নিজস্ব জমি ছাড়া স্কুল কলেজ করা যাবে না
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব জমি ছাড়া ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগে নির্ধারিত জমিতে ভাড়া বাসার চুক্তিপত্র দেখানোর শর্তে অনুমোদন দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই শর্তকেও বাতিল করা হয়েছে। ফলে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে নির্ধারিত জমির কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়া আগে অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব জমিতে যাওয়ার জন্য দুই বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে।
অন্যথায় এসব প্রতিষ্ঠানেরও পাঠদানের অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা-২০২২’ এ নির্ধারিত জমির এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। সেই নীতিমালা প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
গতকাল রবিবার এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে যেসব প্রতিষ্ঠান জমি ছাড়াই বিদ্যালয় স্থাপন করেছে, এখনো নিজস্ব জমিতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থানান্তর করেনি, তারা যেকোনো কাজে বোর্ডে এলে আমরা তাদের কাজ বন্ধ করে দুই বছরের সময়সীমা দিয়ে নিজস্ব জমিতে ভবনে যেতে বাধ্য করব। যারা এ কাজ করতে ব্যর্থ হবে তাদের পাঠদান অনুমতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের নামে জমি না থাকলে নতুন করে বিদ্যালয় খোলার অনুমোদনও দেওয়া হবে না। আগে ভাড়া বাড়িতে বিদ্যালয় খোলার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।
বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে জমি থাকতে হবে, সেখানে বিদ্যালয়ের স্থাপনা থাকা বাধ্যতামূলক।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রায় ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ভাড়া বাড়িতে গড়ে উঠেছে অনেক স্কুল-কলেজ। ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিগত দুই বছরের এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় ২০২১ সালে শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮টি, ২০২২ সালে তা বেড়ে ৫০টি হয়েছে। একইভাবে এইচএসসিতে ২০২১ সালে শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঁচটি থেকে ১০ গুণ বেড়ে ২০২২ সালে ৫০টি হয়েছে।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৯৬.৬৪ শতাংশ স্কুল-কলেজ (মাদরাসা ও কারিগরি ব্যতীত) বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হয়। ২০২১ সালে নিবন্ধিত ২৩ হাজার ৭৭৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৮০০টি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২২ হাজার ৯৭৮টি।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যত্রতত্র স্কুল-কলেজ গড়ে ওঠার কারণে হয়তো বেকারত্ব কমছে, কিন্তু মানসম্মত শিক্ষকসহ পাঠদান নিশ্চিত করা না গেলে শিক্ষার মানোন্নয়ন কখনো সম্ভব না। শুধু নীতিমালা করলেই হবে না। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন নীতিমালা অনুসরণ করে, কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি পেতে নিজস্ব জমির সঙ্গে জনসংখ্যার বিপরীতে নির্দিষ্ট দূরত্বে বিদ্যালয় স্থাপনের শর্ত মানতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যালয়ের পাঠদান অনুমতি পেতে এসব বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে যেসব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করার সুযোগ নেই। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি থাকবে। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এক বছরের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখাতে ব্যর্থ হলে শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান অনুমতিও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ৯০০ বসতঘর
- কালবৈশাখী ঝড়ে লামায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার