নজর কাড়বে বিমানবন্দর
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩
বিমানবন্দরকে বলা হয় দেশের আয়না। বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, বিশিষ্টজন, পর্যটক, বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে গেলে বিমানবন্দরে নেমেই সে দেশের সার্বিক অবস্থা বুঝে যান। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতির চিত্র বিমানবন্দরেই ফুটে ওঠে। ফলে বেশির ভাগ দেশ নিজেদের রুচিবোধ তুলে ধরার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর গড়ে তুলেছেন। সিংগাপুরের চাঙ্গি, কাতারের হামাদ, জাপানের হানেদা, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, জার্মানির মিউনিখ, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বমানের এবং আকর্ষনীয়। চলতি বছরেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্কাইট্র্যাক্স বিশ্বের সেরা ১০০ বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশে নাম নেই। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল বিশ্বমানের টার্মিনাল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই থার্ড টামিনাল চালু হলে পাল্টে যাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে নবদিগন্তের সূচনা হবে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আর্কষনীয় হয়ে উঠবে এই টার্মিনাল। দেশ-বিদেশের উড়োজাহাজে যাতায়াত করা যাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা থাকবে না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে নির্মিত হচ্ছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। এই টর্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে নতুন এই টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। সংশ্লিষ্টদের দাবি দেশের অন্যতম এই মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৫০০ ফুট বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন থার্ড টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ইনকিলাবকে বলেন, বিমানবন্দর একটা দেশের ড্রয়িংরুমের মতো। একটা দেশে ঢোকার আগে বিদেশিরা বিমানবন্দর দেখেই ওই দেশ সম্পর্কে প্রথমে ধারণা নেন। আমাদের দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু একটা সুন্দর এয়ারপোর্ট নেই। ফলে নতুন এ উদ্যোগ খুই দরকার হয়ে পড়েছিল। আমরা হিথরো, জন এফ কেনেডি, চাঙ্গি এয়ারপোর্ট দেখেছি। সবকিছু দেখেই আমরা একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর চাচ্ছি। এর অংশ হিসেবেই থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেয়া। ২০২৩ সালে অক্টোবরের মধ্যেই আমরা এ’টির কাজ শেষ করতে পারব।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানবন্দর যে কোনো দেশের আয়না। একজন পর্যটক কোনো দেশে এলে বিমানবন্দর দেখে সে দেশকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করে। বিমানবন্দর আধুনিক হলে দেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়। থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হলে দেশের অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক যোগ হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তজাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হলে অ্যাভিয়েশন খাতে নব দিগন্তের সূচনা হবে। রমরমা হবে আকাশপথের বাণিজ্য। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম হাব হিসেবেই বাংলাদেশ নজর কাড়বে গোটা বিশ্বের। অ্যাভিয়েশান বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সরকারের ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে স্মার্ট এয়ারপোর্ট। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে বিদেশ থেকে দেশে অনেক পর্যটক আসবেন। এতে বিদেশিরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন। কার্গো হ্যান্ডেলিং সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানি ও জিডিপি বৃদ্ধি পাবে, যা পরোক্ষভাবে দেশের দরিদ্র্যতাকে হ্রাস করবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে এই তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে। তিন তলার এ টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার, লম্বা ৭০০ মিটার এবং চওড়ায় ২০০ মিটার। অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিসি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজ করছে। থার্ড টার্মিনালের নকশা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্ব দরবারে খ্যাতি কুড়িয়েছেন।
বেবিচকের তথ্য মতে, তৃতীয় টার্মিনালে থাকবে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ। প্রথম ধাপে চালু করা হবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। উড়োজাহাজ রাখার জন্য ৩৬টি পার্কিং বে। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার থাকবে। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার। আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক ইন কাউন্টারসহ ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে। এর বাইরে টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
সূত্র জানায়, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে, যার মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ ব্যবস্থা থাকবে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিকমানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের প্রথম ধাপের সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডুরের মাধ্যমে পুরনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। বর্তমানে চালু ভিভিআইপি কমপ্লেক্সটি ভেঙে ফেলা হবে। তৃতীয় টার্মিনালে স্বতন্ত্র কোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে না। তবে টার্মিনাল ভবনের ভেতরে দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ভিভিআইপি সময় কাটানোর জায়গা থাকবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেছেন, বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় যাত্রীরা এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবে। থার্ড টার্মিনালের প্রকল্প ব্যয় কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং মোট প্রকল্প ব্যয় থেকে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই টাকা দিয়ে সরকার ও জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি সাপেক্ষে থার্ড টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ এবং একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। যারা এই টেন্ডারে উত্তীর্ণ হবে তারাই কাজ পাবে।
