পার্বত্য চট্টগ্রামকে ক্রিশ্চিয়ানাইজেশন অঞ্চলে পরিণত করা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৩
লেখাটির উদ্দেশ্য ক্রিশ্চিয়ানাইজেশনের বিরুদ্ধে কিংবা এ ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে নয় বরং পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ধর্মান্তরের সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে সুবিধাবাদী চিহ্নিত কিছু গোষ্ঠী ও ব্যক্তিবর্গের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনসমুহ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন সময় সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ উপজাতি জনগোষ্ঠীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ করে আসলেও এ সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও কর্তৃক সাধারণ দারিদ্র উপজাতী জনগোষ্ঠীকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে দেখা যায়না। মূলত ব্যক্তিস্বার্থ এবং অর্থের লোভে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা নিশ্চুপ।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি বৌদ্ধ এবং হিন্দুরা যে হারে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মীয় উপজাতির জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অথচ বৌদ্ধ ধর্মের ধারক-বাহকরা তাদের ধর্মের ওপর এই হুমকির বিষয়ে একেবারেই উদাসীন অথবা সব কিছু জেনে-শুনেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা এবং পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও তাদের ধর্মের ওপর খ্রিস্টান ধর্মের থাবার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছেন না। বরং তারা মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উল্টো মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বেড়াচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে জোর করে মুসলমান বানানো হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এনজিও এবং দাতা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদেশি নাগরিককে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপরও এদের দৌরাত্ম্য থামেনি, বরং দিন দিন বাড়ছে। অনেক সময় পর্যটকের ছদ্মবেশেও বিদেশি নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাঙালি মুসলমান ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী মনোভাব উস্কে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের কাজে নেমে পড়ে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেও পাহাড় থেকে বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও তাদের তৎপরতা কমেনি।
আপাতদৃষ্টিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ধর্মান্তর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থানের কারণে বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে এই অঞ্চলটির গুরুত্ব অপরিসীম।
ভবিষ্যতে এখানে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে পারলে একাধারে ভারত, চীন এবং মায়ানমার উপর কঠোর নজরদারি ও চাপ সৃষ্টি করা যাবে। সেইসাথে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করে তার মাধ্যমে নিজ স্বার্থে ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ফেসবুকে পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ নিজেরা খ্রিষ্টান সম্প্রদায় দাবী করে আন্তর্জাতিক খ্রিষ্টীয় মন্ডলীর সহযোগীতা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সরকার ও দেশের জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।
সম্প্রতি কেএনএফ নামক সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ সুত্রে জানা গেছে যারা কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সৃষ্টির সাথে জড়িত সকলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়। এরা মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক। নিজেদেরকে খ্রিষ্টান দাবি করে বিশ্বের খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের সহানুভূতি ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে কেএনএফ। ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিষ্টান রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাহাড়ি খ্রিষ্টীয় জনগোষ্ঠী বিচ্ছিন্নতাবাদী দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে বুদ্ধিজীবী মহলের অভিমত।
এ সকল তথ্য উপাত্ত থেকে সহজে অনুমেয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত ইসলামীকরণের অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার একটি অংশমাত্র। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত জরুরী ভিত্তিতে সামরিক অভিযান আরো জোরদারসহ থানচি, রোয়াংছড়ি ও লামা উপজেলার দূর্ঘম পাহাড়ি জনপদে নতুনভাবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রের ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে - বান্দরবান জেলা প্রশাসক
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ
- অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- বান্দরবানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ
- নাইক্ষ্যংছড়ি অগ্নিকান্ডে ৮ দোকান ও বাসাবাড়ি পুড়ে ছাই
- সশস্ত্র বাহিনীকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- প্রত্নসম্পদের ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩ জন
- অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে- জেলা প্রশাসক
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- বান্দরবানে মে দিবস উদযাপন
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টিতে স্বস্তি নগরজুড়ে
- বান্দরবানে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- বান্দরবান পৌর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বান্দরবানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা