বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৬ ১৪৩১
|| ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে মর্টারশেল এবং ভারী অস্ত্রে গুলিবর্ষণ হয়েছে। বুধবার সকালে সাড়ে নয়টার দিকে প্রথমবার ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায়। দুপুর বারোটার দিকে কয়েকটি মর্টারশেলের গোলা বিস্ফোরণের আওয়াজ হয় সীমান্তের ওপারে তুমব্রু এলাকায়। কিছুক্ষণ পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর বিকালে পাঁচটার দিকে ফের ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে বিস্ফোরণের আওয়াজে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের আতঙ্ক যেন কিছুই কাটছে না। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুকিতে বসবাসরত ৩শ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, চাকমা পাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। সীমান্ত চৌকিগুলো থেকে আশপাশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি টহলও। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হতে আশ^স্তের কাজ করছেন। ঘুমধুম ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, ্আগেরদিন সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তিন দফায় ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। কিন্তু অন্যান্য দিনের মত বুধবার মিয়ানমার সরকারী বাহিনী এবং সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মীর (এএ) মধ্যকার হামলার ভয়বহতা কম ছিলো। তাই তুমব্রু সীমান্তের এপারে বিকট শব্দের মাত্রাও কম ছিলো। কিন্তু এলাকাবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে এই ভেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বুবধার গোলাগুলির শব্দ খুবই শোনা গেছে তুমব্রু সীমান্তে। ফায়ারিং আস্তে আস্তে উখিয়ার বালুখালীর দিকে চলে যাচ্ছে। তবে সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষনিক করণীয় বিকল্প চিন্তা ভাবনাও রয়েছে সরকারের। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়