থাকছে যেসব সুবিধা : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে (টার্মিনাল-৩) প্রায় সব ধরনের আধুনিক এসব সুযোগ-সুবিধা থাকছে। পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। তবে এ টার্মিনালের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হবে মডার্ন টার্মিনাল বিল্ডিং। দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের বিল্ডিংয়ের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
স্ট্রেইট এসকেলেটর : নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালটিতে বেশ কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের দীর্ঘপথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোতে বেশি যাত্রী প্রবাহের জায়গাগুলোতে এ এসকেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের একটি শান্ত এবং মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেয়।
অত্যাধুনিক ব্যাগেজ বেল্ট : নতুন এ টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাগের জন্য তিনটি আলাদা স্টোরেজ এরিয়া করা হয়েছে। রেগুলার ব্যাগেজ স্টোরেজ, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড এবং অড সাইজ (অতিরিক্ত ওজনের) ব্যাগেজ স্টোরেজ।
যাত্রীদের স্বাভাবিক ওজনের ব্যাগেজের জন্য সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি ও ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের মতো অত্যাধুনিক এবং একইরকমের ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট থাকবে টার্মিনালটিতে। অতিরিক্ত ওজনের (ওড সাইজ) ব্যাগেজের জন্য স্থাপন করা হবে আরও চারটি পৃথক বেল্ট। এছাড়াও ব্যাগেজ এলাকাসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ব্যাগেজগুলোর জন্য থাকবে আলাদা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ব্যাগেজ এরিয়া।
বেবি কেয়ার-চিলড্রেন প্লে, ফার্স্ট-এইড : নতুন টার্মিনালের প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে একটি করে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। এ লাউঞ্জের ভেতর মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং বুথ, ডায়াপার পরিবর্তনের জায়গা এবং একটি বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে। এছাড়াও বাচ্চাদের সিøপার-দোলনাসহ একটি চিলড্রেন প্লে এরিয়াও থাকবে। নতুন টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকসহ থাকছে হেলথ ইন্সপেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, করোনাসহ নানা রোগের টেস্টিং সেন্টার ও আইসোলেশন এরিয়া।
মুভি লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট : বিমানবন্দরে সময় কাটানোর জন্য নতুন এই টার্মিনালে থাকবে মুভি লাউঞ্জ, এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম। এছাড়াও ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪টি স্পটে ডিউটি ফ্রি শপ। টার্মিনালের বাইরে ও ভেতরে থাকবে ফুড কোর্ট, ফুড গ্যালারি, ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল চার্জিংয়ের সুবিধা। এছাড়াও নারী ও পুরুষের জন্য রাখা হবে পৃথক নামাজের ব্যবস্থা। যাত্রীদের নিতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মিটার্স অ্যান্ড গ্রিটার্স প্লাজাও থাকবে টার্মিনাল-৩ এ।
চেক-ইন বোর্ডিং : সাধারণত বিমানবন্দরে ঢুকে একজন যাত্রী চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে তার টিকিট দেখিয়ে বোর্ডিং পাস নেন এবং ব্যাগেজ জমা দেন। তবে অত্যাধুনিক এ টার্মিনাল ভবনে থাকবে ১০টি সেলফ চেক-ইন কিওস্ক (মেশিন)। এগুলোতে নিজের পাসপোর্ট এবং টিকিটের তথ্য প্রবেশ করালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে বোর্ডিং পাস ও সিট নম্বর। এরপর নির্ধারিত জায়গায় যাত্রী তার লাগেজ রেখে দেবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাগেজগুলো এয়ারক্রাফটের নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে। তবে নির্ধারিত ৩০ কেজির বেশি ওজনের ব্যাগেজ নিয়ে এখানে চেক-ইন করা যাবে না। নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ভারী ব্যাগেজের জন্য আলাদা চেক-ইন কাউন্টার থাকবে এ টার্মিনালে।
ইমিগ্রেশনও নিজেই : নতুন টার্মিনাল ভবনের বহির্গমন পথে ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল বা ই-গেইট থাকবে। এতে করে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি না হয়ে সরাসরি নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সেরে ফেলতে পারবেন। তবে কেউ যদি না চায়, সেক্ষেত্রে ৫৬টি বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারও থাকবে। সেখানে ইমিগ্রেশন করবে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এছাড়াও যেসব যাত্রী অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকবেন তাদের জন্য ৫টি ই-গেট থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ৫৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা : নতুন এই টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার। টার্মিনালে প্রবেশ করা একজন যাত্রীকে বিমানে উঠা পর্যন্ত হাতের স্পর্শ ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তল্লাশি করা যাবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীকে বডি স্ক্যানার মেশিনের ভেতর দু’হাত তুলে দাঁড়াতে হবে। এর ফলে যাত্রী ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সময় বাঁচবে। স্ক্যানিংও হবে নির্ভুল ও স্বচ্ছ। নতুন টার্মিনাল ভবন এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন করা হচ্ছে। সেখানে থাকবে একজন পৃথক ফায়ার স্টেশন ম্যানেজার। থাকবে আগুন নেভানো ও জরুরি উদ্ধারকাজ করার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার