ঘূর্ণিঝড়ে এবারই সাগরে কোনো জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২১
এক ঢিলে দুই পাখি শিকার’ বলে একটি কথার বহুল প্রচলন রয়েছে। সেই রকম ঘটনারই উদাহরণ হয়ে উঠেছে বুধবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বেলায়ও। অর্থাৎ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস প্রচণ্ড দাপটের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের বিশাল বুক জুড়ে দেশের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করলেও এবার সাগরে মৃত্যুর ঘটনা শূন্যের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে। সাগরে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানায় রক্ষা মিলেছে বিপুলসংখ্যক জেলের প্রাণহানিও। এজন্য লোকজন বলছেন, এক ঢিলে দুই পাখি শিকার।
সাগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের থাবায় এবারই কোনো জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। খবর মিলেনি কোনো মাছধরা নৌকা এবং জেলে নিখোঁজের ঘটনাও। এর আগে যতগুলো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে সবগুলো ঘূর্ণিঝড়েই সাগরে মাছধরা পেশায় নিয়োজিত জেলেরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়েই বিপুলসংখ্যক জেলের প্রাণহানি ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে একজন জেলে কেবল তার জান হারান না সেই সঙ্গে নৌকা এবং জাল হারিয়েও নিঃস্ব হয়ে পড়েন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে জানান, ‘ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আমরা অত্যন্ত সজাগ ছিলাম। দেশের প্রধান মৎস্য কেন্দ্র যেহেতু কক্সবাজার উপকূলে তাই কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্যদের নিয়ে জেলেদের সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য করেছি। এ কারণেই সাগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে জেলে মৃত্যু বা নৌকাসহ জেলে নিখোঁজ শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার বঙ্গোপসাগরে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য টানা ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। গত ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে কোন মাছ ধরা নৌকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় মাছ ধরতে নামবে না। মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকাকালীন সময়েই গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানে। তিনি বলেন, মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণেই সাগরে কোনো প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেনি।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সারা দেশব্যাপী মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৬৮ হাজার যান্ত্রিক নৌকা। তন্মধ্যে কক্সবাজার জেলায় যান্ত্রিক নৌকা রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। তিনি জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসব্যাপী সাগরে মাছধরা নিষেধ ছিল। পরবর্তীতে গত ২০ মে থেকে টানা ৬৫ দিনের জন্য শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না হলে সাগরে জেলেদের প্রাণহানি এবং জেলেসহ নৌকা নিখোঁজের ঘটনা কোনোভাবেই এড়ানো যেত না। জেলেদের আবহাওয়ার ৯ নম্বর সংকেত দিয়েও দমানো যায় না। যত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আসুক না কেন জেলেরা সাগরে নামবেই।
কক্সবাজার জেলা মাছধরা যন্ত্রচালিত নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন- ‘ঘূর্ণিঝড় এলেই সাগরে জেলেদের প্রাণহানি ঘটে। অনেক নৌকাসহ জেলেরা নিখোঁজ হয়ে পড়ে। ঝড়ের পর থেকেই শুরু হয় জেলেপল্লীগুলোতে স্বজন হারানোর বিলাপ। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিটা ছিল ভিন্ন। মাছের প্রজনন রক্ষায় সরকারের ৬৫ দিনের টানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর আঘাতেও অনেক জেলের নিশ্চিত মৃত্যু ঠেকানো গেছে।’
কুতুবদিয়া দ্বীপের মাছধরা নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বহদ্দার জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের পরও যতগুলো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে সবগুলোতেই দ্বীপের জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু বুধবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছে জেলেরা। অপরদিকে কক্সবাজার জেলা যান্ত্রিক নৌকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকার ৬৫ দিনের জন্য মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় একদিকে সাগরের মাছের বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়েছে তেমনি এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই উপকূলের জেলেরাও জানমাল নিয়ে অক্ষত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ত্রিশ বছর আগে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল শতাব্দীর প্রলয়ংকরি যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল সেই ঘূর্ণিঝড়ে কেবল মাত্র কক্সবাজার উপকুলের ২ লাখ জেলে হারিয়েছিল তাদের নৌকা ও জালসহ সর্বস্ব। সেই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার জেলায় সরকারি হিসাবেই প্রাণ হারিয়েছিল ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। যার মধ্যে কয়েক হাজার ছিল জেলে। সেই ঘূর্ণিঝড়টিও এসেছিল পূর্ণিমা তিথির ভরা কাঠালের (ভরা জোয়ার) সময়। আর ত্রিশ বছর পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসও অনুরূপ পূর্ণিমা তিথিতে গত বুধবার আঘাত হেনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট আলীকদমে
- বান্দরবানে রাজার মাঠে মঞ্চ তৈরি বন্ধে জেলা প্রশাসককে রাজার চিঠি
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- মেয়র আতিক বললেন বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের