নিজের মাঝেই লুকিয়ে আছে প্রভুর পরিচয়
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পরশ পাথর’ নামে একটি কবিতা আছে। কবিতাটি এক ক্ষ্যাপা পাগলকে নিয়ে। ক্ষ্যাপা ঘুরেফিরে পরশ পাথর খোঁজে। বছরের পর বছর পরশ পাথর খুঁজে বেড়াচ্ছে। চুলে জট। গায়ে ময়লা কাপড়। পায়ে লোহার মল। হাতে বালা। ঘুরতে ঘুরতে যখন কোনো সমুদ্রের বেলা ভূমিতে কিংবা ঝরনার পাদদেশে পৌঁছে তখনই আতিপাতি করে পরশ পাথর খুঁজতে শুরু করে দেয়। একটার পর একটা পাথর হাতে নেয় আর দূরে ফেলে দেয়। কোথাও পরশ পাথর নেই। বহু যুগ পর ক্ষ্যাপাকে দেখে একজন বলল, কী রে পাগলা! পায়ে সোনার মল আর হাতে সোনার বালা নিয়ে ঘুরছিস কেন? শুনেই ক্ষ্যাপার মোহ ভঙ্গ হলো। সঙ্গে সঙ্গে তাকিয়ে দেখে এ কী! হাতে পায়ে তো লোহার বালা মল ছিল। এগুলো স্বর্ণ হলো কীভাবে? তার মানে পরশ পাথর খুঁজতে খুঁজতে কোনো এক ঝরনার পাদদেশে নিজের অজানাতেই পরশ পাথরের ঘঁষা লেগেছিল হাতে পায়ে। সে থেকেই লোহার গয়না সোনা হয়ে যায়। কবিতাটির শিক্ষা হলো, পরশ পাথর খোঁজার মোহে নুড়ি পাথর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকলে সত্যিকারের পরশ পাথর হাতছাড়া হয়ে যায়। তেমনি প্রভুকে খুঁজতে হবে সচেতনভাবে। নয়তো আল্লাহকে হাতের কাছে রেখেই তামাম দুনিয়া আতিপাতি করেও তার দেখা পাওয়া যাবে না।
প্রভুকে পাওয়ার পরশ পাথর আছে আমাদের নিজেদের ভিতরই। এ কারণেই জগতের সব সুফি এক বাক্যে বলেছেন, যে নিজেকে চিনেছে সেই তার প্রভুর পরিচয় পেয়েছে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কোনো এক অবসর সময়ে যদি নিজের মাঝে ডুব দেওয়া যায় তাহলেই বোঝা যাবে প্রভু আমার কত কাছে। মহান আল্লাহ নিজেকে নিয়ে চিন্তাভাবনার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আর আমার সৃষ্টি নৈপুণ্য ও একত্ববাদের পরিচয় রয়েছে তোমাদের মাঝেই, তোমরা কি চিন্তা-গবেষণা করে দেখ না।’ (সূরা জারিয়াত, আয়াত : ২০-২১ )
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ধ্বংস হোক অকৃতজ্ঞ মানুষ! সে কি ভেবে দেখে না কি বস্তু থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে শুক্রবিন্দু থেকে। তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তার তাকদির নির্ধারণ করেছেন। অতঃপর তার জীবন চলার পথ সহজ করে দিয়েছেন। সহজ জীবন শেষে তিনি তার মৃত্যু ঘটান ও তাকে কবরস্থ করেন। যখন তিনি ইচ্ছা করবেন তাকে পুনর্জীবিত করবেন।’ (সুরা আবাসা, আয়াত ১৭-২২)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তার নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম এই যে, তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমরা এখন জীবিত মানুষ হিসেবে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছ।’ (সুরা রুম, আয়াত ২০) ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনাবলির মাঝে অন্যতম নিদর্শন হলো ‘বীর্য থেকে মানুষের সৃষ্টি’। শুক্রবিন্দুর কথা ভাবুন! এটা যদি কোথাও ফেলা হয়, তাহলে বাতাসে নষ্ট হয়ে যাবে, পচে যাবে। কিন্তু কীভাবে রাব্বুল আলামিন স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মাধ্যমে পুরুষের মেরুদণ্ড ও বক্ষপাজরের থেকে শুক্রবিন্দু বের করে আনলেন? কীভাবে শিরা-উপশিরা থেকে নির্গত করে নারীর মাসিকের রক্তকে রেহেমে প্রবেশ করালেন? এরপর কীভাবে তিনি শুক্রবিন্দু থেকে সৃষ্টি করলেন একটি প্রাণ! কীভাবে তাকে সেখানে আহার জোগালেন! কীভাবে তাকে প্রবৃদ্ধি দান করলেন, তাকে প্রতিপালন করলেন! কীভাবে তিনি সাদা শুক্রবিন্দুকে লাল রক্তপিণ্ডে পরিণত করলেন! এরপর তাকে পরিণত করলেন গোশতপিণ্ডে! এরপর কীভাবে তিনি সেই গোশতপিণ্ডতে তৈরি করলেন রগ, ধমনি, শিরা-উপশিরা, হাড় ও গোশত! কীভাবে তিনি গোশত, হাড়, শিরা-উপশিরা প্রভৃতিকে বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাঝে স্থাপন করলেন! এরপর সৃষ্টি করলেন গোলাকার মাথা। শরীরের মাঝে উদ্ভাসিত করলেন নাক, কান, চোখ, মুখসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এরপর হাত-পার সংযোজন করলেন। হাত-পায়ের মাথায় দিলেন আঙুল। আর আঙুলের মাথায় দিলেন নখ। তারপর কীভাবে তিনি গঠন করলেন হৃদয়, পাকস্থলী, যকৃৎ, প্লীহা, ফুসফুস, গর্ভাশয়, মূত্রাশয়, অন্ত্রাদির মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো! যার প্রতিটি বিশেষ আকারের, বিশেষ পরিমাপের বিশেষ কার্যক্রমের জন্য সৃষ্টি। তারপর কীভাবে তিনি এক অঙ্গের সঙ্গে অপর অঙ্গকে সংস্থাপন করলেন। অতঃপর তৈরি করলেন হাড়-হাড্ডি। আর হাড়কে শরীরের মূল ভিত্তি বানালেন। এর মধ্যে কিছু হাড় ছোট, কিছু বড়। কিছু লম্বা তো কিছু গোলাকার। কিছু ফাঁপা, আবার কিছু ভরাট। কিছু মোটা তো কিছু চিকন। কিছু নরম, কিছু শক্ত।
কীভাবে তিনি এক ফোঁটা শুক্রাণুকে মাতৃগর্ভে এমন সুন্দর আকার দিলেন? তার জন্য সর্বোত্তম তাকদির নির্ধারণ করলেন? অতঃপর তাকে দিলেন শ্র্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি। দিলেন বোধ ও বাকশক্তি। তার জন্য সৃষ্টি করলেন পিঠ, যা পেটের জন্য ভিত্তি হয়েছে। তার পেট সৃষ্টি করলেন বিবিধ খাদ্যের আধার হিসেবে। তার মাথা সৃষ্টি করলেন সব ভাবাবেগ, অনুভূতি ও জ্ঞান সংরক্ষণকারী রূপে। এসব নিয়ে যখনই মানুষ ভাববে তখনই সে প্রভুর দয়া, মায়ার পরিচয় জানতে পারবে। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন। আমিন।
লেখক : মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি, পীর সাহেব, আউলিয়ানগর
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন প্রদান করেছে বান্দরবান পৌরসভা
- বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- বান্দরবানে কেএনএফের আরও দুই সদস্য কারাগারে
- প্রচারণা বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আশার ইঙ্গিত বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরের
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারী সদস্য কারাগারে
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার