ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বাবা রাজা(কার!) ত্রিদিব রায়ের পাকিস্তান প্রীতির ইতিবৃত্ত
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা উপজাতি সম্প্রদায়ের রাজা দেবাশীষ রায়ের পিতা ৫০তম চাকমা রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় । তিনি ১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চাকমা সার্কেলের রাজা ছিলেন। যদিও বা পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক, কূটনৈতিক, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
বর্তমান চাকমা রাজা দেবাশীষের পিতা রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় সব সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে থেকে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে এসেছেন। এমন কি তিনি ১৯৬৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করলে ত্রিদিব রায় এই কর্মসূচির সমর্থক ছিলেন না। এর ফলে তিনি চাকমা রাজা হিসেবে তার স্বায়ত্তশাসন লোপ হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। এর পর পরই ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দলের পক্ষে নির্বাচনে দাড়ানোর জন্য ত্রিদিব রায়কে আহ্বান জানান। ত্রিদিব রায় এই অনুরোধে সাড়া দেননি। তিনি পুরো চাকমা সম্প্রদায়ের মঙ্গল না চেয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে র্নিবাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
কিন্তু সেই সময় থেকে তিনি তার নিজের স্বার্থটাকে বড় করে দেখে চাকমা সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। যদি তিনি সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিতেন তাহলে স্বাধীনতার পর থেকে সমাধিকারের ভিত্তিতে এতো দিনে অনেক দূর এগিয়ে যেত চাকমা সম্প্রদায়।
রাজা দেবাশীষ এর বাবা রাজা (কার!)ত্রিদিব রায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতিই আনুগত্য বজায় রেখেছেন। মৃত্যূর আগ পর্যন্ত দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় ছিলেন বাংলাদেশের চরম শত্রু । বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতায় এবং স্বাধীনের পরও স্বীকৃতির বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়েছেন।
রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় বাংলাদেশের ভূখন্ডে বসাবাস করে স্বাধীনতার বিরোধীতা করে এবং শত্রু পক্ষ (পাকিস্তানিদের )সাথে আতাত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি সাধারন করেছিলেন। তিনি তার নিজের স্বার্থ রক্ষায় পুরো চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষের মনের ইচ্ছে শক্তিকে নিজের কাজে লাগিয়েছিলেন এবং চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করতে চাপ প্রয়োগ করেন । এতে করে বাংলাদেশের মুক্তিযোদধাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে গিয়েছেন রাজা (কার!) ত্রিদিব রায়। দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায়-এর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক। নিজের রাজত্ব এবং স্বায়ত্তশাসন টিকিয়ে রাখতেই ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। তিনি চাইছিলেন তাঁর রাজত্ব এবং রাজ পরিবারের শাসন যেন বজায় থাকে, যদিও অনেক সাধারণ চাকমা তাঁর নীতির বিপক্ষে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তার এই স্বার্থপর চিন্তা ভাবনার কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নানা দিকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তিনি নিজের রাজত্ব রক্ষা করতে দেশ ও চাকমা জাতির স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছিলেন। তার সেদিনের স্বার্থপরতার কারনে আজ তিনি ঘৃণিত হয়ে আছেন।
দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায়ের রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণে আজ জনমনে ঘৃণার জন্ম দিয়েছে।
রাজা দেবাশীষ এর বাবা রাজা (কার!)ত্রিদিব রায় ও তার রাজাকার বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একের পর এক হামলা পরিচালনা করে। এতে নির্মমভাবে শহীদ হন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। কয়েকটি অপারেশন ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন রাজাকার বাহিনী এবং তাদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলা ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল।
সেই পাকি দোস্ত জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ নিয়ে কোন অনুতাপ স্বীকার করেনি। মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করে গেছেন। সেই রাজাকারের নামে এখনও সড়কের নামকরণ শোভা পাচ্ছে ।
উল্লেখ্য, ১৯৩৩ সালের ১৪ মে রাজা দেবাশীষ এর বাবা দেশদ্রোহী রাজা (কার!) ত্রিদিব রায় চাকমা রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত চাকমা সার্কেল চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তার অনুপস্থিতিতেই তার ছেলে বর্তমান সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় রাজার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
স্থানীয় ও দেশ প্রেমিকদের দাবী অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্থাপনা থেকে ত্রিদিব রায়ের নাম সরিয়ে ফেলতে হবে এবং তার পাশাপাশি দেশ ও জাতি স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদেদের সম্মান রক্ষার্থে রাজা (কার!) দেশদ্রোহী ত্রিদিব রায়ের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার দাবী জানায়।
- পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- রুমায় সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত অস্ত্র উদ্ধার
- শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর মতবিনিময়
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বদলি হলেও চাকরিতে যোগদান করেননি নাথান বমের স্ত্রী
- কেএনএফের ২ জনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ
- মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য আগামীকাল বান্দরবানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে
- হুট করে হামলা শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- স্বামী সংসার স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা চায় রুনা ত্রিপুরা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চহ্লামং মারমা
- কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা সহ গ্রেপ্তার ৭
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- বহিষ্কার হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
- সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- আলীকদমে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না