আল্লাহর দৃষ্টিতে সফল জীবন কার?
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবী। বৈচিত্র্যময় তার অধিবাসী। কেউ রাজা, কেউ প্রজা। একজন মালিক অপরজন শ্রমিক। কেউ কৃষক, কেউ ব্যবসায়ী। একজন শিক্ষিত, অপরজন মূর্খ। একজন ধনী অপরজন গরিব। কেউ হাসে, কেউ কাঁদে।
এই বৈচিত্র্যই পৃথিবীর সৌন্দর্য। এটাই বাস্তবতা। তবে কৌতূহল হলো- এসবের মধ্যে কে সফল? আর কে বিফল? কেউ বড় ব্যবসায়ী হয়ে নিজেকে সফল মনে করে। কেউ বড় চাকরীজীবী হয়ে নিজেকে সার্থক মনে করে। কেউ শিক্ষিত হয়ে নিজেকে সফল মনে করে। কেউ রাজা হয়ে আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছে মনে করে?
কিন্তু ভাবার বিষয় হলো, প্রকৃতপক্ষে কে সফল? আর কে বিফল? সফলতা-বিফলতার মানদণ্ড কি? বিবেকবান মাত্রই এ কথার সঙ্গে একমত হবে, যার জ্ঞান সসীম। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সবই যার কাছে সমান। যিনি এই ভূমণ্ডল-নভোমণ্ডল সৃজন করেছেন।
সৃজন করেছেন চাঁদ-তারা, নদী-নালা, খাল-বিল,গাছপালা- তরুলতা। তিনিই যাকে সফল বলবেন প্রকৃতপক্ষে সেই সফল। আর তিনি যাকে ব্যর্থ আখ্যা দেবেন সেই মূলত ব্যর্থ। কারণ ওষুধ যার, সেবন বিধি তার। গাড়ি যার ক্যা টালগ তার। জীবন যার ব্যবহার বিধি তার।
সেই মহামহিম স্রষ্টা বলেন, সে-ই সফলকাম হবে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে এবং সেই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষিত করবে। (সূরা আস শামস-৯, ১০)
অর্থাৎ যে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো এবং কুরআন- সুন্নাহ নির্দেশিত পথে দিনাতিপাত করল সেই সফল হল। পক্ষান্তরে যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল। আল্লাহর বিধি-বিধানের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করল না। মনমতো জীবন পরিচালনা করল সেই ব্যর্থ ও বিফল হল। প্রথম ব্যক্তির ঠিকানা হবে জান্নাত। আর দ্বিতীয় ব্যক্তির আবাস হবে জাহান্নাম।
মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন।
যে সীমা লঙ্ঘন করে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়, জাহান্নামই হবে তার আবাস। পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই হবে তার ঠিকানা। (সূরা-আন নাযিয়াত ৩৭-৪১)
মুফতি শফি (রহ.) এই আয়াতগুলোর এক চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন।
তিনি বলেন, (যে সীমা লঙ্ঘন করে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়) এই আয়াত দুটিতে জাহান্নামিদের দুটি বিশেষ আলামত বর্ণিত হয়েছে। এক. আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করা। দুই. পার্থিব জীবনকে পরকালের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া।
অর্থাৎ যে কাজ অবলম্বন করলে দুনিয়াতে সুখ ও আনন্দ পাওয়া যায় কিন্তু পরকালে তার জন্য আযাব অবধারিত থাকে, সেক্ষেত্রে পরকালকে উপেক্ষা করে দুনিয়ার সুখ ও আনন্দকেই অগ্রাধিকার দেওয়া। যার মধ্যে এই দুটি আলামত পাওয়া যায়, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে। (জাহান্নামই তার ঠিকানা)। (পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি হতে নিজকে বিরত রাখে) এই আয়াত দুটিতে জান্নাতিদেরও দুটি বিশেষ আলামত বর্ণনা করা হয়েছে। এক. প্রত্যেক কাজ করার সময় আল্লাহ্ তা’আলার কাছে জবাবদিহিতার ভয় করা।
দুই. অবৈধ খেয়াল খুশি চরিতার্থ করা থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখা। যে ব্যক্তি এই দুটি গুণ অর্জন করতে সক্ষম হয়, তার সম্পর্কে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে ( জান্নাতই তার ঠিকানা)।
কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী (রহ.) তাফসীরে মাযহারীতে কুপ্রবৃত্তি দমনের তিনটি স্তর উল্লেখ করেছেন।
প্রথম স্তর হলো- কুরআন, হাদিস এবং ইজমা তথা উম্মতের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পরিপন্থী ভ্রান্ত আকীদা ও বিশ্বাস থেকে নিজেকে রক্ষা করা। কেউ এই স্তরে পৌঁছলেই তাকে মুসলমান বলা যায়।
মধ্যম স্তর হলো- কোন গুনাহ করার সময় আল্লাহর সামনে জবাবদিহির কথা চিন্তা করা এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকা। সন্দেহজনক কাজ থেকেও বিরত থাকা এবং কোন জায়েজ কাজে লিপ্ত হওয়ার ফলে কোন নাজায়েয কাজে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সেই জায়েয কাজ থেকে বিরত থাকাও এই মধ্যম স্তরের পরিশিষ্ট।
হযরত নোমান ইবনে বশীর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার আব্রু ও দ্বীনকে রক্ষা করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, সে পরিশেষে হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। যে কাজে জায়েয ও নাজায়েয উভয় দিকের সম্ভাবনা থাকে তাকেই সন্দেহজনক কাজ বলা হয়।
অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনে সন্দেহ দেখা দেয় যে, কাজটি তার জন্য জায়েয না নাজায়েয। উদাহরণত জনৈক রুগ্ন ব্যক্তি ওজু করতে সক্ষম কিন্তু ওজু করা তার জন্য ক্ষতিকরই হবে এ বিষয়ে পূর্ণ বিশ্বাস নেই। এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করা জায়েজ কিনা, তা সন্দেহযুক্ত হয়ে গেল। এরূপ ক্ষেত্রে সন্দিহান কাজ পরিত্যাগ করে নিশ্চিত জায়েয কাজ করাই তাকওয়া এবং কুপ্রবৃত্তি দমনের মধ্যম স্তর।
তৃতীয় স্তর হলো, অধিক জিকির, অধ্যবসায় ও সাধনার মাধ্যমে নফসকে এমন পবিত্র ও অনুগত করা, যাতে কুপ্রবৃত্তির চিহ্নটুকুও অবশিষ্ট না থাকে। এই স্তরে উন্নীত হতে হলে প্রচুর মেহনত ও মুজাহাদা করতে হবে। বিশেষত একজন হক্কানী আল্লাহ ওয়ালার সংশ্রবে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে কুপ্রবৃত্তির চাহিদা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন এবং উভয় জাহানের সফলতা নসিব করুন। আমীন।
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর মতবিনিময়
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- জবানবন্দি দিলেন অপহরণের শিকার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার
- যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ
- জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য
- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- বান্দরবানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন