বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, পরম্পরায় বাংলাদেশ
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২১
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণকারী শিশুটির জন্মশতবর্ষ উদযাপন বাঙালির জীবনে দিগন্তবিস্তারী একদিন। এই শিশুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না এবং একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হতো না। বাঙালির সামনে মুক্তিযুদ্ধের সাহসী চেতনার বিস্তার হতো না। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের উচ্চারণ বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। মানুষ বীরদর্পে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেছিল সাহসী চেতনায়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ত্রিশ লাখ শহীদের জীবন উৎসর্গকারী যুদ্ধ নিয়ে এসেছিল গৌরবময় বিজয় অর্জন।
এই বিজয় উদ্ভাসিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ সঙ্গে করে। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ। স্বাধীনতার স্থপতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একশতম জন্মদিনে পৌঁছেছেন। দুটো বিশাল ঘটনা নিয়ে এই নান্দনিক উদযাপন বাঙালির গৌরব ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। দুটো ঘটনাই আগামীর বাংলাদেশে ঐতিহ্যের সম্পদ হয়ে চিরজাগরূক থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়াবে অগ্নিশিখার আলো।
১৯৬৮-৬৯ সালের দিকে তরুণ সমাজের নেতৃত্বে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিল তখনকার পূর্ব পাকিস্তান— ‘শেখ মুজিব এসেছে, বাঙালি জেগেছে’। এই স্লোগানে জেগে উঠেছিল বাঙালি-বাংলাদেশ। বাঙালির চেতনায় ফুল ফুটিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে তিনি মাতৃভাষার মর্যাদার প্রশ্নে বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। যে চেতনার অগ্নিশিখা তিনি প্রজ্বলিত করেছিলেন তা শহীদের রক্তধারায় স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেছে বিজয়ের অর্জনে।
ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ভারতবর্ষের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ব্যতিক্রমধর্মী অর্জন আর কারও দ্বারা হয়নি। তার জন্মশতবর্ষের গৌরবে সিক্ত হয়েছি আমরা দেশবাসী। স্মরণের বালুকাবেলায় তিনি আমাদের সামনে এক অবিস্মরণীয় মানুষ।
টুঙ্গিপাড়ার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বেড়ে ওঠা শিশু মুজিবের দীপ্তস্রোতে মধুমতী নদী বয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে। কারণ যে জীবনকে ধারণ করে বাঙালির মানসভূমি বঙ্গবন্ধু চর্চিত করেছেন অসাধারণ চিন্তায়, তা মধুমতী নদীর স্রোতে বহমান থেকেছে ১৯২০-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুর জীবনধারার এই বহমানতা পুরো বাংলাদেশের মানুষের মানসলোকের উর্বর ভূমিকে অনবরত সমৃদ্ধ করেছে। মানুষের মনভূমি তারই অনুপ্রেরণায় গড়ে তুলেছে স্বাধীনতার স্বপ্নভূমি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ভারতবর্ষের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ব্যতিক্রমধর্মী অর্জন আর কারও দ্বারা হয়নি। তার জন্মশতবর্ষের গৌরবে সিক্ত হয়েছি আমরা দেশবাসী। স্মরণের বালুকাবেলায় তিনি আমাদের সামনে এক অবিস্মরণীয় মানুষ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্বে থাকায় দুটি ঐতিহাসিক ঘটনা বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার কর্মযজ্ঞে মহামিলনের যোগসূত্র। বাবা ও মেয়ে দু’জনই দেশের জন্য মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বাঙালির জন্য উৎসর্গ করা বঙ্গবন্ধুর জীবনের মহীরুহকে ধারণ করেছেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তার সামনে আলোকদীপ্ত উৎসব। তিনি নিজে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কর্মযজ্ঞে এগিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। তার শাসনের একযুগের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি পিতার মহতী চেতনা আত্মস্থ করেছেন জনগণের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে। তার শাসনব্যবস্থার নানাদিক গণমানুষকে স্বস্তির-শান্তির জীবন-যাপন দিচ্ছে।
বাবা ও মেয়ে দু’জনই দেশের জন্য মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবা-মেয়ের এই যোগ ভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা। আমরা দেখতে পাই পিতা থেকে কন্যাকে, দেখতে পাই শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনাকে, এভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। অপেক্ষা আগামী দিনের।
টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনাও। পিতার জন্মভূমি থেকে তিনিও ধারণ করেছেন মাটি ও মানুষের স্বপ্ন। দেখেছেন টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদী, দেখেছেন অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি, এসবই ধারণ করে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার রাজনীতির যোগসূত্রও ধারণ করেছেন নিজের মধ্যে। ছাত্রী জীবন থেকে যুক্ত হন রাজনীতির সঙ্গে। বাবার উত্তরাধিকারী হয়ে রাজনীতির মাত্রায় গড়ে তোলেন নিজের সচেতন বোধ। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবা-মেয়ের এই যোগ ভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হয়েছে জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘ ঐতিহ্যিক প্রামাণিক দলিলে সংরক্ষিত হয়েছে। বিশ্বের মানুষের সামনে এ এক গৌরবময় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করেছে। আমরা দেখতে পাই পিতা থেকে কন্যাকে, দেখতে পাই শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনাকে, এভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। অপেক্ষা আগামী দিনের।
তবে একটি বিষয় আলোচনায় আনতে হয়। কারণ এই দুটো ঘটনায় দেশবাসী প্রবলভাবে মর্মাহত হয়। পরিত্রাণের উপায় খোঁজে।
শুধু দুর্নীতি ও নারী-শিশু ধর্ষণ সমাজব্যবস্থাকে অবক্ষয়ের দিকে টানার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন, এ দুটো বিষয় কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা যেন সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে পতিত না হই। নৈতিক মূল্যবোধের সচেতনতায় দেশবাসী যেন বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আপনার ঋদ্ধ চেতনার মৌলিকতা পুরো দেশকে আলোকিত করে রাখুক। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
সেলিনা হোসেন
কথাসাহিত্যিক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বিপিএটিসি, সাভার
- লামা ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
- রুমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান্তে গোলাগুলি
- বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির-দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড
- থানচি সাংগ্রাইং মৈত্রী পানি বর্ষন উৎসব
- লামায় ইটভাটায় অভিযান জরিমানা আদায়
- রুমায় যৌথ অভিযানে কেএনএফ এর ৯ সদস্য আটক অস্ত্র উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না - র্যাব মহাপরিচালক
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশের আশ্রয়ে
- বাইশারীতে টিসিবির পণ্য পেয়ে মহা খুশি উপকারভোগীরা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার