বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২
বান্দরবানে যক্ষা রোগ নিরোধ করার লক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ যক্ষা নিরোধ সমিতি,বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে বান্দরবানের কাপ অব জয় রেস্টুরেন্টের হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ যক্ষা নিরোধ সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তি কণা দে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বান্দরবান আল ফারুক ইনষ্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান,বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা: আবদুল হক সজীব, ডা:মাহি, নাটাব এর আঞ্চলিক কো-অডিনেটর হেলাল খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বান্দরবান সদরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষক উপস্থিত থেকে এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাটাব এর আঞ্চলিক কো-অডিনেটর হেলাল খন্দকার বলেন,যক্ষা একটি প্রাচীন ঘাতক ব্যাধি। প্রতি বছর বহু লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। পূর্বে এই রোগের চিকিৎসা ছিলনা,কিন্তু বর্তমানে যক্ষার চিকিৎসা ও ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামুল্যে দেয়া হয়। এসময় তিনি আরো বলেন,যক্ষা নিয়ন্ত্রণে নাটাব ১৯৮৪ সাল থেকে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নাটাব যক্ষা রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি আরো বলেন, নাটাব, সরকারের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসুচীর অংশীদার হিসেবে ২০০৪সাল থেকে যক্ষা রোগীদের চিকিৎসা সর্ম্পকে সচেতন করে তোলা এবং তাদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করে আসছে, এসব কর্মসুচীর মধ্যে এ্যাডভোকেসী সভা,বার্ষিক যক্ষা সম্মেলন,র্যালী ও আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব যক্ষা দিবস উদযাপন,ওয়ার্কশপ,রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অন্যতম। এসময় নাটাব এর আঞ্চলিক কো-অডিনেটর হেলাল খন্দকার যক্ষা রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আতংকিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে বিনামুল্যে পরীক্ষা ও ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ যক্ষা নিরোধ সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরী বলেন, যক্ষা একটি মরণব্যাধী তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এই রোগের চিকিৎসা এবং ওষুধ রয়েছে আর সঠিক চিকিসা ও নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে এই রোগ সেরে যায়। এইসময় তিনি আরো বলেন, কারো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি,খাবারে অরুচি,পিঠের হাড় বাঁকা,গলায় বা শরীরে যে কোন জায়গায় গুটি, বুকে অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যাথা,শ্বাস কষ্ট,দুর্বলতাবোধ এর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে যক্ষা পরীক্ষা করাতে হবে আর পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হলে দ্রুত ব্র্যাকের সাথে যোগাযোগ করে বিনামুল্যে ওষুধ সংগ্রহ করে খেতে হবে। এসময় বাংলাদেশ যক্ষা নিরোধ সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরী বান্দরবানের কোথাও কারে যক্ষা রোগেরে লক্ষণ দেখা দিলে তার সাথে যোগাযোগ করা এবং বিনামুল্যে সরকারীভাবে পরীক্ষা ও ওষুধ গ্রহণের জন্য আহবান জানান।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়