সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৩ ১৪৩১
|| ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদে আশ্রয়ে রাখতে খোলা হয়েছে ৩০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। উপজেলার ৫ ইউনিয়নে এসব কেন্দ্র খোলা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে জনপদগুলোতে পাহাড় ধস ও দুর্যোগ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের এ শিবিরে চলে যেতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে করা হচ্ছে মাইকিং ।
সোমবার ( ২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নে বর্তমানে ৩০টি অশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধু এই ৩০টি নয় প্রয়োজনে আরো বেশ কিছু আশ্রয় শিবির খোলা প্রস্তুতিও রয়েছে আমাদের। মূলত কোন মানুষ কষ্ট না পায় সেই বিষয়টা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত। তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিস্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ পরিণত হয়ে উপকূলীয় অঞ্চল আঘাত হানতে পারে আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বিষয়টি সাবর্ক্ষণিং মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান উপজেলা নির্বািহী কর্মকর্তা।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, আমরা সদর ইউনিয়নে ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতি রেখেছি। বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এ আশ্রয় শিবিরের আওতায় আনা হয়েছে। দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান জানান, আমার ইউনিয়নের ৭টি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।কুরিক্ষ্যং, ছাগলখাইয়া, বাঁকখালী, কুলাছি, বাহিরমাঠ, লেবুছড়ি ও উক্যজাই হেডম্যানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে এ আশ্রয় শিবির। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি আশ্রয় শিবির প্রস্তুত রেখেছি। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, আশ্রয় শিবিরগুলোতে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করে আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে বারবার। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কঠোরতায় তারা মাঠে কাজ করছেন। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” এর প্রভাবে সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ উপসহকারী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আমি ইতোমেধ্যে জানতে পেরেছি, বর্তমানে মাঠে থাকা রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা । তবে এ মুহূর্তে তার সংখ্যা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এ বছর নাইক্ষ্যংছড়িতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩ শত ৩২ হেক্টর জমিতে। এ বছর এখানে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে সিত্রাং এর ঝুঁকি কারনে আমরা চিন্তিত । আর কলাগাছসহ বিভিন্ন বাগানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন তিনি। অবশ্য বর্তমানে জুমের ধান ঘরে তুলে ফেলেছে জুমিয়ারা। এ জন্য পাহাড়িদেন তেমন দুশ্চিন্তা নেই এতে।তারপর সিত্রাং শেষে পর্যালোচনা করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা যাবে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়