শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০
বাংলাদেশের অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রামরুর পক্ষ থেকে প্রায় দেড় যুগ ধরে দালালদের নিবন্ধনের আওতায় নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। রামরুর সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, বিদেশগামী এবং রিক্রুটিং এজেন্সি দুই পক্ষই এখন দালালদের ওপর নির্ভরশীল। একজন কর্মী বিদেশে যেতে চাইলে কোথায় যাবেন, কী করবেন সে ব্যাপারে যথেষ্ট সরকারি তথ্য নেই। এই সুযোগ নেয় দালালরা। আবার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তৃণমূলে কোনো কার্যক্রম নেই। তাদের সবার অফিস ঢাকায়। ফলে তাদেরও বিদেশে পাঠানোর জন্য লোক আনতে এই দালালদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবেই দালাল প্রথা টিকে আছে বছরের পর বছর। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার খরচ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর অন্যতম কারণ এই দালাল প্রথা। যত হাত ঘোরে, অভিবাসন খরচ তত বাড়ে। বিএমইটি মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে অভিবাসন আইন অনুযায়ী। প্রতিনিধি বা দালাল যাই বলা হোক না কেন তারা একসঙ্গে দুটি এজেন্সিতে কাজ করতে পারবে না। কোনো অপরাধ করলে তাদের যেন আটক করার সুযোগ থাকে।
জানা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে বিদেশে যান ৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি। আরও লক্ষাধিক কর্মী টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেন না। পাশাপাশি এক-তৃতীয়াংশ কর্মী বিদেশে গিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়ে থাকে। এসব প্রতারিতের বেশির ভাগের জন্যই এজেন্সিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয় না। কারণ বেশির ভাগ কাজই হয় দালালদের মাধ্যমে। আর বাংলাদেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের বড় অংশ আসলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর চেয়ে দালালদের ওপরই বেশি আস্থা রাখেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়