বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৬ ১৪৩১
|| ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় অবস্থিত আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আর আর আরসি কর্তৃক কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তরিতের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে।
তারপর সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ২য় ধাপে ৫১ পরিবারের ২৭০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সকাল ১১.২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত চলমান থাকে। তখন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আর.আর.আর.সি’র নিজস্ব যানবহনে করে তাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তুমব্রু কোনার পাড়া জিরো লাইনের আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গারা গত ১৮ জানুয়ারি আরসা-আরএসও এর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ঘর বাড়ি জালিয়ে দেওয়ার পর চলে এসে তুমব্রু এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কক্সবাজার আরআরআরসি কর্তৃক ৩৪ বিজিবির অধীন তুমব্রু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে রবিবার ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন সদস্যকে কক্সবাজার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান। অবশিষ্ট অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ২য় দফায় ৫১ পরিবারের ২৭০ জন ।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার আর.আর.আর.সি শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্বয়ে কাজ চলছে।
শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কর্মকর্তা মো. মিজানুর বলেন, ক্রমান্বয়ে প্রতিদিন এভাবে শরণার্থী শিবিরের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে নিজস্ব যানবাহনে করে নিয়ে যাওয়া হবে। এভাবে ধাপে ধাপে সকল রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়