ঈদ ঘিরে চাঙ্গা অর্থনীতি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩
ডলার সংকট-বৈশ্বিক মন্দায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি বেগবান হয়েছে :: জাকাত-ফিতরা এ বছর দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনবে : ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
ডলার সংকট, রিজার্ভের ঘাটতিসহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে ছিল। এর মধ্যেই আইএমএফের ঋণের কিস্তি এসেছে। চলতি মাসে আরো এক কিস্তি আসার কথা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্সও এসেছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-বোনাস, নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাকাত-ফিতরা থেকে বড় অঙ্কের অর্থ মেলায় অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উৎসবকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতি। তাই শেষ সময়ে ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরেছে।
জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ইনকিলাবকে বলেন, আল্লাহর ফরজ বিধান বিত্তবানদের জাকাত প্রদান। জাকাত প্রদানে জোর করতে হচ্ছে না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এখন জাকাত দিচ্ছে। বিশেষ করে এ বছর দেশের মুসলমনাদের মধ্যে জাকাত প্রদানে আগ্রহ বেড়েছে। আগের মতো লুঙ্গি-শাড়ি জাকাত হিসেবে দেয়ার প্রবণতাও কমেছে। এখন মানুষ গরিবদের নগদ টাকা জাকাত দিচ্ছে, যা এ বছর দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আনবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত মার্চে দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চলতি মাসের ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৫ কোটি ৮৭৮ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। যদিও বেতন-বোনাস-রেমিট্যান্সই নয় ঈদুল ফিতরের অর্থনীতির সাথে যুক্ত হয়েছে বিত্তশালীদের প্রদত্ত জাকাত ও ফিতরার টাকা। এবার ধনীদের কাছ থেকে জাকাত ও ফিতরার রেকর্ড পরিমাণ টাকা অর্থনীতিতে যোগ হবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, ঈদ অর্থনীতিতে এ বছর নতুন মাত্রা যোগ করবে জাকাত-ফিতরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মানুষের মধ্যে জাকাত দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থাও জাকাত দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করছে, যা ঈদ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদের ধারণা, এবারই সর্বোচ্চ পরিমাণে জাকাত আদায় হবে, যা ৭০ হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি এ বছর সরকার সর্বনিম্ন ফিতরা ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। ফিতরার পরিমাণ বাড়িয়েছে সরকার। কম হলেও ৫ কোটি মানুষ ফিতরা দিচ্ছে। এনবিআর’র সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, একই মাসে বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর। বৈশাখে উৎসব ভাতা ৬ হাজার কোটি টাকা এবং ঈদ বোনাস ১২ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। পাশাপাশি এ মাসের সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন। এই টাকা দেশের গরিব মানুষের কাছে যাচ্ছে, যা এবারের ঈদে ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া এবং বিনোদনে ব্যয় হবে, যা আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি জানান, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ১৪ লাখ। দোকানের কর্মচারী রয়েছে ৬০ লাখ। বস্ত্র খাতে আছে ৭০ লাখ শ্রমিক। এ বিশাল সংখ্যক জনগণের বেতন-বোনাস ঈদ অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ বাড়াবে। এছাড়া আরো একটি ভালো দিক হলোÑ এ বছর ঈদকেন্দ্রিক রেমিট্যান্স প্রবাহও ভালো। তাই সর্বোপরি বৈশ্বিক মন্দার কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতি বেগবানে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে জাকাত-ফিতরা।
