বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৭ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯
কলা খেয়ে সাধারণত খোসা আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই। কিন্তু অনেকেই জানি না কলার খোসার কত গুণ। শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি। কলা অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। পাশাপাশি কলার খোসাতেও রয়েছে অনেক উপকার। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন আপনি এ খোসাকে। জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অভিনব কিছু ব্যবহার।
১. জুতা পলিশ : জুতা চকচকে করতে কলার খোসা ব্যবহার হয়। কলার খোসার ভিতরের নরম অংশ জুতার উপর কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর একটি নরম কাপড় দিয়ে জুতা মুছে ফেলুন। কলার প্রাকৃতিক অয়েল লেদার চকচক করতে সাহায্য করে। ২. রুপার উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে : কিছু কলার খোসা এবং পানি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। এ পেস্টটি রুপার জিনিসের উপর ঘষুন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একটি শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ৩. দাঁত সাদা করতে : হলদেটে দাঁত নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। একটি কলার খোসার নরম অংশটি দিয়ে দাঁতের উপর কিছুক্ষণ ঘষুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। এভাবে একমাস ব্যবহার করুন। দেখবেন দাঁত অনেকটা সাদা হয়ে গেছে। ৪. ব্যথা প্রশমিত করতে : ব্যথার স্থানে সরাসরি কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ৩০ মিনিট পর খোসাটি সরিয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্যথা কিছুটা কমে গেছে। এছাড়া ভেজিটেবিল অয়েল এবং কলার খোসা একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ব্যথা কমিয়ে দেবে। ৫. ব্রণ রোধ করতে : ব্রণের উপর কলার খোসার নরম অংশটি ম্যাসাজ করুন। এটি প্রতিদিন ৫ মিনিট করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখতে পারবেন। ব্রণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত এটি ব্যবহার করুন। ৬. ব্যথার কালো দাগ : ব্যথায় কালো হয়ে যাওয়ার দাগ দূর করতে কলার খোসা বেশ কার্যকর। কালো দাগের স্থানে কলার খোসা কিছুক্ষণ ঘষুন অথবা দাগের স্থানে কলার খোসা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। এটি সারারাত রাখুন। ৭. রিংকেল হ্রাস করতে : একটি ডিমের সাদা অংশ এবং একটি কলা খোসার ভিতরের অংশ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এ মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন ৫ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়