শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ। এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।
এই বছরের পুজো অন্যান্য বছরের মত নয়, করোনা আতঙ্কের আবহেই এবার দেবীপক্ষের সূচনা হলো। আর মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবার হবে মাতৃবন্দনা। পুরাণমতে মহালয়ার এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়।
মহালয়া মানেই আর ৬দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার আগমন ধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলেও এবার ৬ দিন পরে পুজা অনুষ্ঠিত হবেনা। এবারে আশ্বিণ মাস মল (মলিন) মাস হওয়ার কারণে দূর্গাপুজা শুরু হবে প্রায় একমাস পর আগামী ২১ অক্টোবর বুধবার থেকে।
এদিকে দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে ভোর থেকে বান্দরবানের প্রতিটি হিন্দু পরিবারে আয়োজন করা হয় দেবী দুর্গার আরাধনা ও পূজা অর্চনা। বিভিন্ন হিন্দু পরিবারে করোনা ভীতির মধ্যে ও আয়োজন করা হয় চন্ডীপাঠ ও দেবীর শুভ মহালয়ায় পূজা।
মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দূর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব বক্ষ্রান্ডের অধীশ্বর হতে চায় আর তখনই সৃষ্টি হয় দেবী দূর্গার। মূলত মহালয়ার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পরিবারে দুর্গা পূজার আমেজ সৃষ্টি হয়।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষীপদ দাশ বলেন,হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া শুরু। আর এই শুভ মহালয়ার মাধ্যমে আমাদের হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। লক্ষীপদ দাশ আরো বলেন, এবারে করোনার কারনে বান্দরবানে দুর্গাপূজায় বড় ধরণের কোন আয়োজন থাকছে না,প্রতিবছর বান্দরবানের রাজার মাঠে যে বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কয়েকদিন ব্যাঁপীঁ পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলতো এবার তা হবে না। তিনি আরো বলেন ,বান্দরবান কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এবারে দুর্গাপূজার পূজা অর্চনা হবে এবং আমরা সম্প্রীতির এই বান্দরবানে সবাইকে নিয়ে জাঁকজমকভাবে এবারো ও দূর্গাপূজা করবো।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়