সূত্র মতে, গত কয়েক বছরে করোনা মহামারির মন্দা কাটিয়ে অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাকাত-ফিতরার অর্থ। এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা জাকাত বোর্ড এবং বিভিন্ন সংস্থা জাকাত প্রদানে মানুষকে উৎসাহ প্রদান করেছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তাই এ বছর জাকাত প্রদানে আগ্রহ বেড়েছে। পাশাপাশি জাকাত প্রদানে অগের মতো শাড়ি-লুঙ্গি নয়; গরিবদের নগদ অর্থ প্রদানই বেশি হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের প্রবাহ বেড়েছে, যা দিয়ে ঈদ কেনাকাটা ও অন্যান্য কাজে অর্থের ব্যবহার করছে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঈদ বাজার সূত্রে জানা গেছে, শেষ সময়ে হলেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি হাট-বাজারে ব্যাপক লোক সমাগম। খাবার থেকে পোশাক, সেলুন থেকে পার্লার আর শপিংমল থেকে দর্জিবাড়িÑশুধু ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা! রোজা, ঈদ ও অর্থনীতি পরস্পর পাশাপাশি এ তিনের অবস্থান। রোজা প্রত্যাগত, ঈদ সমাগত, অর্থনীতির আয়োজনও প্রত্যাশামতো। শহরে, নগরে, বন্দরে, গ্রামে আর গঞ্জেÑ সবখানেই অর্থনীতির কারবার! বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমার, বিমান ও লেগুনাÑ সবখানেই শুধু একটা জিনিসের হাঁকডাক। আর সেটা হলো, অর্থ, অর্থ এবং অর্থ। চারদিকে শুধু ঈদের আমেজ ও অর্থের ছড়াছড়ি। ফুটপাথের দোকান থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার ইসলামপুর-চকবাজার। সবখানেই চলছে কেনাকাটা; সবখানেই ঈদের আবহ-আমেজ। একই সঙ্গে রোজায় জমজমাট ছিল ইফতার বাজার। পাড়া-মহল্লার বাজার থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় হোটেলÑ সবখানেই ইফতারের ব্যাপক আয়োজন। এসব কিছুর মূলে রয়েছে অর্থ। পকেটে আসছে অর্থ, পকেট থেকে যাচ্ছে অর্থ, চাঙ্গা হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। করোনা মহামারির কারণে গত ঈদগুলোতে ঈদের বাজার তেমন জমজমাট ছিল না। এবার দেরিতে হলেও জমেছে ঈদবাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎসবের অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হিসাব বলছে, চলতি মাসেই অর্থনীতিতে অতিরিক্ত আরো দেড় লাখ কোটি টাকা লেনদেন হবে। খাদ্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে এই বাড়তি অর্থ যোগ হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী, দোকান কর্মচারী, পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবীদের বোনাসও এ কর্মকাÐে যোগ হবে। এর প্রভাবে ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমল পর্যন্ত বেড়েছে বেচাকেনা। কেনাকাটা বেড়েছে অনলাইনে। জমে উঠেছে ইফতার বাজার। গ্রামেও টাকার প্রবাহ বাড়ছে। সবকিছু মিলে উৎসবে চাঙ্গা হয়ে উঠছে অর্থনীতি।
সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের হিসাবে দেশের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) আকার হচ্ছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। তবে উৎসবে কত টাকা লেনদেন হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। রোজা ও ঈদ উৎসবের অর্থনীতি নিয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, রোজা ও ঈদে অতিরিক্ত ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন যোগ হয়। সমীক্ষা মতে, পোশাকের বাজারে যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। নিত্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যোগ হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। জাকাত ও ফিতরা বাবদ আসছে ৬৭ হাজার কোটি টাকা। পরিবহন খাতে ৮০০ কোটি টাকা। ঈদকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এর বাইরে আরো কয়েকটি খাতের কর্মকাÐে টাকার প্রবাহ বাড়বে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী, তৈরী পোশাক ও বস্ত্র খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে ৭০ লাখ শ্রমিকের বোনাস, যা ঈদ অর্থনীতিতে আসছে। এছাড়াও রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের টাকা। মার্চে ২০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা। চলতি এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (ডলার ১০৭ টাকা ধরে) ১০ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, উৎসবের মধ্যে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। এটি সবসময়ই রোজার শুরু থেকেই জমে উঠে। এই মাসে মানুষের পণ্য চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে ইফতারে ব্যবহার হয় এ ধরনের পণ্যগুলোর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছেÑ ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ, চিনি, ডাল, ডিম, ফলমূল এবং শাক-সবজিসহ অন্যান্য আইটেম। রমজানে সারা দেশে ইফতারকেন্দ্রিক কয়েক লাখ মানুষ মৌসুমি ব্যবসা করেন। করোনার কারণে গত ২ বছর এ প্রবণতা কম ছিল। কিন্তু এবার তা কিছুটা বেড়েছে। অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ঈদে দেশের বুটিক ও ফ্যাশন হাউজগুলো বেশ ব্যস্ত। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতি (এফইএবি বা ফ্যাশন উদ্যোগ) উৎসবের বেচাকেনা এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের ফ্যাশন হাউজগুলোতে বছরের মোট বিক্রির ৫০ শতাংশ হয় রোজার ঈদে। তবে এবার বেচাকেনা তুলনামূলক কম বলে জানান সমিতির নেতারা।
সূত্র মতে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বোনাস, ব্যবসার টাকা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং জাকাত-ফিতরা মিলিয়ে অর্থনীতিতে নতুন করে দেড় লাখ কোটি টাকা যোগ হয়। এর একটি অংশ ইতোমধ্যে গ্রামে চলে গেছে। ঈদ ও রোজার বাড়তি খরচ মেটাতে কৃষকের ঘরে মজুত ধান বা অন্যান্য ফসলের একটি অংশ বিক্রি করেছে। তরমুজের মতো মৌসুমি ফলের ব্যবসাও জমে উঠেছে। এছাড়াও অর্থবছর শেষ হয়ে আসায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ খরচ করার ধুম পড়েছে। ফলে সবকিছু মিলে টাকার স্রোত এবার গ্রামের দিকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ টাকার বড় অংশই যাচ্ছে ভোগ-বিলাসে। আর কিছু অংশ যাচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পভিত্তিক উৎপাদন খাতে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরী বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। রোজার ঈদে টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি বাড়ে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই টাকা পোশাক, ভোগ্যপণ্য, শৌখিনতা ও ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতে বেশি হচ্ছে, যা বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে। তিনি বলেন, উৎসব অর্থনীতির আকার, ধরন ও ব্যাপ্তি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মানুষ এই উৎসব ঘিরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করেন। এতে উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, ব্যবসায়ী প্রত্যেকে কিছু না কিছু লাভবান হচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সূত্র মতে, চলতি বছর ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অষ্টম বেতন কাঠামোর আলোকে ঈদ বোনাস পাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে তিন বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া বেসরকারি অফিসে, প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজস্ব কাঠামোতে বোনাস দিচ্ছে। এছাড়া পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রায় ৭০ লাখ কর্মীর বোনাসও যোগ হচ্ছে, যা পুরোটাই যোগ হচ্ছে ঈদ অর্থনীতিতে। এছাড়া ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে সারা দেশের দোকান কর্মচারীদের বোনাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে দেশে ২০ লাখ দোকান, শপিংমল, বাণিজ্য বিতান রয়েছে। গড়ে একটি দোকানে ৩ জন করে ৬০ লাখ জনবল কাজ করছে। নি¤েœ একজন কর্মীকে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস দেয়া হয়। ওই হিসাবে গড়ে বোনাস ৮ হাজার টাকা ধরে ৪ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন এ খাতের শ্রমিকরা, যা পুরোটাই ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এবার ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন একটা ভালো নয়। কারণ খাবারের চাহিদা মিটিয়ে মানুষের হাতে ওই পরিমাণ টাকা থাকছে না। এ কারণে ফুটপাথে ভিড় থাকলেও বড় মার্কেটগুলো ওভাবে জমে উঠেনি। তবে আমাদের ধারণা, করোনার পর এবার ব্যবসা জমে ওঠার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বঙ্গবাজার ও নিউ মার্কেটের অগ্নিকাÐ হিসাব কিছুটা পাল্টে দিয়েছে। তবে আশা করছি, শেষ সময়ে বেচাকেনা আরো বাড়বে। এদিকে ঈদ উৎসব পালন করতে রোজার শেষ দিকে হওয়ায় শহরের অধিকাংশ মানুষ যান গ্রামের বাড়িতে। এ সময় অতিমাত্রায় বেড়ে যায় পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন ও নৌযান চলাচল। এতেও টাকার প্রবাহ বাড়ে। অন্যদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষ বিনোদনের জন্য দেশের ভেতরে বিভিন্ন স্থান ও বিদেশে বেড়াতে যান অনেকে। ফলে পর্যটন খাতেও যোগ হয় বাড়তি টাকার প্রবাহ। সার্বিকভাবে এ কর্মকাÐের কারণে সাধারণত অন্য মাসের তুলনায় এই মাসে অতিরিক্ত অর্থের প্রভাব বেড়ে যায়।
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার
- শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর মতবিনিময়
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না