উদ্দেশ্য-মক্কা বিজয়।
তিনি যথাসম্ভব রক্তপাত এড়িয়ে মক্কায় প্রবেশের কৌশল করছিলেন। ঘোষণা করলেন, কুরাইশদের যারা আবু সুফিয়ানের ঘরে আশ্রয় নিবে, নিজ নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখবে তারা নিরাপদ।
এভাবে বলা যায় যে, মহানবী (সা.) বিনা রক্তপাতেই বিজয়ীরূপে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যুগযুগান্তরে সবার মুখে আজও যা আলোচিত হয়ে আসছে, যেই কুরাইশরা মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে সামর্থের শেষ সময় পর্যন্ত অপচেষ্টা চালিয়েছিল তাদেরকে তিনি ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেন, তাও কখন-যখন তিনি মক্কার অধিপতি, ইচ্ছে হলে নিয়মানুযায়ী সবাইকে মৃত্যুদন্ডও দিতে পারতেন।
আসলে আল্লাহর রাসুলরা উত্তম চরিত্র নিয়েই দুনিয়ায় আগমন করেন, যেন উম্মত তাদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
এর আগে একই কাজ করেছিলেন হজরত ইউসুফ (আ.)। তার ওপর ভাইদের অবিচার সত্ত্বেও তিনি যখন মিসরের সর্বোচ্চ আসনে আসীন তখন তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন। ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। তিনি সকল দয়ালুর চাইতে অধিক দয়ালু’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৯২)।
তথ্যসূত্র: আর রহিকুল মাখতুম, সীরাতে মুস্তফা
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না