রাষ্ট্রচিন্তায় গ্রাম উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২০
অজিত কুমার সরকারঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনায় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, তার অন্যতম ছিল গ্রামে বসবাসকারী ৮০ শতাংশ মানুষের উন্নয়নে নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায়ও সফর করেছেন। নিজ চোখে গ্রাম এবং মানুষের দুর্দশার চিত্র দেখেছেন। তাই গ্রাম উন্নয়নের স্বপ্টম্নকে তিনি মনেপ্রাণে লালন করতেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু তার গ্রাম উন্নয়নের দর্শনকে অঙ্গীকার আকারে যুক্ত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সোনার বাংলা বিনির্মাণে গ্রাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে তার গৃহীত উদ্যোগ ও স্বপ্টেম্নর বাস্তবায়ন থেমে থাকে দীর্ঘ ২১ বছর।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেও গ্রাম উন্নয়নের চিন্তা দারুণভাবে ক্রিয়াশীল। তার লেখনীতে যেমন এমন অভিব্যক্তির প্রকাশ দেখা যায়, তেমনি সরকার পরিচালনায় নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্যেও এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। 'গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কিছু কথা' প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, 'গ্রামকেই করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু'। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর এবং গ্রামের বৈষম্য দূর করায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন শুরু করেন গ্রাম থেকে 'বটম আপ অ্যাপ্রোচ' পদ্ধতি অনুসরণ করে।
নগর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর, গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধন এবং মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর তিনি কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিজিটাল উপকরণে সমৃদ্ধ চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের (ইউআইএসসি) উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেদিন ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কুকরিমুকরি থেকে ইউএনডিপির প্রশাসক ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে এমন একটি অনন্য ঘটনার সাক্ষী হন। ২০১৪ সালে ইউআইএসসির নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) রাখা হয়। ইউডিসি প্রতিষ্ঠার পথ ধরেই দেশের পৌরসভা, মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন, ওয়ার্ডসহ ছয় হাজার ৬৮৬টিরও বেশি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
শুধু ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই দেড়শরও বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। প্রতিমাসে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ জমির পর্চা, জন্মনিবন্ধন সনদ, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবাসহ দেড়শরও বেশি সেবা অনলাইন এবং অফলাইনে গ্রামের মানুষ পাচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। যেমন আগে গ্রামের একজন সেবাগ্রহীতাকে জেলা শহর থেকে জমির পর্চা সংগ্রহ করতে তিন সপ্তাহ বা তারও বেশি সময়ে ৩-৪ হাজার টাকা ব্যয় হতো। এ টাকার একটি অংশ ছিল ঘুষ। সেই সেবাটি গ্রামের সেবাগ্রহীতা সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে (মোবাইলে খুদেবার্তায় সেবাটি সরবরাহের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়) বাড়ির পাশে ইউনিয়ন থেকে মাত্র ৮০ টাকায় পাচ্ছেন।
গ্রামে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণের কাজ এতটা সহজ ছিল না। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের স্থানীয় চেয়ারম্যানদের অসহযোগিতা, মাঠ প্রশাসন বিশেষ করে ইউএনওদের তদারকি ও উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল লিটারেসির অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে ইউডিসি প্রতিষ্ঠার মতো কঠিন কাজটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্বীকার করতেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প প্রণয়নে খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়কে সম্পৃক্ত করা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত ছিল দূরদর্শী ও সুবিবেচনাপ্রসূত। শেখ হাসিনা শহরের মতোই গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তির সব সুবিধা নিশ্চিত করার কাজটি বেশ সাফল্যের সঙ্গেই করছেন। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেসব এলাকায় আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মাধ্যমে সোলার প্যানেল বসিয়ে এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন করে ইউডিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার মতো এমন একটি চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা কুড়ায়। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করে। বর্তমান সরকারের সর্বশেষ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২১) অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ সেবার আওতা বাড়ানোসহ ২৪টি খাতের সূচকের উন্নয়নের মূলে গুরুত্ব পায় গ্রাম ও গ্রামের মানুষের উন্নয়ন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রাম-শহরের সুবিধা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তিই হচ্ছে অন্যতম হাতিয়ার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাসের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। নানা উদ্যোগের বাস্তবায়নও করা হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষকে ডিজিটালি লিটারেট করা। আশার কথা হচ্ছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বেশ জোরেশোরেই ডিজিটাল লিটারেসির কথা বলছেন। সেইসঙ্গে আরও দুটি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, মোবাইল ডাটার দাম কমানো। দ্বিতীয়ত, সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। তাহলেই বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইড আরও কমে আসবে
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার