বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৬ ১৪৩১
|| ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৩
ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে পাহাড় কন্যা বান্দরবানের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে। ঈদের দিন ও পরের দিন ভ্যাপসা গরমেও দমাতে পারেনি ভ্রমণ পিপাসুদের। পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র মেঘলা, প্রান্তিক লেক, নীলগিরি, শৈল প্রপাত সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে।
সরজমিনে এবারের ঈদে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে জেলার অন্যতম এই দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে। পরিবার পরিজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করছেন। সবাই ব্যস্ত নিজের হাতে থাকা মোবাইলে এই ক্ষনের মূহুর্তের ছবি তুলে স্বৃতি হিসেবে জমা রাখতে। দিন বাড়ার সাথে সাথে আগত পর্যটকদের গাড়ির সারিও লম্বা হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরাঘুরির জন্য ঈদের এই উপলক্ষ হচ্ছে সব চেয়ে সুন্দর একটি সময় এমনটাই বলেছেন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
পর্যটকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতার বিষয়ে জেলা টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন- "ঈদের ছুটিতে সাধারণ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসে বান্দরবানে। এ জন্য জেলা টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ হতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। পর্যটকদের কোন অসুবিধা হলে জেলা টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ হতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এ তিন উপজেলা ব্যতীত বাকি চার উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
নিষেধাজ্ঞার কারনে দেশের অন্য জেলা হতে এবার পর্যটক সমাগম কম হয়েছে। জেলার আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতেও নেই তেমনটা বুকিং এর চাপ। বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান- "গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় পর্যটক সমাগম হয়েছে অনেকটা কম।তিনটি উপজেলায় ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞার কারনে অনেকেই এই ছুটিতে বান্দরবান বেড়াতে আসেন নি।এতে জেলার এবার হোটেল রিসোর্টে গুলো ব্যাবসায়িক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন যা তিন দিনে প্রায় দেড় কোটি টাকা মতো"।
সকলের আশা পার্বত্য বান্দরবানের আঞ্চলিক সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে এবং ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে স্বাভাবিক প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে আসবে জেলার পর্যটন শিল্পে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়